রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর আগমন বিলবোর্ড ফেস্টুনে সাজছে গ্রাম

আসাদুজ্জামান মিঠু: রাজশাহী হতে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দুরে জেলার একেবারে শেষ প্রান্ত মুন্ডুমালা পৌরসভার তেলপাড়া গ্রাম। এ গ্রামে পাঁকা সড়কের পাশ হতে প্রায় ১০ কিলোমিটার তানোর-আমনুরা সড়কে কম পক্ষে অর্ধশত বিশাল আকারের বিলবোর্ড চোখে পড়ছে। বিলবোর্ডে প্রধানমন্ত্রীর হাস্যউজ্জ্বল ছবি। উপরে রয়েছে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ছবি। সেখানে লেখা ২৯ জানুয়ারি রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে জনসভা যোগদিন সফল করুণ।
আগামী ২৯ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর রাজশাহী আগমনে এমন বিলবোর্ড ফেস্টুন শুধু রাজশাহীর তানোর মুণ্ডুমালার শেষ প্রান্তে নয়, জেলার সব উপজেলায় এমন সাজ শুরু হয়েছে। বিশেষ করে নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে এবং প্রধান প্রধান সড়কে বিলবোর্ড তরুণ নির্মানে ব্যস্ত সময় পার করছেন আয়োজকেরা। নগরীর রেলগেট হতে বিমান বন্দর পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর ছবি সংবলিত নির্মান করা হয়েছেন প্রায় ২০টি তোরণ।
এদিকে শুরু বিলবোর্ড তোরণ নির্মানই নয়, জেলা, উপজেলা এবং মহানগরীর আওয়ামী লীগের সকল সহযোগি সংগঠনের দফায় দফায় চলছে প্রস্ততি সভা। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে নেতাকর্মীরে মধ্যে ও দেখা দিয়েছে আনন্দ উৎসহ।
২৯ জানুয়ারি প্রধানমনস্ত্রীর জনসভা সফল করতে এরমধ্যে কেন্দ্র থেকে রাজশাহীতে একাধিক নেতা ও মন্ত্রী এসেছেন। তারা স্থানীয় এমপি, জেলা ও মহানগ নেতাদেন নিয়ে করেছেন একাধিক সভা। দিয়েছেন দিকনির্দেশনাও।
মুন্ডুমালা পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌর মেয়র সাইদুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী আগমন উপলক্ষ্যে তার পৌর এলাকায় ব্যাপক প্রস্ততি নেয়া হয়েছে। কয়েক হাজার পোস্টার ও বিলবোর্ড টাঙ্গানো হয়েছে। স্থানীয় নেতাকর্মীর মধ্যে উৎসাহ উদ্দিপনা দেখা দিয়েছে।
মেয়র সাইদুর রহমান আরো বলেন, আমরা একেবারে তৃর্ণমূল পর্যায়ে নেতাকর্মী নিয়ে থাকি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল এবং বিদ্যুৎসহ বাংলাদেশের যে উন্নয়ন করেছেন তা তৃর্নমুল পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে আমি প্রতি নিয়ত কাজ করছি।
রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামন আসাদ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষ্যে জেলা ও মহানগরী আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা এক যোগে কাজ করছেন। আশা করা হচ্ছে ২৯ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর রাজশাহী জনসভা দেশের ইতি হাসে সব চেয়ে বড় জনসভা হবে আমি মনে করি।