দামনাশ-পারদামনাশ স্কুলের সভাপতি ও সহকারী প্রধান শিক্ষক এলাকাছাড়া

মান্দা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাগমারায় ১০দিন ধরে এলাকাছাড়া দামনাশ-পারদামনাশ উচ্চবিদ্যালয়ের সভাপতি ও সহকারী প্রধান শিক্ষক। গোবিন্দপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম বাবু ও তার ক্যাডার বাহিনির হুমকির মুখে এলাকায় ফিরতে পারছেন না তারা।
শুন্য তিনটি পদে নিয়োগকে কেন্দ্র করে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবু ও তার ক্যাডার বাহিনীর হামলা সহ মারধরের শিকার হয়ে এলাকাছাড়া হন ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি বেলাল উদ্দিন ও সহকারী প্রধান শিক্ষক আনিসুর রহমান।
বৃহস্পতিবার বিকেলে মান্দা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিদ্যালয়ের সভাপতি বেলাল উদ্দিন। এ সময় সহকারী প্রধান শিক্ষক আনিসুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে দাবি করা হয় সম্প্রতি দামনাশ-পারদামনাশ উচ্চ বিদ্যালয়ে বেলাল উদ্দিনকে সভাপতি করে ম্যানেজিং কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি গঠনের পর তিনটি শুন্যপদে নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরপর একটি পক্ষ নিয়োগ প্রদানে বাধা সৃষ্টি করে।
এ বিষয়ে গত ৭ এপ্রিল বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি সভায় হামলা চালোনোর অভিযোগ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
বিদ্যালয় সভাপতি বেলাল উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, ‘সভা চলাকালিন গোবিন্দপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম বাবু, সাধারণ সম্পাদক কছিমুদ্দীন ও সাবেক ইউপি সদস্য আবুল হোসেন নেতৃত্বে ৩০ থেকে ৩৫ জন ক্যাডার বাহিনী নিয়ে আমার ও সহকারী শিক্ষকের ওপর হামলা চালানো হয়।’
সভাপতি আরও বলেন, এসময় সহকারী শিক্ষক আনিসুর রহমান কৌশলে পালিয়ে যান। এরপর হামলাকারীরা আমাকে স্কুলের একটি কক্ষে আটক রেখে জোরপূর্বক ৩০০ টাকার ফাঁকা স্ট্যাম্প ও কয়েকটি ফাঁকা রেজুলেশনে স্বাক্ষর করে নেয় এবং সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে।
স্বেচ্ছায় সভাপতির পদ ছেড়ে না দিলে প্রাণনাশের হুমকিও দেন হামলাকারীরা। এরপর থেকে বিদ্যালয়ের সভাপতি বেলাল উদ্দিন ও সহকারী প্রধান শিক্ষক আনিসুর রহমান চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়েছে।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গোবিন্দপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম বাবু।
তিনি বলেন ওই বিদ্যালয় নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে জটিলতা চলছে। বিষয়টি সুরাহার জন্য ওইদিন আমরা বিদ্যালয়ে গিয়েছিলাম। ফাঁকা স্ট্যাম্প ও ফাঁকা রেজুলেশনে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ সঠিক নয়। বিদ্যালয়ের যাবতীয় কাগজপত্র ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের কাছে গচ্ছিত আছে।


প্রকাশিত: এপ্রিল ১৯, ২০২৪ | সময়: ৫:০৫ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ