পবায় বিদ্যালয়ের গাছ কাটার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর পবা উপজেলার বড়গাছী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে। অথচ গাছটি ওই বিদ্যালয়ের নয় বলেও জানা গেছে।
জানা গেছে, গত সোমবার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দা সুরভী রহমান একটি বড় শিশু গাছ কাটার সময় বাধা দেন এলাকাবাসী। এতে গাছ বিক্রি করলেও এলাবাসীর চাপের মুখে এখনও গাছ সরানো হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে বলেন, গাছের আনুমানিক মূল্য ৩০ হাজার টাকা। গাছ কর্তনের সময় এলাকাবাসী তা বিক্রি ও গাছ কর্তনে বাধা প্রদান করেন। এলাকাবাসীর বাধার মুখে প্রধান শিক্ষক গাছ কাটতে ব্যর্থ হন। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বড়গাছী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গোলাম মুর্শেদ বলেন, গাছটি যে জমিতে ছিল তা ওই বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রিকৃত জমিতে নয়। বড়গাছী স্কুল এন্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ এক সময় গাছটি রোপন করেছিল। আগে বড়গাছী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি ছিল মাত্র ৬ শতাংশ। সরকারি শর্তমতে এলাকার মানুষ বড়গাছী স্কুল এন্ড কলেজের ৬০ শতাংশ জমি স্থানীয় রেজুলেশনের মাধ্যমে দান করে। তিনি আরো বলেন গাছটির দাম ৩৫-৪০ হাজার হলেও মাত্র ২৫ হাজারে বিক্রি করা হয়েছে।
এদিকে গাছ কাটার জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিস ও বনবিভাগের অনুমতি নেয়া হয়নি বলে জানা গেছে। এব্যাপারে প্রধান শিক্ষক সৈয়দা সুরভী রহমান বলেন, গাছটি মরে গিয়েছিল এবং একেবারে ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল। তিনি মৌখিকভাবে উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার রোজি খন্দকারকে বিষয়টি জানিয়েছেন। রোজি খন্দকার তাকে মৌখিকভাবে গাছ কাটার অনুমতি দিয়েছেন বলে জানা অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক। তবে রোজি খন্দকার বলেন, গাছ কাটার পরে তাকে জানানো হয়। তিনি প্রধান শিক্ষককে রেজুলেশন করে গাছটি নিলামে তোলার আবেদন করতে বলেন।
এ ব্যাপারে বড়গাছী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, গাছটি ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় রেজুলেশন করে কাটা হয়েছে। শিক্ষা অফিসকে জানানো হয়েছে। শিক্ষা অফিস নিলামের মাধ্যমে গাছটির দাম নির্ধারণ করবেন। তিনি আরো বলেন, গাছটি কাটা হয়েছে এটা সত্য। কিন্তু বিক্রির বিষয়টি মিথ্যা।
পবা উপজেলা শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন, মরা গাছ হোক আর তাজা গাছ হোক ঝুকিপূর্ণ হলে স্থানীয় কমিটি রেজুলেশন করে উপজেলা অফিসে পাঠাবেন। এরপর উপজেলা শিক্ষা অফিস জেলা শিক্ষা অফিসে এবং জেলা শিক্ষা অফিস বনবিভাগকে জানাবেন। এরপর বনবিভাগ থেকে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ ও দাম নির্ধারণ করবেন। এরপর উপজেলা নিলাম কমিটি নিলাম ডাকবেন।


প্রকাশিত: আগস্ট ৩১, ২০২৩ | সময়: ৫:১১ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ