আনিসুলের প্রথম সেঞ্চুরি, এনামুল-সাদমানের ফিফটি

স্পোর্টস ডেস্ক: পায়ের ওপরের ডেলিভারি লেগ সাইডে ঠেলে দৌড় দিলেন আনিসুল ইসলাম। দ্বিতীয় রান পূর্ণ হতেই লাফিয়ে উঠে ছুঁড়লেন মুষ্টিবদ্ধ হাত। ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরির উদযাপনে দুই হাতে উঁচিয়ে ধরলেন ব্যাট-হেলমেট। তার চমৎকার ইনিংস ও সাব্বির হোসেনের ফিফটিতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের চলতি আসরে প্রথম জয় পেল ব্রাদার্স ইউনিয়ন।
বিকেএসপিতে মঙ্গলবার শেষ দিকে জমে ওঠা ম্যাচে অগ্রনী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ব্রাদার্সের জয় ৩ উইকেটে। প্রতিপক্ষের ২৮৬ রান পেরিয়ে যায় তারা ১ বল বাকি থাকতে। ব্রাদার্সের জয়ের নায়ক আনিসুল চারে নেমে ৫ ছক্কা ও ৮ চারে খেলে ১০৭ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস। পেশাদার ক্যারিয়ারে এর আগে দশবার পঞ্চাশের স্বাদ পেলেও তিন অঙ্কের উষ্ণ ছোঁয়া পেলেন প্রথমবার। এমন পারফরম্যান্সের পর ম্যাচ সেরা তিনি ছাড়া আর কে!
আনিসুলের সঙ্গে ১৪৪ রানের জুটিতে দলের জয়ের ভিত গড়ে দেওয়া সাব্বির তিনটি করে ছক্কা-চারে করেন ৬২ রান। অগ্রণী ব্যাংককে বড় পুঁজি এনে দেওয়ার পথে সাদমান ইসলাম করেন ৫৭ রান। শামসুল ইসলামের ব্যাট থেকে আসে ঠিক ৫০ রান। দুইজনে বাউন্ডারি মারেন ৬টি করে। ১ ছক্কা ও ৩ চারে ৬৩ রানের ইনিংস খেলেন মার্শাল আইয়ুব।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা অগ্রনী ব্যাংক তৃতীয় বলেই হারায় আজমির আহমেদকে। সেই ধাক্কা সামাল দেন সাদমান ও জাহিদ জাভেদ। দ্রুত কিছু রান তুলে জাহিদ বিদায় নেওয়ার পর শামসুলকে নিয়ে দলকে টানেন সাদমান। ফিফটির পর রান আউটে কাটা পড়েন সাদমান। কয়েক ওভার পর সাজঘরে ফেরেন শামসুলও। আজিম নাজিরও খেলতে পারেননি বড় ইনিংস। শেষ দিকের ব্যাটসম্যানদের নিয়ে দলের রান বাড়ান মার্শাল।
রান তাড়ায় ভালো কিছুর আভাস দিয়ে ফিরে যান ব্রাদার্সের দুই ওপেনার মিজানুর রহমান ও তানজিদ হাসান। দুইজনেই করেন ২১ রান করে। ৪৭ রানে দুই উইকেট হারানো দলকে পথে রাখেন সাব্বির ও আনিসুল। তাদের জুটিতে লক্ষ্যের দিকে এগোতে থাকে ব্রাদার্স। পঞ্চাশের পর আবু হায়দারকে ছক্কার চেষ্টায় সাব্বির ধরা পড়েন শরিফুল্লাহর হাতে। এরপর মাইশুকুর কিছুক্ষণ সঙ্গ দেন আনিসুলকে।
১০৮ বলে কাঙ্ক্ষিত তিন অঙ্কে পা রাখেন আনিসুল। এরপর বেশিদূর যেতে পারেননি তিনি। আরাফাত সানিকে ছক্কার চেষ্টায় ধরা পড়েন লং অফে। আনিসুলের বিদায়ের পর ৩৭ বলে ৪৩ রানের সমীকরণ মেলানোর পথে দলকে এগিয়ে নেন পাকিস্তানি অলরাউন্ডার সাদ নাসিম ও জাহিদুজ্জামান।
শেষ ওভারে নাটকীয় মোড় নেয় ম্যাচ। ৬ বলে ৭ রানের সমীকরণে প্রথম বলে নাসিমকে হারায় ব্রাদার্স। পরের দুই বলে আসে দুই রান। চতুর্থ বলে দুই রান নেওয়ার চেষ্টায় রানআউট আরাফাত সানি জুনিয়র। পরের বলে ডাবল নেন মানিক খান। ওভারের শেষ বলটি হয় ওয়াইড, সঙ্গে দৌড়ে এক রান নিয়ে জয়ের উল্লাসে মাতে বাদার্স।


প্রকাশিত: মার্চ ২৯, ২০২৩ | সময়: ৬:২৬ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ