সর্বশেষ সংবাদ :

রামেক হাসপাতালে সাংবাদিককে হেনস্তা করে হত্যার হুমকি দালালের

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে এবার সাংবাদিককে হেনস্তা করে হত্যার হুমকি দিল দালালচক্রের সদস্যরা। শনিবার দুপুর ১টার দিকে হাসপাতালের বহির্বিভাগে দায়িত্ব পালনকালে দৈনিক সোনার দেশ পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক ও ডেইলি বাংলাদেশের রাজশাহী প্রতিনিধি মাহাবুল ইসলামকে হুমকি দেওয়া হয়।
এ সময় নিজেকে হাসপাতালের ‘স্টাফ’ পরিচয় দিয়ে ওই প্রতিবেদককে মারপিটের চেষ্টা করেন। পরে তার ডাকে আরও কয়েক দালাল একত্রিত হয়ে হট্টগোল শুরু করে। প্রতিবেদক ছবি তোলায় ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। ফোন ছিনিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়ে ফোনের ‘ছবি ডিলিট’ করতে কয়েক দালাল মিলে সাংবাদিককে হেনস্তা করে।
এ সময় হাসপাতালের বাইরে বের হলেই হত্যার হুমকি দেওয়া হয় সাংবাদিকদের। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে প্রতিবেদক আনসার সদস্যদের ফোন দিলে তারা পালিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পর আরেকজন দালাল সদস্য আবারও ফিরে এসে নিজেদের ‘কথিত সাংবাদিক’-এর কাছের লোক দাবি করে হাসপাতালের বাইরে বের হলেই ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি দেয়।
হাসপাতালের বহির্বিভাগের তথ্যকর্মী মোসা. সামিয়া খাতুন বলেন, ‘এদিন ওই সাংবাদিকের ডাকে আমি এগিয়ে আসি। আনসার সদস্যদেরও ডাকি। টের পেয়ে দালালরা পালিয়ে যায়। পরক্ষণেই আরেকজন দালাল এসে কথিত সাংবাদিকের কাছের লোক পরিচয় দিয়ে বাইরে বের হলে সোনার দেশ পত্রিকার প্রতিবেদক মাহাবুল ইসলামকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। বিষয়টি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
হেনস্তার শিকার সাংবাদিক মাহাবুল ইসলাম বলেন, ‘আমি বহির্বিভাগের টিকিট কাউন্টারের ছবি নিচ্ছিলাম। পরক্ষণেই হাসপাতালের স্টাফ পরিচয় দিয়ে কেন ছবি তুলছেন? তা নিয়ে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। অন্য দালালরাও এগিয়ে আসে। ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় কথিত দুই সাংবাদিকের কাছের লোক পরিচয় দিয়ে হত্যার হুমকি দেয়। তারা আমাদের ঘিরে ধরে হাসপাতালের বাইরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টাও করে। পরক্ষণেই আনসার সদস্যদের ফোন করার উদ্দেশ্যে কললিস্টে প্রবেশ করে সিনিয়র কর্মকর্তাদের নম্বর সেভ করা দেখে পালিয়ে যায়। পরে হাসপাতালের তথ্যকর্মীর সামনে বাইরে বের হলে আরেক দফা হুমকি দেয়।
এ বিষয়ে রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহমেদ বলেন, ‘হাসপাতাল দালালমুক্ত করার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আগের মতো দালাল আর নেই। কেউ দালাল এটা বুঝতে পারলেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তারপরও কিভাবে ঢুকে পড়ছে দেখছি। আর সাংবাদিককে হেনস্তার বিষয়টি জেনেছি।’


প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৯, ২০২৪ | সময়: ৬:৪৩ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ