মিষ্টিকুমড়া চাষে স্বাবলম্বী হওয়ার আশা শহিদুলের

গোলাম কবির, ভোলাহাট: চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার গোহালবাড়ী গ্রামের নাসিরুদ্দিনের ছেলে শহিদুল ইসলাম মিষ্টি কুমড়া চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার আশায় বুক বেঁধেছেন। মিষ্টি কুমড়া চাষী শহিদুল ইসলাম কেন মিষ্টি কুমড়া চাষে ঝুঁকে পড়লেন এমন গল্প জানালেন এ প্রতিবেদকের কাছে।
তিনি বলেন, আমার অভাব অনটনের সংসারে ইলেকট্রোনিক্স মিস্ত্রী হিসেবে কাজ শুরু করি। কুলিয়ে উঠতে না পারায় সোনাজোল মাঠে অন্যের জমি বর্গা নিয়ে ধান, বরই, টমেটো চাষ শুরু করি। কিন্তু লাভবান হয়ার পরিবর্তে লোকসানের শিকার হই। এতে হতাশ হয়ে পড়ি। এমন সময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুলতান আলী ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সেলিম রেজা-আমাকে মিষ্টি কুমড়া চাষ করার পরামর্শ দেন। পরামর্শ অনুযায়ী সাড়ে ১০ বিঘা জমিতে ভালো জাতের মিষ্টি কুমড়া লাগাই।
এতে ১ বিঘা ধান চাষ করতে ১০ হাজার টাকা খরচ করে পেয়েছি মাত্র ১২ হাজার টাকা। কিন্তু মিষ্টি কুমড়া চাষে ১ বিঘা জমিতে খরচ হয়েছে মাত্র ৭ হাজার টাকা।
তিনি বলেন, অল্প খরচে বিঘা প্রতি ৭০ মণ মিষ্টি কুমড়া উৎপাদন আশা করছি। এতে ৭০ হাজার টাকা আয় হবে। তিনি বলেন, আমার সাড়ে ১০ বিঘা জমিতে খরচ হয়েছে প্রায় ৭৫ হাজার টাকা এবং আয় হবে প্রায় ৭ লাখের উপরে। তিনি মনে করেন অল্প খরচে বেশি আয় আসায় ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন বলে আশা করছেন।
এ বিষয়ে উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সেলিম রেজা বলেন, শহিদুল ইসলাম আগে ধান চাষ করতেন। এতে বিঘা প্রতি খরচ বেশি হতো। কিন্তু আয় লাভজনক হতো না। এবার সাড়ে ১০ বিঘা ধানী জমিতে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করেছেন। প্রচুর ফল এসেছে। খরচ খুব কম এবং আয় অনেক গুনে বেশি হবে।
শহিদুল ইসলাম মিষ্টি কুমড়ায় স্বাবলম্বী হবে বলে জানান। তিনি আরো বলেন, তার ব্লকে শহিদুল ইসলামের মতো আরো অনেক চাষি মিষ্টি কুমড়া চাষে প্রচুর লাভবান হবেন বলে জানান।


প্রকাশিত: নভেম্বর ২০, ২০২৩ | সময়: ৬:২৫ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ