উচ্চ ফলনশীল ফসলের ৬৫২ জাত উদ্ভাবন বারির

সানশাইন ডেস্ক: উচ্চ ফলনশীল, রোগ প্রতিরোধক্ষম ফসলের জাতসহ যেসব উন্নত প্রযুক্তি বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) বিজ্ঞানী ও গবেষকরা উদ্ভাবন করেছেন, তার সংখ্যা প্রকাশ করা হয়েছে।
বারি বলছে, তাদের বিজ্ঞানীররা এ পর্যন্ত বিভিন্ন ফসলের ৬৫২টি উচ্চ ফলনশীল (হাইব্রিডসহ), রোগ প্রতিরোধক্ষম ও বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশে চাষোপযোগী জাত উদ্ভাবন করা করেছেন। এছাড়া ৬৪০টি উৎপাদন প্রযুক্তিসহ এ পর্যন্ত মোট এক হাজার ২৯২টি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন বারির গবেষকরা।।
শুক্রবার গাজীপুর শহরে ইনস্টিটিউটের কাজী বদরুদ্দোজা মিলনায়তনে বারি’র ‘কেন্দ্রীয় গবেষণা পর্যালোচনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন কর্মশালা-২০২৩’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়। সেখানেই তুলে ধরা হয় উদ্ভাবনের এ তথ্য। বারির মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার।
তিনি বলেন, “কৃষিক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জনে গবেষকরা তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবেন এবং এ পক্রিয়ার মাধ্যমেই চলমান পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, সহস্রাব্দ উন্নয়ন, রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ এবং এসডিজি পরিকল্পনার লক্ষ্যসমূহ অর্জন করে দেশ এগিয়ে যাবে।”
বারির মহাপরিচালক দেবাশীষ সরকার বলেন, গত ২০২২-২০২৩ সালে যেসব গবেষণা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছিল সেগুলোর মূল্যায়ন এবং কাজের অভিজ্ঞতার আলোকে আগামী ২০২৩-২০২৪ সালের গবেষণা কর্মসূচি প্রণয়নের উদ্দেশ্যে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। “এ সব প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ফলে দেশে তেলবীজ, ডালশস্য, আলু, সবজি, মসলা এবং ফলের উৎপাদন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব প্রযুক্তির উপযোগিতা যাচাই বাছাই ও দেশের বর্তমান চাহিদা অনুযায়ী প্রযুক্তি উদ্ভাবনের কর্মসূচি গ্রহণ করাই এ কর্মশালার উদ্দেশ্য।”
এই কর্মশালার কারিগরি অধিবেশন আগামী ১০ থেতে ১২ ডিসেম্বর নিয়মিতভাবে হবে। কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান জনাব আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ এনডিসি এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বারির পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) ফেরদৌসী ইসলাম। অনুষ্ঠানে বারির গবেষণা কার্যক্রম ও সাফল্যের উপর সংক্ষিপ্ত উপস্থাপনা উপস্থাপন করেন পরিচালক (গবেষণা) মো. আব্দুল্লাহ ইউছুফ আখন্দ।
অন্যদের মধ্যে বারির পরিচালক (পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন) দিলোয়ার আহমদ চৌধুরী, পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ) মো. তারিকুল ইসলাম, পরিচালক (তৈলবীজ গবেষণা কেন্দ্র) মো. নজরুল ইসলাম, পরিচালক (উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র) মুন্সী রাশীদ আহমদ, পরিচালক (কন্দাল ফসল গবেষণা কেন্দ্র) সোহেলা আক্তার উপস্থিত ছিলেন।


প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৯, ২০২৩ | সময়: ৬:৫৩ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ