সর্বশেষ সংবাদ :

বিতর্কিত মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সেই ফাতেমা আবার পবায়

স্টাফ রিপোর্টার: দুর্গাপুর উপজেলার বিতর্কিত সেই মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমা খাতুনের বদলির আদেশ হয়েছে। তিনি বদলী হয়ে পবা উপজেলায় যোগদান করেছেন একা-একাই।
জানা গেছে, সোমবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে তিনি যোগদানপত্র জমা দিয়েছেন। তবে কারো কাছে চার্জ বুঝে নিয়ে তিনি যোগদান করেননি। বরং কয়েকদিন আগেই যোগদানকৃত কর্মকর্তা হাবিবা খাতুনের হাজিরার ওপরই তিনি স্বাক্ষর করেছেন বলে জানা গেছে। এনিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে আনন্দের বন্যা বইছে দুর্গাপুর উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারিদের মধ্যে।
অন্যদিকে পবা উপজেলায় তার যোগদানের বিষয়কে কেন্দ্র করে ওই অফিসের লোকজন আতংকিত হয়ে পড়েছেন। গুঞ্জন শুরু হয়েছে ফাতেমা খাতুনের কর্মকান্ড নিয়ে। এই মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমা খাতুন হচ্ছেন বিএনপি নেতা নাদীম মোস্তফার এক সময়ের সহচর ও বর্তমানে পুঠিয়া উপজেলা বিএনপির ক্ষমতাধর নেতা জিল্লুর রহমানের স্ত্রী।
জানা যায়, দুর্গাপুর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমা খাতুন রাজশাহীর বিভিন্ন উপজেলায় মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেছেন। সেসময় ওই উপজেলাগুলোতে তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। ২০২১ সালের শেষের দিকে তিনি তানোর উপজেলা থেকে দুর্গাপুর উপজেলায় যোগদান করেন। তিনি তানোর উপজেলায় প্রায় ৫ বছর চাকরি করেন।
তার আগে তিনি চারঘাট উপজেলায় ৬ বছর চাকরি করেন। চারঘাটে যাবার আগে ২০১০ সালের দিকে তিনি এই দুর্গাপুর উপজেলায় কয়েকমাস দায়িত্ব পালন করেন। ওই সময় দুর্গাপুরে হতদরিদ্রদের ঋণের টাকা বিতরণ নিয়ে তার অফিসে মারপিটের ঘটনা ঘটে। সেই মামলা এখনও চলমান রয়েছে।
এদিকে ২০২৩ সালে দুর্গাপুরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন পালন না করেই বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে। সেই বছর ১৭ মার্চ দেশব্যাপী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন পালন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করা হলেও সরকারের এই আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়েছেন তিনি।
বরাদ্দকৃত অর্থ উত্তোলন করে কিশোর-কিশোরী ক্লাব গুলোর মধ্যে বিতরণ করেননি উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমা খাতুন। তখন কিশোর-কিশোরী ক্লাবের দায়িত্বে থাকা জেন্ডার প্রমোটর ও প্রশিক্ষকদের সাথে কথা বলে এ অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।
এসব বিতর্কিত কারণে এর আগেও পবায় আসতে পারেননি তিনি। আবারো তিনি পবা উপজেলায় তার যোগদানের বিষয়কে কেন্দ্র করে ওই অফিসের লোকজন আতংকিত হয়ে পড়েছেন। সোমবার এসেই তিনি তার অধ:স্তন কর্মচারিদের সাথে অসৌজ্যমূলক আচরণ করেছেন বলে জানা গেছে।
এবিষয়ে পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত বলেন, অফিসিয়াল নিয়ম মাফিক ফাতেমা খাতুনকে যোগদান করতে বলা হয়েছে।
এব্যাপারে জানতে চাইলে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর রাজশাহীর উপ পরিচালক শবনম শিরিন বলেন, পবায় হাবিবা খাতুনের যোগদানের পরে আবারো মন্ত্রনালয়ের নির্দেশে ফাতেমা খাতুন পবায় যোগদান করছেন। এবিষয়ে কোন জটিলতা বা সমস্যার সৃষ্টি হলে সেটি মন্ত্রনালয়ই দেখবে।


প্রকাশিত: এপ্রিল ১৬, ২০২৪ | সময়: ৫:২৭ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ