সর্বশেষ সংবাদ :

কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে পবাকে স্মার্ট উপজেলা গড়তে চাই:চেয়ারম্যান প্রার্থী রশিদ

পবা প্রতিনিধি:
আগামী২৯ ই মে অনুষ্টিত হবে রাজশাহীর পবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। সেই উপলক্ষে ইতিমধ্যে জমে উঠতে শুরু করেছে নির্বাচনী উত্তাপ। টং দোকানে চায়ের কাপেকিং বা বন্ধুম হলের আড্ডায় চলছে বির্তক কে হবে আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের চারিদিকে বেষ্টিত ৩৩৯ বর্গ কিলোমিটার ও ৩ লক্ষ্য ১৪ হাজার ১৯৬ জন জনসংখ্যার পবা উপজেলায় কে হবে চেয়ারম্যান ! এই গুঞ্জন এখন চারিদিকে।

 

 

উপজেলা পরিষদের তফসিল ঘোষণা হলেও নির্বাচনের এখনো এক মাস বাকিঁ। তবে ইতিমধ্যে ভোটের প্রস্থতি গ্রহণ করতে শুরু করেছেন প্রার্থীরা। বিভিন্ন ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন দেখতে পাওয়া যায় উপজেলা জুড়ে।
আসন্ন পবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়তে চান রাজশাহী জেলা স্বেচ্ছ সেবকলীগেরসহ-সভাপতি প্রভাষক মোঃ আব্দুর রশিদ।তিনি উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিদিন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে নিজের জন্য চাইছেন ভোট ও দোয়া। প্রচার-প্রচারণায় সরগম করছেনএলাকা। ভোটে নির্বাচিত হলে পবা উপজেলা বাসীর জন্য কি কি কাজ কর তেচান তার পরিকল্পনার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘ দিন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। আমার পূর্ব পুরুষ বাপ-চাচারা সবাই আওয়ামী লীগের জন্য কাজ করেছেন। আমার চাচা আব্দুল গফুর সরকার দীর্ঘ দিন নওহাটা পৌরসভার মেয়র ছিলেন। তার হাতে ধরেই নওহাটাতে অনেক নেতা তৈরী হয়েছে। আমি পবা উপজেলা কলেজ শিক্ষক সমিতির দপ্তর সম্পাদক ছিলাম, নওহাটা পৌরসভা বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সভাপতি,পবা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবং বর্তমানে রাজশাহী জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি আছি। সুতরাং আওয়ামী লীগের সাথে আমাদের রক্তের সম্পর্ক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আপা এখন দেশের তরুণ সমাজের প্রতি আলাদা একটা মায়া আছে। সেই অনুযায়ী আমি আসন্ন পবা উপজেলাপরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীতা ঘোষণা করেছি। আমাকে যদি উপজেলার ভোটাররা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে তাহলে আমিউ পজেলা বাসীর জন্য কিছু আলাদা পরিকল্পনা নিয়েছি।

 

আমার পরিকল্পনার ভিতরে প্রথমেই রয়েছে আমি যদি নির্বাচিত হতে পারি তাহলে সর্ব প্রথমে পবাকে মাদক মুক্ত করবো। মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স গ্রহণ করবো। শিক্ষা ক্ষেত্রেও পবা উপজেলায় কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। এখানে শিক্ষার্থীদের জন্য ভালো মানের পাঠাগার নেই। আমার নির্বাচিত হতে পারলে প্রতিটি ইউনিয়নে ইউনিয়নে শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠাগার নির্মাণ করে দিব ঈনশাল্লা আল্লাহ। পবার উন্নয়নে সবাই একত্রি তহতে পারলে উন্নয়ন আরো বেশি ফল প্রসুহবে বলে আমি মনে করছি।

চেয়ারম্যানপ্রার্থী মোঃ আব্দুর রশিদ চিকিৎসা সেবার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের পবা উপজেলায় একমাত্র স্বার্থকেন্দ্র দারুশায় হওয়ায় এই অঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের অনেক অসুবিধাএবং দুরুত্ব হয়ে যায়। চিকিৎসা সেবা উন্নতি করতে গেলে প্রাথমিক অবস্থায় আমাদের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে যেগুলো কমিউনিটি ক্লিনিক আছে সেগুলোর মান আরেক টু বাড়ানো দরকার বলে আমি মনে করি।

 

 

দলীয় সিদ্ধান্তে এবং সাংগঠনিক ভাবেতৎ পর থাকবেন বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা দেখেছি পূববর্তী সময়ে অনেকে জন প্রতিনিধি হয়ে দলীয় ব্যাপারে উদাসীন হয়ে পড়ে। আমি আমার পবাউ পবাজেলা বাসীকে কথা দিতে চাই আমি যদি নির্বাচিত হতে পারি তাহলে দলীয় সিদ্ধান্তে অটুট থাকবো এবং সাংগঠনিক ভাবে সংগঠনের জন্য কাজকরবো। যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠনের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিবো।
কর্মসংস্থানের উপরে গুরুত্ব রোপ করে পবা উপজেলা চেয়ারম্যানপ্রার্থী মোঃ আব্দুর রশিদ বলেন, কর্মসংস্থান এখন আমাদের সমাজের সব চাইতে বড় একটি সমস্যা। বিশেষ করে পড়াশোনা শেষ করে অনেক যুবক চাকুরীরআশায় বেকার বসে থাকে। আমার পবা উপজেলা একটি অনেক বড় এলাকা। এখানে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। আমি যদি নির্বাচিত হতে পারি তাহলে কর্মসংস্থান তৈরীরলক্ষ্যে আমি বিনামূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দিয়ে ফিল্যান্সিং এর ব্যবস্থা করবো এবং কারিগরী শিক্ষায় জোর দিবো। আমার পবা উপজেলায় বিভিন্ন বড় বড়প্রতিষ্ঠানের সাথে কথা বলে তাদের বিভিন্ন কারখানা এখানে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য বলবো এতে করে পবার অনেক কর্মসং স্থানে সৃষ্টি হবে বলে আমি মনে করি। পরিশেষে বলতে চাই আমি যদি নির্বাচিত হতে পারি তাহলে পবায় কর্মসংস্থান সৃষ্টিকরে স্মার্ট উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলবো ইনশা আল্লাহ্ ।

সানশাইন/সোহরাব


প্রকাশিত: এপ্রিল ২৯, ২০২৪ | সময়: ১১:০২ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine