সর্বশেষ সংবাদ :

বাঘার ঐতিহাসিক ঈদ মেলার ইজারা ২৭ লাখ ৪০ হাজার

নুরুজ্জামান,বাঘা :

রাজশাহীর বাঘায় অনুষ্ঠিত হবে ঐতিহাসিক ঈদ মেলা। প্রায় পাঁচশ বছর ধরে শাহী মসজিদ ও মাজার এলাকায় এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। তবে করোনা মহামারি ও অভ্যান্তরিন জটিলতার কারনে গত চার বছর এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়নি। এবার সকল জটিলতা কাটিয়ে মেলার প্রস্তুতি সম্পন্ন করে বৃহস্পতিবার (৪-এপ্রিল) দুপুরে উন্মুক্ত ডাকে ইজারা প্রদান করেছেন মাজার কতৃপক্ষ। মাত্র ১৫ দিনের জন্য এ মেলাটি এবার ইজারা দেয়া হয়েছে ২৭ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা ।

 

 

 

 

 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঈদের দিন থেকে এ মেলা শুরু হবে। কতৃপক্ষ ১৫ দিনের জন্য মেলার ইজারা সম্পন্য করেছেন। এ বছর এই মেলার জন্য ৮ লক্ষ টাকা বিডি জমা দিয়ে ডাকে অংশ নিয়েছিল ২০ জন ব্যবসায়ী। তবে সর্বেোচ্চ দরদাতা হিবাবে মেলা পেয়েছেন পৌর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মামুন হোসেন।

তিনি বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে প্রচার মাইক নামিয়েছেন বিভিন্ন এলাকায়। সেই মাইকে ব্যবসায়ীদের জায়গা নেয়ার জন্য আহবান জানানো হচ্ছে। মেলাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসবে লাখ-লাখ মানুষ। এ মেলা মূলত মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব হলেও সকল সম্প্রদায়ের মানুষই মেলায় আসেন। মেলাকে ঘিরে দোকানিরা তাদের পসরা সাজিয়ে বসে। প্রতিদিন সকাল থেকে গভির রাত পর্যন্ত চলে বেচা-কেনা। এবারের মেলায় আসবে সংস্কৃতির অন্যতম আকর্ষণ সার্কাস-সহ মৃত্যুকুপ খেলা মোটর সাইকেল ও প্রাইভেটকার র‌্যালী, নাগোরদোলা, ট্রেন ভ্রমন। যা উপভোগ করবে সব বয়সের মানুষ।

বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তরিকুল ইসলাম জানান, পবিত্র ঈদুল ফিতরের উৎসবকে কেন্দ্র করে এতবড় মেলা দেশের অন্য কোথাও হয়েছে কি না-তা জানা যায়নি। তবে বাঘার ঈদ মেলা দেখতে আসেন দুর -দুরান্ত থেকে লক্ষ-লক্ষ মানুষ। এ মেলায় পাওয়া যায় সব ধরনের মিষ্টি,বাচ্চদের খেলনা, মনোহারি সামগ্রী, লোহজাত দ্রব্য, কাঠের সামগ্রী-আলনা,চেয়ার,টেবিল,খাট-পালঙ্ক,মাটির হাড়ি-পাতিল, সদরঘাটের পান, কসমেটিক -সহ বিভিন্ন রকমের খেলনা জাতীয় পণ্য। এ ছাড়াও হজরত শাহদৌলার মাজার এলাকায় গেলে দেখতে পাওয়া যাবে ফকিরদের উপস্থিতি। যারা সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত জেকের মাহফিল ও সামা কাওয়ালী গান-বাজনা নিয়ে ব্যাস্ত থাকবেন।

 

প্রসঙ্গত আজ থেকে প্রায় ৫ শ বছর পূর্বে বাগদাদ থেকে হজরত শাহদৌলা(রাঃ) পাঁচজন সঙ্গীসহ বাঘায় এসেছিলেন ইসলাম প্রচারের জন্য। বসবাস শুরু করেন রাজশাহী শহর থেকে ৪৫ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিন কোণে পদ্মা নদীর তীরের কসবে বাঘায়। বাদশাহ নাসির উদ্দিন সে সময় তাঁর জন্য এখানে বিশাল একটি মসজিদ তৈরি করেন। নাম দেন শাহী মসজিদ। মসজিদের পাশেই আছে ৫২ বিঘা জমির উপরে খননকৃত বিশাল আকারের শাহী দিঘি। কথিত আছে মনোবাসনা পূর্ণের জন্য মানুষ ঈদের সময় সেই দিঘিতে গোসল করতে আসেন। ওই সময় থেকেই বাঘায় অনুষ্ঠিত হয় বিশাল আকারের ঈদের জামায়াত। সেই সাথে সু-বিশাল এলাকা জুড়ে ঈদ মেলা এবং মেলার দ্বিতীয় দিন মাজার শরিফকে ঘিরে অনুষ্ঠিত হবে ওরস মোবারক।

সানশাইন/শামি


প্রকাশিত: এপ্রিল ৪, ২০২৪ | সময়: ৯:১৬ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine