সেন্টুর সকল দায়িত্ব নিলো আত-তাইয়েবা ফাউন্ডেশন

স্টাফ রিপোর্টার:

অক্সিজেন নললাগিয়ে রিকশা চালানো সেই মাইনুজ্জামান সেন্টুর পরিবারসহ সকল কিছুর দায়িত্ব নিয়েছে আত-তাইয়েবা ফাউন্ডেশন। আত-তাইয়েবা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতার চেয়ারম্যান শেখ রুবেল রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সেন্টুকে দেখতে এসে এই ঘোষণা দেন। রোববার তিনি ঢাকা থেকে অসুস্থ্য সেন্টুকে দেখতে আসেন। এসময় তিনি তাকে আর্থিক সহায়তা করেন প্রদান।
চেয়ারম্যান শেখ রুবেল বলেন, আমি বিভিন্ন গণমাধ্যমে রিকশা চালক সেন্টুর খবর দেখেছি। এর পর রাজশাহীতে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তার সাথে কথা বলে ভালো লেগেছে। তার চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছি। সেন্টুর পরিবার তার বাসস্থান ও কর্মের ও দায়িত্ব নিলাম। তিনি সুস্থ্য   হয়ে উঠলে তার নতুন একটি  কর্মসংস্থানের   করা হবে। এর পর তার বাসস্থান নিশ্চিত করা হবে।
এ সময় তার সাথে   উপস্থিত    ছিলেন আত-তাইয়েবা ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারী জেনারেল মাওলনা  মিজানুর রহমান। বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী সদস্য  ফটো সাংবাদিক এস এ মাসুদ ও সদস্য ফটো সাংবাদিক মো: শরিফুল ইসলাম। বকাউল ট্রেডার্সের  পরিচালক মো: সুমন বকাউল। এ ছাড়াও বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট  অ্যাসোসিয়েশনের রাজশাহী শাখার স্ভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ ও সাধারণ সম্পাদক সামাদ খান উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, পাঁচ বছর আগে একটি বেসরকারি সংস্থা থেকে ৮০হাজার টাকা ঋণনিয়ে একটি রিকশা কিনে ছিলেন মাইনুজ্জামান। দুই বছরের মাথায় নগরের ঘোষ পাড়ার মোড়ে রিকশাটি চুরি হয়ে যায়। পরে আবার ঋণ করে আরেকটি রিকশা কিনে সেটি চালাতেন।

এরই মধ্যে হার্নিয়ার অস্ত্রো পচারের জন্য আর ও ৫০হাজার টাকা ঋণ করতে হয় তাঁর।প্রতি সপ্তাহে দুই জায় গায় ১হাজার ৩৫০টাকা করে কিস্তি দিতে হয়।দিনে তিনটি অক্সিজেন সিলিন্ডার লাগে।ওষুধ ও অক্সিজেন মিলে তার দিনে ৬০০টাকা খরচ হয়।
দুই মাস ধরে তিনি বেশি অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। অক্সিজেন ছাড়া চলতে পারছিলেন না। সর্বশেষ দুই দিননাকে অক্সিজেন নলনিয়েই রিকশা চালিয়েছেন।গত রোববার হাসপাতালে ভর্তি হন।

সানশাইন/সোহরাব