নাটোরে আওয়ামী লীগের এমপি বকুলের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলা

নাটোর প্রতিনিধি:
নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি শহিদুল ইসলাম বকুলের বিরুদ্ধে আদালতে একটি হত্যা কান্ডের বিষয়ে নালিশী মামলা জমা দেয়া হয়েছে। নাটোরের বাগাতিপাড়া আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আবু সাঈদ অভিযোগটি আমলে নিয়ে আগামী ১৫জুন এ বিষয়ে আদেশ দেয়ার কথা জানিয়েছেন।

বাদী জেলার বাগাতিপাড়া উপজেলার মাড়িয়া গ্রামের মৃত আইয়ুব আলীর স্ত্রী মোছা:শাহানাজ পারভীন (৫০) তার মামলায় অভিযোগ করেন, বাগাতিপাড়া উপজেলার স্যানালপাড়া গ্রামের মো: মহিদুল ইসলাম (৩৬), মাড়িয়া গ্রামের মো: মিজানুর রহমান (৩৬) ও মো: মাইনুল ইসলাম (৩২) এবং মো:আব্দুল মজিদ দীর্ঘদিন থেকে তার স্বামী আইয়ুব আলীর কাছে মিথ্যা অভিযোগে টাকা দাবী করে আসছিল। পরে প্রধান অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম বকুল এমপি নির্বাচিত হওয়ায় তারা আরো শক্তিশালী হয়। তাদের পরামর্শে শহিদুল ইসলাম বকুল এমপি তার স্বামীকে এমপির বাড়িতে ডেকে পাঠায়। অভিযুক্তরা ২০২০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারী সকাল ১০টার দিকে তিনি ও তার স্বামী এবং সাক্ষীদের অভিযুক্তরা এমপি শহিদুল ইসলাম বকুলের বাড়িতে নিয়ে যান। এ সময় এমপি বকুল সকলের সামনে বলেন, মাড়িয়া গ্রামের সবাই চোর। এই শালাকে বেধে ফেল। সাদা স্টাম্পে সই নে। সই না দিলে গাছে ঝুলিয়ে মারপিট কর। অভিযুক্তরা তার স্বামী আইয়ুব আলীকে বেঁধে ফেলে। এ সময় এমপি বকুল নিজে হাতে তার স্বামীকে চড় থাপ্পর মারতে থাকেন। এক পর্যায়ে তার স্বামী মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ঘটনাস্থালেই মারা যায়। পরে তাকে বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সে সময়ই তিনি বাগাতিপাড়া মডেল থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ এমপির বিরুদ্ধে মামলা নেয়নি। স্বামী হত্যার বিচারের আশায় তিনি বৃহস্পতিবার বাগাতিপাড়া আমলী আদালতে পুনরায় নালিশী অভিযোগ দায়ের করেছেন।

বাদীর আইনজীবী এ বিষয়ে জানতে নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের আওয়ামী লীগের দলীয় এমপি শহিদুল ইসলাম বকুলের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তার পিএস অভি নামে একজন ফোন রিসিভ করে এমপি সংসদে বাজেট অধিবেশনে আছেন জানিয়ে কথা বলেন। অভি বলেন, এমপি শহিদুল ইসলাম বকুলের বিরুদ্ধে করা এই অভিযোগ একেবারেই অসত্য।এমপির বাড়িতে সেদিন মারপিট বা হত্যাকান্ডের কোন ঘটনা ঘটেনি। কারো বুদ্ধিতে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে এমন অসত্য অভিযোগ করা হচ্ছে।

সানশাইন/সোহরাব