আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে হাটের জায়গায় দোকানঘর নির্মাণের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর পবা উপজেলায় উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সরকারি জায়গার উপর দোকানঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে বাজার কমিটির বিরুদ্ধে। এতে ক্ষুব্ধ সেখানকার সাধারণ ব্যবসায়ীরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বড়গাছি হাটে অবৈধভাবে দোকানঘর নির্মাণের বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমের সূত্রে এডভোকেট মাহফুজুর রহমানের নজরে পড়লে জনস্বার্থে তিনি হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে রিট আবেদন করেন। যাহার রিট পিটিশন নং- ১০৮২৯/২০২৩। পরে উচ্চ আদালত এই রিট পিটিশনের প্রেক্ষিতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মিসেস শাহলা শরাতাত নেজাদ শুনু বড়গাছি হাটের সরকারি জায়গার ওপর দোকানঘর নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। একই সাথে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রাজশাহী জেলা প্রশাসককেও নির্দেশ দেয়া হয়। আদেশে রাজশাহীর পবার বড়গাছি হাটে দোকানপাট নির্মাণ ও বরাদ্দ কেন অবৈধ নয়, তা জানতে চেয়ে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জবাব চাওয়া হয়।
কিন্তু উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞার পরও আদেশ অমান্য করে সেই হাটে দোকানঘর নির্মাণ অব্যাহত রেখেছেন ওই হাটের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলে অভিযোগ করেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা। তারা জানান, সরকারি নিয়ম বর্হিভূতভাবে হাট বাণিজ্যে লিপ্ত হয়েছেন বর্তমান বাজার কমিটির সভাপতি এমদাদুল হক ও সেক্রেটারি আফজাল হোসেন।
এমদাদ পবা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও তার ছেলে বড়গাছী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সাগর। তারা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সরকারি খাস জায়গায় নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে ও স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে হাটের বরাদ্দকৃত জায়গা বিক্রি করছে। এছাড়াও এসব অনিয়মে ইউএনও ও এসিল্যান্ড সহ সরকারি কর্মকর্তাদের জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
ব্যবসায়ীরা আরও জানায়, ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের নির্দেশে বাজার কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সরকারি নিয়ম অমান্য করে বড়গাছী হাটের সরকারি ভাবে নির্মিত চারটি শেড ভেঙে দিয়েছে। এতে করে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা।
এ ব্যাপারে জানতে পবার বড়গাছি বাজার কমিটির সভাপতি এমদাদুল হকের সাথে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
বিষয়টি নিয়ে রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ জানান, পবার বড়গাছি হাটের দোকানঘর নির্মাণ বিষয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা কাজ করছি।


প্রকাশিত: অক্টোবর ৩, ২০২৩ | সময়: ৬:৩৬ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ