বাঘার পাকা রাস্তায় কাঁচা মাটির প্রলেপ,ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা

স্টাফ রিপোর্টার,বাঘা :

রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বিভিন্ন পাকা রাস্তায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে কাঁচা মাটির প্রলেপ। এই মাটি গুলো আসছে পুকুর খনন থেকে। এ বিষেয়ে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সেটি মানছেনা কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি। এ বিষয়ে প্রশাসনের ভুমিকা নিরব বলে অভিযোগ করেছেন এলাকার লোকজন । ফলে প্রয়স: ঘটছে সড়ক দুর্ঘটানা।

 

স্থানীয় লোকজন জানান, পুকুর খননের মাটি বহনের কারনে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার পাকা রাস্তা জুড়ে কাদায় পরিপুর্ন হয়ে গেছে। রাতে এক পসলা বৃষ্টির কারনে দুর্ভোগ বাড়িয়ে দিয়েছে উপজেলার প্রায় ৮-১০টি পাকা সড়ক। জনসাধারনের চলাচলে ঝুঁকিপুর্ন-সহ প্রতিনিয়ত ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। লোকজনের অভিযোগ, পুকুর খননের মাটি বহনের জন্য পাওয়ার টলি, ট্রাক ও ট্রাক্টরের মাধ্যমে উপজেলার বিভন্ন গ্রামের পিচঢালা পাকা রাস্তা ব্যবহার করা হয়। আর মাটি বহনকারী এসব যান বেপরোয়া গতিতে যাওয়ার সময় সড়কে পড়ে থাকে মাটির প্রলেপ। এরপর সামান্য বৃষ্টিতে সড়কগুলো কাদায় পরিপুর্ন হয় ও পিচ্ছিল হয়ে পড়ে। এ সময় মোটর সাইকেল-সহ ছোট খাট যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপুন্ন হয়ে পড়ে এবং প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে সড়ক দুর্ঘটনা। সেই সাথে পথচারিরাও পথ চলতে গিয়ে অনেক সময় পিছলে পড়ে যান ।

 

 

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বাঘা উপজেলার আড়পাড়া, আামোদপুর, বলিহার,বারখাদিয়া, মনিগ্রাম, তুলশিপুর, ছাতারী ,বাউসা ও তেথুলিয়ার বিলে এই মুহুর্তে পুকুর খননের হিড়িক পড়ে গেছে। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে পরদিন সকাল ৯ টা পর্যন্ত চলছে একটানা পুকুর খনন। এলাকার লোকজন বলছেন, সরকারি ভাবে পুকুর খননে বাধা-নিষেধ থাকলেও এই আইন মানছেনা রাজনৈতিক দলের নেতারা। তারা প্রভাব খাটিয়ে একের-পর এক পুকুর খনন করে চলেছে। যা দেখেও দেখছেনা স্থানীয় প্রশাসন। এতে করে একদিকে যেমন নষ্ট হচ্ছে পাকা রাস্তা-সহ আবাদি জমি,অপর দিকে তৈরী হচ্ছে জলাবদ্ধতা।

 

 

এদিকে বিভিন্ন সড়কের পাশের বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে মাটি ব্যবসায়ীদের কারনে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকার মানুষ। মাঝে-মধ্যে সামান্য বৃষ্টি হলেই কাদায় পরিপুন্ন পাকা সড়কে পাঁয়ে হেটে চলাও সম্ভব হচ্ছে না। দেখে বোঝার উপায় নেই, এসব সড়ক পিচঢালা পাকা রাস্তা-নাকি অন্য কিছু। এ নিয়ে ইতোমধ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সুশীল সমাজের লোকজন। তাঁরা বলছেন, যে ভাবে পুকুর খনন চলছে ,যদি বাধা সৃষ্টি না করা হয় তাহলে সামনের মৌসুমে ধান চাষা কমে আসবে।

 

উপজেলার বলিহার গ্রামের মাইক্রো ড্রাইভার অমৃত কুমার জানান, বাঘার বিভিন্ন বিলে এখন পুকুর খননের ফলে রাস্তায় মাটির প্রলেপ পড়ে রয়েছে। এর ফলে ধীর গতিতে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। যদি কেও জোরে চালানোর চেষ্টা করছে, তখন তিনি দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।

এ বিষয়ে বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তরিকুল ইসলাম জানান, এখানে এই মুহুর্তে সহকারী কমিশনার (ভুমি) পদটি শুন্য রয়েছে। যতটুকু খবর রাখি, দিনের বেলায় অত্র উপজেলায় কেও পুকুর খনন করছে না। দু’একজন রাতের আধারে পুকুর খনন করলেও বিলে প্রবেশ করা একটু কঠিন। তার পরেও কিছু জায়গায় অভিযান দেয়া হয়েছে। তিনি জনদুর্ভোগ লাঘবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে অভিমত ব্যক্ত করেন ।

সানশাইন / শামি


প্রকাশিত: মার্চ ৩১, ২০২৪ | সময়: ৭:৫৪ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine