মঙ্গলবার, ১২ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্পোর্টস ডেস্ক: ব্রেন্ডন ম্যাককালাম কোচ ও বেন স্টোকস অধিনায়ক হয়ে আসার পর বদলে গেছে ইংল্যান্ডের টেস্ট খেলার ধরন। অকুতোভয়, নির্ভীক, ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলে, প্রতিপক্ষের ওপর চড়াও হয়ে, প্রতি আক্রমণে গিয়ে ২২ গজে রানের ফোয়ারা ছুটান তারা।
বোলিংয়েও দেখা যায় একই চরিত্র। স্রেফ প্রতিপক্ষকে এলোমেলো করে দেন ইংলিশরা। নিজেদের মাটির পর পাকিস্তানের কন্ডিশনেও তারা খেলছে সেভাবেই। তাতে রোমাঞ্চ ছড়াচ্ছে, ছড়াচ্ছে উত্তেজনা। যা আধুনিক ক্রিকেটে অনেকেরই পছন্দ হচ্ছে। ম্যাককালাম টেস্ট দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর যে ঘরানার ক্রিকেট খেলছে, সেটিকেই বলা হচ্ছে ‘বাজবল।’
প্রথম এই শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোর যুক্তরাজ্য সম্পাদক অ্যান্ড্রু মিলার। ম্যাককালামের ডাকনাম ‘বাজ’-এর সঙ্গে তার কৌশল ও মানসিকতাকে মিলিয়ে এই শব্দের জন্ম। কিন্তু ‘বাজবল’ শব্দটা একেবারেই অপছন্দ তার। অপছন্দ হলেও তার কোচিং কৌশল মনে ধরেছে অনেকের।
টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশ ধুকছে। এই ফরম্যাটে কিভাবে খেলা উচিত তা এখনও আয়ত্বে আনতে পারেননি ক্রিকেটাররা। দুই দশক পার করে ফেললেও এই ফরম্যাটে পায়ের নিচের মাটি শক্ত হয়নি। নিজেদের পরিবর্তন করে ‘বাজবল’ কৌশল কি রপ্ত করে এগোতে পারে বাংলাদেশ? ভারতের বিপক্ষেই কি সেই কৌশল নেবে বাংলাদেশ? বাংলাদেশের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর উত্তর, ‘না, এটা বাংলাদেশের সঙ্গে মানানসই নয়।’
কেন নয় সেই কারণও ব্যাখ্যা করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ, ‘আমি মনে করি না আমরা ইংল্যান্ডের মতো ব্যাটিং করতে পারব। তারা যেভাবে খেলছে তা অবিশ্বাস্য উত্তেজনাপূর্ণ। তারা খেলাটাকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। এজন্য তাদেরকে ক্রেডিট দিতে হবে। আমাদেরকে আমাদের মতো করে পরাজয় এড়িয়ে জয়ের জন্য লড়তে হবে। আমরা এই ফরম্যাটে সহজেই হেরে যাই। আমি মনে করি ভারতও টেস্ট ক্রিকেটে প্রথাসম্মত দল যারা ম্যাচটাকে দ্রুত আমাদের থেকে লুফে নিতে পারে। আমাদেরকে শৃঙ্খল এবং ধৈর্য্য নিয়ে বোলিং করতে হবে। চাপের মুহূর্তে স্নায়ু নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। তবে ভারত ইংল্যান্ডের মতো খেলবে এমনটা প্রত্যাশা করতে পারছি না। সেটা তাদের খেলার ধরণ নয়।’
বাংলাদেশ সাদা পোশাকে এখনও নিজের অবস্থান শক্তশালী করতে না পারলেও কালেভাদ্রে প্রতিপক্ষকে ঠিকই চমকে দেয়। এ বছরের শুরুতেই নিউ জিল্যান্ডে টেস্ট ম্যাচ জেতে বাংলাদেশ। পরবর্তীতে দক্ষিণ আফ্রিকাতেও প্রায় জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছিল। ব্যর্থতার পাল্লাও ভারী। নিজেদের মাটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচেই হেরেছে গত এপ্রিলে। জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও দুই ম্যাচে হার।
নিয়মিত বিরতিতে সাফল্য আসায় এ ফরম্যাটে উন্নতি তেমন চোখেও পড়ে না। ব্যর্থতার মালার বোঝা সামলাতেই হিমশিম খেতে হয়। তবে কিছু ম্যাচ কাছে গিয়ে হারায় আক্ষেপ আছে ডমিঙ্গোরও, ‘আমরা কয়েকটি ম্যাচ প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেও পেরে উঠিনি। এই জায়গাতে আমাদের উন্নতি করতে হবে। আমরা ম্যাচ পঞ্চম দিনে নিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু দুয়েকটি সেশনে পথ হারিয়ে ফেলছি। এট পর্যাপ্ত টেস্ট হারের জন্য।’