ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির সম্মেলনে ৫ দফা দাবি

স্টাফ রিপোর্টার : ইটভাটাকে শিল্প হিসেবে ঘোষণাসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাজশাহী নগরীর একটি রেস্তোরাঁয় বিভাগীয় সম্মেলনে দাবিগুলো তুলে ধরা হয়।
বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির রাজশাহী জেলা শাখার আয়োজনে এ সম্মেলনে যে দাবিগুলো উপস্থাপন করা হয় তা হলো-ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন ২০১৯ এর আওতায় ১০০০ মিটার দূরত্ব সংশোধন করে ৪০০ মিটার করা, ইট ভাটায় মাটি সংগ্রহ আইনের জটিলতা নিরসন, জ্বালানী কয়লার মূল্য কমানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা, ইট ভাটা পরিচালনায় পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা ঘোষণা।
ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির নেতারা বলেন, দাবিগুলোর বাস্তবায়ন না হলে আগামী ২০২৪-২০২৫ মৌসুমে রাজশাহী বিভাগে ইট উৎপাদন বন্ধ রাখবেন। তারা বলেন, ২০১৩ সালের ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইনের জিগজাগ ভাটা বৈধ পদ্ধতি হিসেবে উল্লেখ থাকলেও আইনের ৮(৩) (১) এবং ৮(৩) (খ) উপ-ধারায় ‘দূরত্ব নির্দিষ্টকরণে, দেশের অধিকাংশ জিগজাগ ইটভাটা অবৈধ হয়ে পড়ে। এতে মালিকরা ছাড়পত্র ও লাইসেন্স পাচ্ছেন না। আইনের এ ধারার আওতায় বাংলাদেশের কোথাও ইটভাটা স্থাপনের স্থান পাওয়া যাচ্ছে না। এ ধারার সংশোধনের দাবি জানান তারা।
রাজশাহী বিভাগীয় এ সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ইট প্রস্তুত মালিক সমিতির সভাপতি ফিরোজ হায়দার খান। তিনি বলেন, আমাদের নিয়ে আর কানামাছি খেলার কোন সুযোগ নেই। আমরা সারাদেশে সাংগঠনিক কার্যক্রমকে গতিশীল করতে দিনরাত এক করে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের দাবিগুলো নিয়ে সরকারের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনা করছি। ইট ভাটা নিয়ে অনেক গুজব ও বিভ্রান্তি আছে। ইট ভাটা চিরতরে বন্ধ করতে দেশীয় ও আন্তজার্তিক চক্রান্তও আছে। সে চক্রান্ত মোকাবিলা করে উন্নয়নবান্ধব প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতায় ইটভাটাকে শিল্প হিসেবে ঘোষণাসহ ইট মালিকরা সুন্দরভাবে তাদের ব্যবসায়ীক কার্যক্রম চালিয়ে নিতে পারেন সে লক্ষ্যে আগামী দিনে প্রয়োজনে বৃহত্তর কর্মসূচির হুশিয়ারি দেন তিনি।
সমিতির রাজশাহী জেলা শাখার সভাপতি সাদরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সমিতির মহাসচিব মোনায়েম খান রাজা ও রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাষ্টির সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু। এছাড়াও সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, রাজশাহী বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য রাখেন।
এসময় বক্তারা বলেন, সরকারকে ইট প্রস্তুতকারক ভাটার মালিকরা যে ট্যাক্স দেন, অথচ তাদেও কে ব্যবসা করতে হয় চোরের মত। কখন কোন সংস্থা এসে হানা দিয়ে জরিমানা কওে বসে এই আতংকে থাকতে হয়। বায়ুদূষণের ক্ষেত্রে ইটভাটা ১৩% থাকলেও সব সময় আমাদের উপরে শতভাগ দায়ি বলা হচ্ছে। অথচ ইটের ব্যবসা হলো মাত্র ৬ মাস। বাকি ৬ মাস ভাটা বন্ধ থাকে। সভায় বিভিন্ন সময় চাঁদা নিয়ে যায় বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা এবিষয়ে আর যাতে কেউ চাঁদা না নিতে পাওে সেদিকে সকলকে খেয়াল রাখার আহবান জানানো হয়।


প্রকাশিত: মার্চ ৬, ২০২৪ | সময়: ৫:৩৮ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ