শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
অহিদুল হক, বড়াইগ্রাম: নাটোরের বড়াইগ্রামে কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে শেষ মূহুতে দগদগে আগুনে পোড়ানো গরম লোহায় ওস্তাদ-সাগরেদের টুং টাং শব্দে ছন্দময় পিটাপিটিতে মুখর হয়ে উঠেছে কামারশালাগুলো।
উপজেলা সদর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত জনপদের কামারশালাগুলো এখন দারুণ ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। দম ফেলার ফুরসত নেই কামারদের। এদিকে, ধাতব সরঞ্জামাদী শান দিতে শানদান গুলোতেও ভীড় ক্রমশ বাড়ছে। ভ্রাম্যমাণ শানদানিরা চষে বেড়াচ্ছে এখানে সেখানে।
মঙ্গলবার জোনাইল বাজারের বিমল কর্মকার জানান, কোরবানী ঈদে হাজার হাজার গরু, খাসি, ভেড়া, মহিষ ইত্যাদি পশু কোরবানী করা হয়ে থাকে। এসব পশু জবাই থেকে শুরু করে রান্নার জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি পর্যন্ত দা-বটি, ছুরি ছোরা, চাপাতি ইত্যাদির ধাতব হাতিয়ার প্রয়োজন পড়ে। ঈদের বিপুল চাহিদার যোগান দিতে আরও এক মাস আগে থেকেই কাজ শুরু হয়েছে। ঈদের আর কয়েকদিন বাঁকি থাকলেও পাইকারী দোকানদার ও খুচরা ক্রেতাদের চাহিদা সরবরাহ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ঈদের আগ পর্যন্ত ঠিকমত নাওয়া খাওয়ার সময় পাওয়া যাচ্ছে না। কাঁচা-পাকা লোহা দিয়ে তৈরী করা হয় এসব ধাতব যন্ত্রপাতি। পাকা লোহার দা-ছুরি সবসময়ই বেশি দামে বিক্রি হয়ে থাকে।
লক্ষ্মীকোল বাজারের বিপেন কর্মকার জানান, আকৃতি ও লোহা ভেদে দা ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা, ছুরি ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, বড় ছুরি ৭০০-১৫০০ টাকা, ছোরা প্রতিটি সর্বোচ্চ ১০০ টাকা, হাড় কোপানোর চাপাতি এক একটি ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা এবং ধার দেয়ার স্টিল প্রতিটি ১০০ টাকা করে বেচাকেনা হচ্ছে।
পুরনো যন্ত্রপাতি শান দিতে বা ‘পানি’ দিতে ৫০-১০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে এক দামের কারবার নেই। বিক্রেতার সাথে আলোচনা সাপেক্ষে ক্রেতা দাম চূড়ান্ত করতে পারবেন বলে তিনি জানান।