শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ।
স্পোর্টস ডেস্ক: চার আসরে তিনবার রানার্সআপ হলেও মিলছিল না শিরোপার দেখা। অপেক্ষার অবসান ঘটাল রংপুর বিভাগ। জাতীয় ক্রিকেট লিগের ২৪তম আসরে নিজেদের দ্বিতীয় শিরোপা জিতে নিল আকবর আলির দল।
বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে লিগের শেষ রাউন্ডের ম্যাচে সিলেট বিভাগকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে রংপুর। ম্যাচের তৃতীয় দিন প্রথম সেশনেই সিলেটের দেওয়া ৮৮ রানের লক্ষ্য টপকে গেছে তারা। আগে ব্যাট করে প্রথম ইনিংসে ১০৭ রানে গুটিয়ে যায় সিলেট। জবাবে রংপুরের ইনিংস থামে ১৮৮ রানে। ৮১ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয়বার ব্যাটিংয়ে নেমেও বড় কিছু করতে পারেনি জাকির হাসানের দল। তারা অলআউট হয় ১৬৮ রানে।
এই ম্যাচটি ছিল একরকম ‘ফাইনাল।’ জিতে গেলে প্রথমবারের মতো জাতীয় লিগের শিরোপার স্বাদ পেত সিলেট। আর স্রেফ ড্র করলেই চলতো রংপুরের। জয় দিয়েই কাজ সারল তারা। প্রথম রাউন্ডে ঢাকার কাছে ইনিংস ও ৬২ রানের পরাজয়ে যাত্রা শুরু করেছিল রংপুর। সেই ম্যাচে দুই ইনিংসে তাদের সংগ্রহ ছিল ৯২ ও ৫৬ রান। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে পরের পাঁচ ম্যাচে চার জয় ও এক ড্রয়ে শিরোপা নিজেদের ঘরে তুলল তারা।
৩৬ পয়েন্ট নিয়ে চলে গেল সবার ধরা ছোঁয়ার বাইরে। ২১ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত দুই নম্বরে আছে সিলেট। অন্য ম্যাচের ফলের প্রেক্ষিতে পাল্টাতে পারে তাদের অবস্থান। ২০১৪-১৫ সালে প্রথমবার জাতীয় লিগে চ্যাম্পিয়ন হয় রংপুর। এরপর সবশেষ চার আসরে তিনবার রানার্সআপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের। গত মৌসুমে কোনো ম্যাচ হারেনি তারা। দুই জয়ের সঙ্গে ড্র ছিল চারটি। তাদের টপকে ৩ জয় ও ২ ড্রয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ঢাকা।
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে পাঁচ ম্যাচ খেলে দলের সর্বোচ্চ ৩২৬ রান করেছেন আবদুল্লাহ আল মামুন। আসরের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন ১৮ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার। বল হাতে তার শিকার ১১ উইকেট। বোলিংয়ে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৫ উইকেট নিয়েছেন তরুণ ডানহাতি পেসার মুশফিক হাসান। আরেক পেসার রবিউল হক পেয়েছেন ১৭ উইকেট।
শেষ রাউন্ডের ম্যাচে দ্বিতীয় দিনেই মূলত শিরোপা জেতার পথ তৈরি করে রেখেছিল রংপুর। বুধবার ম্যাচের তৃতীয় দিন ১০ উইকেট হাতে নিয়ে তাদের করতে হতো স্রেফ ৮৮ রান। তবে সহজে তা করতে দেয়নি সিলেটের পেসাররা।
রান তাড়ায় শুরুতেই সাজঘরে ফিরে যান মাইশুকুর রহমান। মামুনও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। তৃতীয় উইকেটে ৩৫ রান যোগ করেন মিম মোসাদ্দেক ও রিশাদ হোসেন। একই ওভারে রিশাদ ও তানবীর হায়দারকে ফিরিয়ে ম্যাচ জমানোর আভাস দেন তানজিম হাসান।
এরপর উইকেটে গিয়ে পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে ৩ চার ও ১ ছয়ের মারে ১৮ রান করে দলকে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে দেন অধিনায়ক আকবর। জয়ের জন্য ৪ রান বাকি থাকে তাকেও সাজঘরে পাঠান তানজিম। অপরাজিত ২৯ রানের ইনিংসে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে গিয়েই মাঠ ছাড়েন মোসাদ্দেক। ব্যাট হাতে দুই ইনিংসে ২৩ রান ও বোলিংয়ে ৬ উইকেট নিয়ে শেষ রাউন্ডে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছেন মামুন।