বাগমারায় হাটের জায়গায় স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ!

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর বাগমারার এক প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে একডালা হাটের জায়গা দখল করে স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইজারাদারের অভিযোগ, দখল করে স্থাপনা নির্মাণের কারণে অন্য ব্যবসায়ীদের সমস্যার পাশাপাশি জায়গা সংকটে পড়বে। এছাড়াও বিশৃঙ্খলার আংশা করা হচ্ছে। তবে প্রশাসনের দাবি জায়গাটি এক বছরের জন্য জায়গার প্রকৃতি পরিবর্তন না করার শর্তে ইজারা দেওয়া হয়েছে।
একডালা হাটের ইজারাদার উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক আসাদুল ইসলাম ওরফে শামীম মীর অভিযোগ করেন, গত সপ্তাহে স্থানীয় মতিউর রহমান নামের এক প্রভাবশালী ব্যক্তি হাটের অভ্যন্তরে ইট দিয়ে বহুতল স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করছেন। তিনি বিষয়টি জানার পর মৌখিক ভাবে উপজেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেন। এরপর নির্মাণ কাজ কয়েক দিন বন্ধ থাকার পর আবারো শুরু করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে নির্মাণ কাজ করতে দেখা যায়। দিন-রাতে মিলে নির্মাণ শ্রমিক দিয়ে দ্রুত কাজটি করা হচ্ছে। শ্রমিকেরা জানান, প্রাথমিক ভাবে একতলা ভবন নির্মাণ করা হবে। পরবর্তীতে তিন তলা পর্যন্ত নির্মাণ করা যাবে।
স্থানীয় ১০-১২জন ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন, হাটের মাঝখানে চলাচলের জায়গার কিছু অংশ দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। রাতারাতি ঘরটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এর ফলে অন্য ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি জায়গা দখলের প্রতিযোগিতা শুরু হবে।
তবে উপজেলা মতিউর রহমান দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, তিনি সরকারের কাছ থেকে ইজারা নিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করছেন। চলাচলের পথ বন্ধ করার অভিযোগও অস্বীকার করেন।
উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ২০ জুলাই জায়গাটি একডালা গ্রামের মতিউর রহমানকে দোকান করার জন্য ইজারা দেওয়া হয়েছে। সরকারের পক্ষে চুক্তি সম্পাদনকারী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুমন চৌধুরী এর সত্যতা স্বীকার করেছেন।
তবে চুক্তিনামা ঘেঁটে দেখা যায়, এক বছরের জন্য ০.০০৫ একর জায়গাটি ২০০ টাকায় ইজারা দেওয়া হয়েছে। সেখানে দুই নম্বর শর্তে বলা হয়েছে, সেখানে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া সেখানে প্রকৃতি পরিবর্তন বা পাকা বা আধাপাকা ছাদ বিশিষ্ট কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। তবে সেখানে পাকা স্থাপনা নির্মাণের দৃশ্য দেখা যায়। নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে অধিক জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে।
ইজারাদার আসাদুল ইসলাম বলেন, তিনি এক বছরের জন্য হাটটি ইজারা নিয়েছেন। এর রক্ষণা বেক্ষণের দায়িত্ব তাঁর। তাঁকে না জানিয়ে এবং তোয়াক্কা না করে সেখানে স্থায়ী ও পাকা স্থাপনা নির্মাণের কারণে হাটের জায়গা কমে যাবে। পাশাপাশি অন্যদের মধ্যে সরকারি জায়গা দখলের প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার আশঙ্কা করছেন। তিনি এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।


প্রকাশিত: আগস্ট ৩০, ২০২৩ | সময়: ৫:৫৮ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ

আরও খবর