ভুয়া এনএসআই কর্মকর্তা সেজে প্রতারণা, অবশেষে গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দেখতে প্রশাসনের লোকের মতো, কথাবার্তায় স্মার্ট। এনএসআই এর রাজশাহী অঞ্চলসহ মহাপরিচালক সবার নাম মুখস্থ, সেই সাথে আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদেরও। যেকেউ তাকে আসল এনএসআই কর্মকর্তা মনে করবে।

এই প্রতারকের নাম মো: দুলাল হোসেন। বাড়ী রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলার বাজুপাখা নতুন পাড়া গ্রামের মৃত আ: সামাদের ছেলে।

ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় একাধিক নেতা, এনএসআই ডিজিএফআইয়ের উর্ধতন কর্মকর্তার নামে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই প্রতারক দুলাল হোসেন।

প্রতারকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় সংসদ সদস্য ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময়, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ এনএসআই এর রাজশাহী বিভাগীয় কর্মকর্তা, মহাপরিচালকের নাম ব্যবহার মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার প্রমাণ মিলেছে।

সম্প্রতি এই প্রতারকের বিষয়ে জানতে পেরে এনএসআই রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের উদ্যোগে গত ১০ ডিসেম্বর ডিবি টিম নিয়ে প্রতারক দুলালের শ্বশুর বাড়ি তে রাত ১০টায় যৌথ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করে। এসময় প্রতারক দুলালের কাছে এনএসআই এর যুগ্ম পরিচালকের একটি ও সুপারিন্টেন্ডেন্ট অফ পুলিশের একটি ভূয়া আইডি কার্ড পাওয়া যায়।

গ্রেফতারকৃত প্রতারক দুলাল হোসেন নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার ইউপি নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী শাহ আলম মাস্টারের নিকট হতে প্রায় ৩৭ লক্ষ টাকা এবং একই জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার আরেক মনোনয়ন প্রত্যাশী মোঃ শাহিন সরকারের নিকট হতে প্রায় ৩৯ লক্ষ সহ একাধিক ব্যক্তির নিকট হতে ২০২১ সালের জানুয়ারি মাস হতে কয়েক ধাপে বিভিন্ন মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যক্তিদের মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়ার তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে।

প্রতারক দুলালের সহযোগী হিসেবে কাজ করে দুজনের নাম জানা যায়। তারা হলো; মোঃ মহিদুল ইসলাম, রাজশাহী বাঘা উপজেলার পুরাতন বাসস্ট্যান্ডের দক্ষিণ মিলিক বাঘা গ্রামের মৃত: খলিল মগের ছেলে।
আরেকজন মোঃ মাজেদুল বারী নয়ন। সে নাটোর বরাইগ্রাম উপজেলার নওপাড়াহাটের মৌখাড়া গ্রামের মোঃ আজাদুল বারী ওরফে আজাহার আলী ফকিরের ছেলে।

তাদের নামে রাজশাহী বাঘা থানায় মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগীরা। প্রতারণা ও অর্থ আত্নসাতের জন্য বাঘা থানায় বাদী শাহীন সরকার কর্তৃক অভিযুক্ত এর নামে মামলা হয়। মামলা নং-১৪, তারিখ-১৭/১২/২০২১ খ্রিঃ। ধারা-দন্ডবিধির ৪০৬/৪২০/৪৩৪ অনুসারে।

ভুয়া সরকারি কর্মকর্তা পরিচয় দেয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত আসামীর বিরুদ্ধে ১৭০/৪৬৫/৪৭১ ধারা অনুযায়ী আরেকটি মামলা রুজু হয়।


প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৯, ২০২১ | সময়: ৫:৪৩ অপরাহ্ণ | সুমন শেখ