বাগমারা থেকে নিয়োগ বানিজ্য-দূর্নীতি দূর করতে চাই: মেয়র কালাম

স্টাফ রিপোর্টার, বাগমারা: আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-৪ বাগমারা আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেয়েছেন তাহেরপুর পৌরসভার টানা তিন বারের সফল মেয়র পৌর আ’লীগের সাধারন সম্পাদক কারা নির্যাতিত সাবেক ছাত্রনেতা অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ। তিনি তাহেরপুর পৌরসভাকে ডিজিটাল ও মডেল পৌরসভায় রুপান্তরিত করেছেন। এবার তিনি স্বপ্ন দেখছেন গোটা বাগমারাকে নিয়ে। সম্প্রতি সানশাইনের সাথে আলাপচারিতায় আবুল কালাম আজাদ জানান তার স্বপ্ন ও পরিকল্পনার কথাঃ
সানশাইন: নিপিড়িত নির্যাতিত মানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলন সংগ্রাম শুরু করে বাগমারা তৃনমূল আ’লীগ থেকে আপনারা চারজন মনোনয়ন প্রত্যাশি ছিলেন। তাদের মধ্যে আপনি মনোনয়ন পেয়েছেন। এটাকে কিভাবে দেখছেন-
কালাম: বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তি যুদ্ধের চেতনা বুকে ধারন করে আমি ছাত্রলীগের রাজনীতিতে ঝাপিয়ে পড়ি। ছাত্রলীগ করার কারণেই আমি গুলিবিদ্ধ ও কারা নির্যাতিত হয়েছি। আমি নির্যাতিত। তাই বিগত ১৫ বছর বাগমারায় একজন হাইব্রীড আ’লীগ ও জামায়াত শিবিরের দোসর এমপি’র শাসনামলে বাগমারাবাসীর উপর যে অত্যাচার নির্যাতন চালানো হয়েছে। এখানে প্রকৃত আওয়ামীলীগ ও মুজিব ভক্তদের কোনঠাসা করে রাখা হয়েছে। আমি বাগমারার মানুষের এই বেদনা ও কষ্টের কথা জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে তুলে ধরেছি। তারা যাচাই বাছাই করে আমার কথার সত্যতা পেয়েছেন। তাই আমাকে বাগমারায় নৌকার মাঝি করে পাঠানো হয়েছে।
সানশাইন: তাহেপুর পৌসভাকে আপনি ডিজিটাল ও আধুনিক পৌরসভায় রুপান্তর করেছেন। এবার এমপি নির্বাচিত হয়ে বাগমারা নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কী?
কালাম: তাহেরপুর পৌরসভায় বিগত তিন টার্মে আমরা ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। যার সবকিছুই দৃশ্যমান। তাই তো তাহেরপুরবাসী আমাকে ৮০-৮৫ পারসেন্ট ভোট দিয়ে বারবার নির্বাচিত করেছে। বাগমারা নিয়ে আমার মহাপরিকল্পনা রয়েছে। বিগত দিনে এখানে শুধু লুটপাট, নিয়োগ বানিজ্য, ইউপি ভোটে মনোনয়ন বানিজ্য, চাকুরী দেওয়ার নামে নারীদের ধর্ষণ করা হয়েছে। আমি এমপি নির্বাচিত হলে এ সবকিছুর অবসান ঘটবে। ইতিপূর্বে আপনারা তাহেরপুর কলেজ ও তাহেরপুর হাইস্কুলে আমার নিয়োগ প্রক্রিয়া দেখেছেন। সেখানে টাকা নয় যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দিয়েছি। আমি চাই এলাকার শিক্ষার উন্নয়ন ও দক্ষ জনগোষ্ঠি।
সানশাইন: বর্তমান সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে নিয়োগ বানিজ্য, মনোনয়ন বানিজ্য, নারী কেলেংকারি সহ কিছু খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। এ বিষয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কী?
কালামঃ ওনি(এমপি এনামুল) এই ১৫ বছরে বাগমারায় শতশত যুবতী-তরুনীকে চাকুরী ও সুযোগ সুবিধা দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে ইজ্জত লুট করেছে তার ইয়ত্তা নেই। একটা চাকুরীর পোষ্টে ১৫-২০ জনের কাছে টাকা নিয়েছেন। ইউনিয়ন ভোটে শতশত নেতা কর্মীকে মনোনয়ন দিবে বলে টাকা নিয়েছেন। ওনার বিরুদ্ধে কতগুলো মামলা হয় আর কত লোক অবরোধে নামে দেখেন। ওনি বাগমারা থেকে নির্বাচন তো দূরের কথা, এখানে ঢুকতে পারবে না টিকতেও পারবে না। নির্যাতিত ভুক্তোভোগিরা তাকে প্রতিরোধ করবে। অপেক্ষায় থাকেন বাগমারাবাসী কড়ায় গণ্ডায় হিসাব আদায় করে নিবে। সেদিন বেশি দূরে নয়।
সানশাইন: আপনি তো যুগ যুগ ধরে এলাকায় কাজ করছেন। ছাত্ররাজনীতি দিয়ে আপনার পদচারনা শুরু। এবারের নির্বাচন নিয়ে সাধারন ভোটাররা কী ভাবছে-
কালামঃ বাংলাদেশ ও শেখ হাসিনা আজ বিশে^র মডেল। আমার জীবন শুরু তৃনমূল জনতা নিয়ে। এখানো তৃনমূলের সাথে আছি। আগামীতেই থাকবো। এই তৃনমূল মানুষের চাওয়া পাওয়া খুবই কম। অল্পতেই তারা তুষ্ট। তারা চায় এলাকার রাস্তাঘাট, বিদ্যুত উন্নয়ন। জবর-দখল, পেশী শক্তির দাপট, জুলুমবাজ এ সমস্ত থেকে মানুষ মুক্ত থাকতে চায়। তাদের এই অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমাকে শেখ হাসিনা নৌকা প্রতীক দিয়ে বাগমারায় পাঠিয়েছেন। আমি এমপি নির্বাচিত হলে নতুন বাগমারা গড়ে তুলবো।
সানশাইন: তাহেরপুর ঐতিহাসিক স্থান-দূর্গাপূজার উৎপত্তিস্থল। এটি নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কী?
কালাম: গোটা বাগমারা নিয়ে আমার পরিকল্পনা। তাহেরপুরকে যেভাবে সাজিয়েছি। তার দ্বিগুণ সৌন্দর্যে গোটা বাগমারাকে সাজাবো।
সানশাইন: এই নির্বাচনে আরো চারজন প্রার্থী আছেন। জয়ের বিষয়ে আপনি কতটা আশাবাদীঃ
কালাম: শতভাগ আশাবাদী। আপামর বাগমারাবাসী পরিবর্তন চেয়েছে। পরিবর্তন হয়েছে। এখন সময়ের অপেক্ষা।


প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১, ২০২৩ | সময়: ৬:৪০ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ