রাজশাহীতে চাঁদার টাকা না দেয়াই জমির বাউন্ডারি ওয়াল ভাঙ্গচুরের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার হড়গ্রাম মোল্লাহপাড়ায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ও চাঁদার দুই লক্ষ টাকা না দেয়াই জমিতে নির্মানকৃত বাউন্ডারি প্রাচীর দিতে বাধা প্রদান ও প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জমির মালিক হড়গ্রাম মোল্লাপাড়া এলাকার আমিনুল হকের ছেলে আইনুল ইসলাম স্থানিয় ৫ চাঁদাবাজের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ১০ থেকে ১৫ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কাশিয়াডাঙ্গা থানায়।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কাশিয়াডাঙ্গা থানার হড়গ্রাম মোল্লাপাড়ার আমিনুল হকের ছেলে আইনুল ইসলামের হড়গ্রাম মোল্লাপাড়া মৌজার ৪ কাঠা জমি, যার খতিয়ান নং ও আরএস ৫৫ এবং দাগ নং ৬৪। আইনুল তার জমিতে গত (১৩ ফেব্রুয়ারি ) গত মঙ্গলবার জমিতে বাউন্ডারি প্রাচীর দিতে ইট ও মিস্ত্রি নিয়ে গেলে ওই এলাকার চাঁদাবাজ মৃত নুরুল হকের ছেলে আব্দুল মতিনের নেতৃত্বে মৃত নুরুল হকের ছেলে হাবিবুর রহমান বাবু, মৃত নওশাদ মোন্ডলের ছেলে লোকমান আলী, লোকমান আলীর ছেলে খোরশেদ আলী, লোকমান আলীর ছেলে মোহাম্মদ আলীসহ অজ্ঞাত ১০ থেকে ১৫ জন আইনুলকে জমির বাউন্ডারি প্রাচীর দিতে বাধা প্রদান করে ও হুমকি ধামকি দেই। পরে বিষয়টি আইনুল কাশিয়াডাঙ্গা থানা পুলিশকে জানায়। বুধবার থানা পুলিশের সহায়তায় তার ৪ কাঠা জমিতে বাউন্ডারি প্রাচীর কাজ সম্পন্ন করে। পরে বুধবার রাতেই প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলে মৃত নুরুল হকের ছেলে আব্দুল মতিনের নেতৃতে তার লোকজন। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ফের কাশিয়াডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দেই জমির মালিক আইনুল।
জমির মালিক আইনুল ইসলাম বলেন, আমার চার কাঠা জমিতে কোন মামলা নেই। বন্টন নামা হয়ে গেছে। তার পরেও আমি আমার জমিতে বাউন্ডারি প্রাচীর দিতে গেলে আমাকে হুমকি প্রদান করে ও দুই লক্ষ টাকা তাদের কে দিয়ে জমির বাউন্ডারি কাজ শুরু করতে বলে, না হলে কাজ করা যাবে না। তার পরেও প্রাচীর দেয়াই তারা রাতে গিয়ে বাউন্ডারি প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলে।
এ বিষয় কাশিয়াডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ ইমরান হোসেন বলেন, জমির মালিক আইনুল ইসলাম লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ গিয়ে তদন্ত করছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।


প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৪ | সময়: ৬:০২ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ