রবিবার, ৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
বদলগাছী প্রতিনিধি:
নওগাঁর বদলগাছীতে ২৬মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্ত্তী ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অঃদাঃ) মোসা. আতিয়া খাতুন’সহ উপজেলার সকল দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এসেছিলেন কিন্তু আসেননি উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন পরিষদের কোন চেয়ারম্যান।
সূর্যোদয়ের সাথে সাথে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন এবং শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের কোন কর্মসূচিতেই ছিলেন না তারা। অধিকাংশেরই অজুহাত তারা কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক গুঞ্জন চলছে।
জানতে চাইলে সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি অসুস্থতা কারণে যেতে পারিনি কিš‘ আমার প্যানেল চেয়ারম্যান সফল প্রোগ্রামে উপস্থিত ছিলেন। ২ নং মথুরাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মাসুদ রানা বলেন, আমার কাজ ছিল এজন্য যাইনি। ৩ নং পাহাড়পুর ইউপি চেয়ারম্যান আবু হাসনাত মো. মিজানুর রহমান কিশোর বলেন, উপজেলা থেকে চিঠি পাইনি, তারপরও আমি নিজে একটু বেকায়দায় আছি তাই যাইনি।
৪ নং মিঠাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফিরোজ হোসেন বলেন, আমি আমার ঝামেলার জন্য যেতে পারিনি অন্য কিছু নয়, আমি যাওয়ার জন্য বসে ছিলাম আবার স্কুলের ঝামেলা ছিল তাতে বেলা হয়ে গিয়েছিল তাই আর যায়নি।
৫ নং কোলা ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহিনুর ইসলাম স্বপন বলেন, আমি কাজে ব্যস্ত ছিলাম তাই যেতে পারিনি।
৬ নং বিলাশবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান কেটু বলেন, শরীরটা খারাপ এজন্য যেতে পারিনি।
৭ নং আধাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান এ কে এম রেজাউল কবির পল্টন বলেন, আমার ইউনিয়ন পরিষদের প্রোগ্রাম সারলাম, আমি নীয় সরকার আমারটা আগে সারবো।
৮ নং বালুভরা ইউপি চেয়ারম্যান আল এমরান হোসেন বলেন, স্মৃতিসৌধে ফুল দিতে যায়নি তবে ইউনিয়ন পরিষদে প্রোগ্রাম করেছি এবং শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে একবার গিয়েছিলাম।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অঃদাঃ) মোসা. আতিয়া খাতুন বলেন, আমি সকল ইউপি চেয়ারম্যান কে আমন্ত্রণপত্র দিয়েছি এবং প্রস্তুতি সভাতেও সকলকে নিয়েই মিটিং করেছি। কিš‘স্বাধীনতা দিবসে তারা কেন আসেনি তা আমি জানিনা।
সানশাইন / শামি