সর্বশেষ সংবাদ :

বিনম্র শ্রদ্ধায় সূর্যসন্তানদের স্মরণ

স্টাফ রিপোর্টার : শোক ও বিনম্র শ্রদ্ধায় জাতির সূর্যসন্তানদের স্মরণ করছে রাজশাহীর সর্বস্তরের মানুষ। বুধবার সূর্যোদয়ের পর থেকে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে রাজশাহীতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরের শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফর উল্লাহ ও রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্প্রস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এরপর সেখানে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. আবু কালাম সিদ্দিক ও রাজশাহীর পুলিশ সুপার (এসপি) এবিএম মাসুদ হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা সেখানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এছাড়া আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল পেশাজীবী, স্বেচ্ছাসেবী ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোও নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে বুদ্ধিজীবী দিবসটি পালন করেছে। রাজশাহী সিটি করপোরেশন পৃথক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করে।
সকালে নগরীর সিএন্ডবি মোড়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। এরপর নগরীর টি-বাঁধ সংলগ্ন বাবলাবন বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সিটি মেয়র। এ সময় শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা এবং দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এ সময় সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সূর্যোদয়ের পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ভবন ও হলে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। সকাল ৮টায় উপাচার্য ভবন থেকে প্রভাতফেরি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলক এবং শহীদ মিনার ও বধ্যভূমিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার তাপু, উপ-উপাচার্য সুলতানুল ইসলাম, ড. এম হুমায়ুন কবীর, প্রক্টর আসাবুল হকসহ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা, বিভিন্ন হল প্রশাসন, বিভাগ, বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, স্বেচ্ছাসেবী, রাজনৈতিক, পেশাজীবী সমিতি ও সংগঠন, রাবি সাংবাদিক সমিতির সদস্যরা বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
রাসিক : রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে যথাযথ মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বুধবার সকাল ১১টায় সিএন্ডবি মোড়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যূরালে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন, রাসিকের কাউন্সিলরবৃন্দ, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চার নেতা, মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদগণ ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন এবং তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন সোনাদিঘী জামে মসজিদের পেশ ইমাম ক্বারী মোঃ মামুনুর রশীদ।
এরপরে নগরীর টি-বাঁধ সংলগ্ন বাবলাবন শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শহীদদের স্মরণে রাসিক মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের নেতৃত্বে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন কাউন্সিলর-কর্মকর্তাবৃন্দ। এরপর কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ ও কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ পৃথক পৃথকভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন ও তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন নগরভবন মসজিদের পেশ ইমাম ক্বারী মোঃ আবুল খায়ের।
কর্মসূচিতে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন রাসিকের প্যানেল মেয়র-১ ও ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু। উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র-২ ও ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রজব আলী, প্যানেল মেয়র-৩ তাহেরা খাতুন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিন, ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমিন টুনু, ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুজ্জামান টুকু, ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান, ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এসএম মাহাবুবুল হক পাভেল, ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাসেল জামান, ১০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্বাস আলী সরদার, ১১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রবিউল ইসলাম তজু, ১৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুস সোবহান লিটন, ১৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বেলাল আহম্মেদ, ১৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহাদত হোসেন, ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন, ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রবিউল ইসলাম, ২৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আরমান আলী, ২৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ারুল আমিন আযব, ২নং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর আয়েশা খাতুন, ৩নং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর মুসলিমা বেগম বেলী, ৪নং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর শিরিন আরা খাতুন, ৬নং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর মোসাঃ মাজেদা বেগম, ৭নং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর উম্মে সালমা, ৮নং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর নাদিরা বেগম, রাসিকের সচিব মোঃ মশিউর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী নুর ইসলাম তুষার, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ মোঃ নুর-ই-সাঈদ, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মোঃ মামুন, বাজেট কাম হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম খান, রাসিকের সকল বিভাগ ও শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
মহানগর আওয়ামী লীগ : শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস স্মরণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের উদ্যোগে বুধবার সন্ধ্যায় মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে দলীয় কার্যালয় থেকে একটি আলোর মিছিল বের হয়। আলোর মিছিলটি নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিন শেষে রাজশাহী কলেজ শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়। আলোর মিছিল শেষে রাজশাহী কলেজ শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার সহ-সভাপতি মাহ্ফুজল আলম লোটন, অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, তবিবুর রহমান শেখ, বদরুজ্জামান খায়ের, যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, আসাদুজ্জামান আজাদ, আহ্সানুল হক পিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আসলাম সরকার, প্রচার সম্পাদক দিলীপ কুমার ঘোষ, কৃষি সম্পাদক মীর তৌফিক আলী ভাদু, আইন সম্পাদক অ্যাড. মুসাব্বিরুল ইসলাম, ত্রাণ ও সমাজকল্যান বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ কবির সেন্টু, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রবিউল আলম রবি, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মকিদুজ্জামান জুরাত, শ্রম সম্পাদক আব্দুস সোহেল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক কামারউল্লাহ সরকার কামাল, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক ডাঃ ফ ম আ জাহিদ, উপ-দপ্তর সম্পাদক পংকজ দে, উপ-প্রচার সম্পাদক সিদ্দিক আলম, সদস্য শাহাব উদ্দিন, আশরাফ উদ্দিন খান, আতিকুর রহমান কালু, এ্যাড. শামীমা আক্তার খাতুন, সৈয়দ মন্তাজ আহমেদ, মজিবুর রহমান, ইসমাইল হোসেন, বাদশা শেখ, আলিমুল হাসান সজল, মোখলেশুর রহমান কচি, আশীষ তরু দে সরকার অর্পণ, রাজপাড়া থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শেখ আনসারুল হক খিচ্চু, মহানগর শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওয়ালী খান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শরীফ আলী মুনমুন, মহানগর যুবলীগ সভাপতি রমজান আলী, মহানগর কৃষক লীগ সভাপতি রহমতউল্লাহ সেলিম, সাধারণ সম্পাদক সাকের হোসেন বাবু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক জেডু সরকার প্রমুখ। রাজশাহী জেলা প্রশাসন : রাজশাহীতে দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদা ও বিনম্র শ্রদ্ধার সঙ্গে পালিত হয়। এ উপলক্ষ্যে সকাল সাড়ে দশ’টায় রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জাতীয় জীবনে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসের গুরুত্ব, তাৎপর্য ও মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের অবদান তুলে ধরে বিশদ আলোচনা করা হয়। বিভাগীয় কমিশনার জি এস এম জাফরউল্লাহ্ (এনডিসি) সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালি জাতি যখন মুক্তির দ্বারপ্রান্তে ঠিক তখনই পাকিস্তানি দখলদার বাহিনি অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে জাতিকে মেধাশূন্য করার কূট-কৌশলে লিপ্ত হয়। তারা এদেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর, আল-শামসদের সহায়তায় জাতির মেধাবী সন্তানদের নির্বিচারে হত্যার মাধ্যমে এদেশের বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চাকে হত্যা করে।

মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস আমাদের নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে উল্লেখ করে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে ছিল না, তারা চেয়েছিল বুদ্ধিজীবী হত্যার মাধ্যমে দেশকে অচল করতে। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বাঙালিদেরকে মেধাশূন্য করে পঙ্গু করতে চেয়েছিল। তিনি বলেন, শহিদ বুদ্ধিজীবীদের চিহ্নিত করার জন্য কিছু কূট-কৌশলী লোক ছিল, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি। তারা সবসময় পাকিস্তানের পক্ষেই কাজ করেছে এবং তারা জানত বুদ্ধিজীবীরাই একটি দেশকে সামনে এগিয়ে নিতে পারে, সেজন্য যখনই বাংলাদেশ স্বাধীনতার ঠিক দ্বারপ্রান্তে তখনই জাতিকে মেধাশূন্য করে পিছনের দিকে নিতেই বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে।
একটি দেশকে সামনে এগিয়ে নিতে হলে বুদ্ধিজীবীদের গুরুত্ব অপরিসীম উল্লেখ করে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে পশ্চিম পাকিস্তানের পক্ষে যারা কাজ করেছে, তারা বুদ্ধিজীবীদেরকে চিহ্নিত করে পাকিস্তানের কাছে তালিকা পাঠিয়েছিল। তিনি বলেন, আমাদের খুবই দুর্ভাগ্যের বিষয় আজ যে উন্নয়ন হয়েছে, এটা আরও আগেই হতে পারত যদি আমাদের সেই সব সূর্য সন্তানরা বেঁচে থাকত।
জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরএমপি’র কমিশনার মোঃ আবু কালাম সিদ্দিক, অতিরিক্ত ডিআইজি রাশেদুল হাসান, পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন, সোনার দেশ পত্রিকার সম্পাদক আকবারুল হাসান মিল্লাত বক্তৃতা করেন। মুখ্য আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন নিউ গভ. ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ ড. মোঃ অলীউল আলম।
আলোচনা সভার শুরুতে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সভা শেষে প্রধান অতিথি শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে রচনা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের হাতে সনদ ও পুরস্কার তুলে দেন। এর আগে সকাল দশ’টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে বিভাগীয় কমিশনার শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।
ওয়ার্কার্স পার্টি : বিনম্র শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় জাতির অমর শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করেছে রাজশাহী মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টি।
বুধবার সন্ধ্যায় শহরের টি-বাঁধস্থ বদ্ধভূমিতে মোমবাতি প্রজ্বলন ও পুস্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দলটির নেতাকর্মীরা।
প্রথমে ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার পক্ষে ও পরে মহানগর কমিটির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। সবশেষে দলটির নেতাকর্মীরা শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।
এসময় মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামাণিক দেবু, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য আইনজীবী আবু সাঈদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, আব্দুল মতিন, সিরাজুর রহমান খান, নাজমুল করিম অপু, মহানগর যুবমৈত্রীর সভাপতি ও রাসিকের ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি, মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সদস্য সাঈদ চৌধুরী, আব্দুর রাজ্জাক, সীতানাথ বণিক, আলমগীর হোসেন আলম, মহানগর যুবমৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক শামীম ইমতিয়াজ, কাশিয়াডাঙ্গা থানা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল বাবলু, নগর ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি ওহিদুর রহমান ওহি, প্রচার সম্পাদক ইফতিক হাসান, নিউ গভঃ ডিগ্রি কলেজের সভাপতি জানে আলম, সাধারণ সম্পাদক সাইফ আহমেদ ইসা, ছাত্রনেতা রাজকুমার সাহা, যুবনেতা আরিফ, জনি প্রমুখ।
রাবি : যথাযোগ্য মর্যাদায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। বুধাবার (১৪ ডিসেম্বর) দিবসটি উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবনসহ অন্যান্য ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত উত্তোলন করা হয়।
এরপর সকাল ৮টায় রাবি উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তারসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলকে এবং সকাল সাড়ে ৮টায় শহীদ মিনার ও বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এছাড়া সকাল সোয়া ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত হয় স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন কমিটির সভাপতি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে এই আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন রাবি উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার ও বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক অবায়দুর রহমান প্রামানিক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালামের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় স্মৃতিচারণ করেন মুক্তিযুদ্ধে শহীদ শিক্ষক মীর আব্দুল কাইয়ূমের স্ত্রী অধ্যাপক মাসতুরা খানম। অধ্যাপক মাসতুরা খানম তার বক্তব্যে বলেন, ১৯৪৭ সালে ইংরেজদের দুইশ বছরের শাসন-শোষণের বেড়াজাল ভেঙে দুটি জাতিরাষ্ট্র সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তান শাসনামলে সেই একই শোষণ-বঞ্চনার শিকার হতে থাকলো পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ। দীর্ঘ ২৪ বছর এই শোষণের কষাঘাতে জর্জরিত হয়েছে বাঙালি জাতি। ১৯৭১ সালে এই অত্যাচার-নির্যাতন চূড়ান্ত রূপ নিয়েছিল। পাকিস্তানী শাসকেরা পরিকল্পিতভাবে বাঙালি জাতিকে মেধাশূণ্য করার লক্ষ্যে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। কেননা তারা বুঝতে পেরেছিল এ দেশ স্বাধীন হবেই। তাই বাঙালি যাতে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে, সেজন্যই পরিকল্পিত এই হত্যাযজ্ঞ ঘটায়।
তিনি আরও বলেন, হানাদার বাহিনী রাবিতে ক্যাম্প স্থাপন করে হত্যাযজ্ঞ চালায়। ক্যাম্পাসের জোহা হলের বন্দিশালায় ধরে নিয়ে আসা মানুষের উপর নির্যাতন চলতো। এছাড়াও মন্নুজান হল, পশ্চিমপাড়ার ১৭ নম্বর কোয়াটার, জুবেরী ভবনে তারা নির্যাতন কেন্দ্র গড়ে তোলে। যেখান থেকে প্রতিরাতে নিরীহ মানুষকে নির্যাতন ও কান্নার আওয়াজ ভেসে আসত। ফলে সাধারণ মানুষ ভয়ে সেদিকে যেত না। এসব নির্মমতা শুধু হানাদারের হাতে হয়নি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের হাতেও হয়েছে। পাকিস্তানের দোসরেরা বাঙালির স্বাধীনতার পথ চিরতরে বন্ধ করতেই এসব নির্মম কর্মকাণ্ড চালায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবাদী কণ্ঠগুলো স্তব্ধ করতেই তারা এই ক্যাম্পাসে নির্মম হত্যাযজ্ঞ ও নৃশংস তাণ্ডব চালিয়েছিল। এই বর্বরতায় আমি স্বামীকে হারিয়েছি, কিন্তু এটা কষ্টের চেয়ে বেশি গর্বের। তাই বুদ্ধিজীবীদের চেতনা ও আদর্শ সবাইকে লালন করার আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাবি উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী হত্যার উদ্দেশ্য ছিল বাঙালির স্বাধীনতার স্পৃহাকে স্তিমিত করা। তাই ইয়াহিয়া খান এই হত্যাযজ্ঞ পরিচালনার জন্য বেলুচিস্তানের কসাই টিক্কা খান ও রাও ফরমান আলীকে এখানে পাঠিয়েছিলেন। তারা পরিকল্পিতভাবে বাঙালিকে মেধাশূন্য করতে বেছে বেছে বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করেছে। তখন রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল ঢাকা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ গোটা দেশ। বিশ্বের কোথাও এমন হত্যার নজির নাই।
তিনি আরও বলেন, এই হত্যাযজ্ঞে সহযোগিতা করেছিল পাক হানাদারদের এদেশি দোসররা। এই রাজাকার ও আলবদরেরা খুঁজে খুঁঁজে এই বুদ্ধিজীবীদেরকে হানাদার বাহিনীর হাতে তুলে দেয়। নির্মম হত্যাযজ্ঞের মধ্যেও বাঙালি দমে যায়নি। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে প্রতিরোধ গড়ে, রক্ত ও জীবন দিয়ে এই দেশ মুক্ত করেছিল। প্রসঙ্গক্রমে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পাক হানাদারদের বর্বরোচিত হামলা ও হত্যার নির্মম চিত্র তুলে ধরে স্মৃতিচারণ করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু যখন স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন, তখনই পাকিস্তানি শাসকেরা এই দেশের স্বাধীনতার আকাঙ্খাকে চিরতরে স্তব্ধ করতে যড়যন্ত্র করেছিল। ফলে ২৫ মার্চ অপারেশন সার্চলাইটের মাধ্যমে তারা গণহত্যা শুরু করেছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধু নির্দেশে বাঙালি প্রতিরোধ গড়ে তুলে হানাদারদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ করেছিল। লক্ষ লক্ষ মানুষ হত্যা করেও যখন বাঙালিকে দমানো সম্ভব হচ্ছিল না, তখন পাক শাসকগোষ্ঠী রাজাকার ও আলবদর বাহিনীর সহযোগিতায় এদেশকে মেধাশূন্য করার নীলনকশা বাস্তবায়ন করে। ফলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার কারিগর এই বুদ্ধিজীবীদের টার্গেট করে নৃশংস হত্যার মাধ্যমে পাকিস্তানিরা ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায় রচনা করে। তাই বাঙালির এই সূর্যসন্তানদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করার পাশাপাশি হানাদার বাহিনীর দোসরদের ঘৃণা ও এদের সম্পর্কে সর্বদা সজাগ থেকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানের সভাপতি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীরা ছিলেন এদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মেধা ও মননশীলতার অধিকারী। তাঁদের হারিয়ে জাতি হয়ে পড়ে দিশেহারা। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীনতার পর শুরু হয় বাঙালির আরেক সংগ্রাম, মুক্ত স্বদেশ গড়ার সংগ্রাম। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আদর্শ ও চেতনাকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে জাতি আজ আবার মাথা তুলে দাড়িয়েছে। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকাণ্ডে জাতির যে অপূরণীয় ক্ষতি হয় তা আজও পূরণ হয়নি।
আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা ছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে এদিন বাদ জোহর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে বিশেষ মোনাজাত ও সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনা, বিকেল পৌনে ৫টায় শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলক চত্বরে প্রদীপ প্রজ্জ্বালন ও সন্ধ্যা ৬টায় কৌশিক সরকারের নির্দেশনা ও সুমনা সরকারের গ্রন্থনা ও অভিনয়ে নাটক ‘জয়জয়িতা’ মঞ্চায়ন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছাড়াও এদিন বিভিন্ন ইনস্টিটিউট, বিভাগ, আবাসিক হল ও অন্যান্য সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন নিজ নিজ কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করে।
রুয়েট : রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট)-এ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়েছে। রুয়েট প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবসের প্রথম প্রহরে ভাইস-চ্যান্সেলর (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন মহান মুক্তিযুদ্ধে রুয়েটের শহীদদের কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।

এদিন রুয়েট প্রশাসনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে পৃথক পৃথকভাবে রুয়েট শিক্ষক সমিতি ও কর্মকর্তা সমিতির নেতৃবৃন্দ মহান মুক্তিযুদ্ধে রুয়েটের শহীদদের কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।
মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা, শহীদদের কবর জিয়ারত করা এবং মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করার মধ্য দিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবসের প্রথম প্রহরের কর্মসূচি শেষ হয়। এছাড়াও বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) বাদ যোহর রুয়েট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস উপলক্ষে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে রুয়েটের বিভিন্ন স্তরের বিশিষ্ট শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা পরিষদ : শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোকে রাজশাহী জেলা পরিষদ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। বুধবার সকালে নিজ কার্যালয়ে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের কর্মসূচি শুরু করেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল। শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ শহীদ বুদ্ধিজীবী ও শহীদ বীর মুুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সহ পরিষদে উপস্থিত সদস্য ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন রাজশাহী জেলা পরিষদের সংরক্ষিত সদস্য-৩ ( পুঠিয়া, চারঘাট ও বাঘা) মোসা: সাজেদা বেগম, আব্দুর রশিদ, সদস্য-১( গোদাগাড়ী) মো: মাইনুল ইসলাম, সদস্য-২ (তানোর) ( পবা ও সিটি কর্পোরেশন) মো: তফিকুল ইসলাম, সংরক্ষিত সদস্য-১ (গোদাগাড়ী, তানোর ও পবা) শিউলী রানী সাহা, সংরক্ষিত সদস্য-২ ( মোহনপুর, দূর্গাপুর ও বাগমারা) , সুলতানা পারভীন রিনা । রাজশাহী জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মু. রেজা হাসান, এসময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী প্রকৌশলী এজাজুল আলম সহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজ : দিবসের কর্মসূচি হিসেবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও সকালে বঙ্গবন্ধু’র প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, শহীদ মিনারে স্বাধীনতা যুদ্ধের সকল শহীদ ও দেশের শ্রেষ্ঠসন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এরপর শেখ রাসেল দেয়ালিকা উদ্বোধন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল। অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. জুবাইদা আয়েশা সিদ্দীকার সভাপতিত্বে ছিলেন কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. নাজনীন সুলতানা, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন মোল্লা এবং শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন কমিটির আহ্বায়ক মোজাফফার হোসাইন।
রাজশাহী ওয়াসা : শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবসে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের রাজশাহী ওয়াসার পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। বুধবার সকালে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরের শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন অত্র প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকির হোসেন ও বিএমডি তুহিনুর আলমসহ অত্র প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য নির্বাহী প্রকৌশলী ও অন্যান্য প্রকৌশলীসহ সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-র্কমচারীবৃন্দ।
রামেবি : রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়েছে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস । এ দিবসটি উপলক্ষ্যে রামেবির অস্থায়ী কাযার্লয়ে সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয় এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম মোস্তাক হোসেন। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে ১ মিনিট নিরবতা পালন ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সকাল ১১ টায় রামেবি’র কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দের অংশগ্রহণে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন রামেবির উপাচার্য অধ্যাপক ডা. এ.জেড.এম মোস্তাক হোসেন ।
এ আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন, রামেবির কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. রুস্তম আলী আহমেদ, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মোহা. আনোয়ারুল কাদের, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ডা. আনোয়ার হাবিব।
বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়: বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় সকাল ১০টায় বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস চত্বরে প্রভাত ফেরি বের করে। বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. ওসমান গনি তালুকদার-এর নেতৃত্বে প্রভাত ফেরিটি স্থায়ী ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক হতে যাত্রা শুরু করে চত্বরের উত্তর পাশে অবস্থিত অস্থায়ী স্মৃতিফলকে পুষ্পাঞ্জলী অর্পণের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়। সে সময় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে এক মিনিট নিরাবতা পালন করা হয়। পুষ্পাঞ্জলী অর্পণ করেন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এম ওসমান গনি তালুকদার, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. ফয়জার রহমান, ইংরেজি বিভাগের প্রধান প্রফেসর মো. শহিদুর রহমান, সাংবাদিকতা বিভাগের কো-অর্ডিনেটর মো. শাতিল সিরাজ ও রেজিস্ট্রার সুরঞ্জিত মন্ডলসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও কর্মকর্তাবৃন্দ।
রাকাব : শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবসে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব), প্রধান কার্যালয়, রাজশাহী’র উদ্যোগে বাদ যোহর এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে ব্যাংকের সম্মানিত ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহিদুল হক উপস্থিত থেকে শহীদ বুদ্ধিজীবিদের স্বাধীনতা যুদ্ধে মহান ত্যাগ ও অবদানের কথা উল্লেখ করে বক্তব্য রাখেন। তিনি ব্যাংকিং সেবা কৃষক তথা আপামর জনসাধারনের মধ্যে সঠিকভাবে পৌঁছে দেয়ার মাধ্যমে তাঁদের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা জানানোর জন্য উপস্থিত সকলকে আহ্বান জানান। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধান কার্যালয়; বিভাগীয় কার্যালয়, রাজশাহী; বিভাগীয় নিরীক্ষা কার্যালয়, রাজশাহী; প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট; এসইসিপি, রাজশাহী; স্থানীয় মুখ্য কার্যালয়, রাজশাহী; জোনাল কার্যালয় ও জোনাল নিরীক্ষা কার্যালয়, রাজশাহী এর কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
রাজশাহী কলেজ : দিবসটি উপলক্ষ্যে রাজশাহী কলেজ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাঃ আব্দুল খালেক ও উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাঃ ওলিউর রহমানের নেতৃত্বে বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষকমণ্ডলী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সম্মানে শহিদ মিনার ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শেখ রাসেল দেয়ালিকায় শহিদ বুদ্ধিজীবীগণের স্মরণে কলেজের শিক্ষার্থীদের লেখা প্রবন্ধ, কবিতা ও চিত্রাঙ্কণ নিয়ে ‘মৃত্যুহীন প্রাণ’ দেয়ালিকার মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এরপর কলেজ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় ‘শহিদ বুদ্ধিজীবীগণের জীবন ও কর্ম’ শীর্ষক আলোচনা সভা। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলেজের সুযোগ্য অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাঃ আব্দুল খালেক এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাঃ ওলিউর রহমান ও শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক প্রফেসর আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। সভার শুরুতে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে দাঁড়িয়ে ০১ (এক) মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
পবা : রাজশাহীর পবায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উদযাপন উপলক্ষে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও স্মৃতি চারণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং শেষে শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। সন্ধ্যায় মোমবাতি প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠিত হয়।
বুধবার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার লসমী চাকমা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ওয়াজেদ আলী খাঁন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) অভিজিত সরকার, উপজেলা কৃষি অফিসার শামসুন নাহার ভূঁইয়া ও শাহমুখদুম থানা অফিসার ইনচার্জ মেহেদী হাসান। উপজেলা বিআরডিবি কর্মকর্তা শামসুন্নাহার এর সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকৌশলী মুকবুল হোসেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার আসাদুজ্জামান, বিএমডিএ কর্মকর্তা প্রকৌশলী এএসএম দেলোয়ার হোসেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায় কর্মকর্তা প্রকৌশলী আবু বাশির, নওহাটা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (ভোক) সুপারিন্টেন্ডেট আব্দুল হান্নানসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সাংবাদিক, উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
জেলা যুবলীগ: রাজশাহী জেলা যুবলীগের আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও শহীদদের প্রতি শ্রাদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বধ্যভূমিতে এসব অনুষ্ঠিত হয়।
উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা যুবলীগের সভাপতি আবু সালেহ্ রাজশাহী জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলী আজম সেন্টু, সহ-সভাপতি আলমগীর মোরশেদ রঞ্জু, সাংগঠনিক সম্পাদক মোবারক হোসেন মিলন, দপ্তর-সম্পাদক মিজানুর রহমান(পল্লব), সদস্য জৌলুস মাহমুদ জেমস্, মুক্তার হোসেন, পবা যুবলীগোর সাধারণ সম্পাদক তফিকুল ইসলাম তফিক, নওহাটা পৌর-যুবলীগের আহবাহক শেখ ফরিদ, কাটাখালি পৌর-যুবলীগের আহবাহক জনি ইসলাম, যুগ্ন-আহবাহক, আওয়াল হোসেন, মেরাজসহ নেতৃবৃন্দ।
মোহনপুর: মোহনপুর উপজেলার মৌগাছী ইউনিয়নে মুগরইল গ্রামে অবস্থিত বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। প্রথমে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয় সাংসদ আয়েন উদ্দিন এমপির পক্ষে। উপজেলা পরিষদ, প্রশাসন, বীরমুক্তিযোদ্ধা, ইউনিয়ন পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠন।
স্মৃতিসৌধের বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর কিছুক্ষণ নীরবতা পালন করা হয়। সশস্ত্র বাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল এ সময় সশস্ত্র সালাম জানায়। পরে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সন্তানদের সঙ্গে সেখানে কুশল বিনিময় করেন মোহনপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট আব্দুস সালাম। পরে উপজেলা হলরুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপস্থিত ছিলেন, মোহনপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবিহা ফাতেমাতুজ জোহরা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) প্রিয়াংকা দাস, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সেলিম বাদশাহ প্রমুখ। শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবসে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের রাজশাহী জেলা কৃষক লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
জেলা কৃষকলীগ: রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরের শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাজশাহী জেলা কৃষক লীগের নেতৃবৃন্দ। এসময় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা কৃষক লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ তাজবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক, পবা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ওয়াজেদ আলী খাঁন, জেলা কৃষক লীগের সাবেক সহ-সভাপতি আবুল হোসেন, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক মন্ডল, সাবেক দপ্তর সম্পাদক নজরুল ইসলাম চিনু, সদস্য আসাদুল হক দুখু, কাজী আব্দুল হান্নান তংকু, বাগমারা উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বাবু ও খোকনুজ্জামান মাসুদসহ জেলা ও উপজেলা কৃষকলীগের অন্যান্য নেতাকর্মী নেতৃবৃন্দ।
পবা আ’লীগ: বুধবার সন্ধ্যায় পবা উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে জাতীয় বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন ও মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন পবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নওহাটা পৌরসভার মেয়র হাফিজুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক আব্দুল মান্নান, আওয়ামী লীগ নেতা হানিফ মোহাম্মদ পলাশ, নওহাটা পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুল হক, সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান, পারিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সোহরাব আলী, পবা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম রাজু, সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ানুল কারিম প্রমুখ।
পত্নীতলা: পত্নীতলায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ রুমানা আফরোজের সভাপতিত্বে আলোচনা সভার শুরুতে বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ শেষে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সম্মানে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন এবং কালো ব্যাজ ধারণ করা হয়।
একাডেমিক সুপার ভাইজার মোরশেদুল আলমের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুল গাফ্ফার, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আহাদ রাহাদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খাদিজাতুল কোবরা মুক্তা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আজিজুল কবির, পত্নীতলা থানার অফিসার্স ইনচার্জ পলাশ চন্দ্র দেব, উপজেলা আওয়ামলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সৈয়দ লতিফুর রহমান শাহ্ ফকির, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মনিরুজ্জামান, সাবেক উপজেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, মাটিন্দর ইউপি চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ, নজিপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রমজান আলী।
নিয়ামতপুর: সারা দেশের ন্যায় নওগাঁর নিয়ামতপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে। উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবনের হল রুমে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক সুফিয়ানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আইয়ুব হোসাইন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাদিরা বেগম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) লিজা আক্তার বিথি, অফিসার ইন চার্জ আসাদুজ্জামান আসাদ, জেলা পরিষদ সদস্য আজাহারুল ইসলাম বুলু, উপজেলা কৃষি অফিসার কামরুল হাসান। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বাহাদুরপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ, সহ-সভাপতি বাবু ঈশ^র চন্দ্র বর্মন, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান বিপ্লব, বীরমুক্তিযোদ্ধা বিমল চন্দ্র প্রামানিক, সুভাষ কান্ত সরকার প্রমুখ।
শিবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস ও বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের শাহাদাতবার্ষিকী পালিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ঐতিহাসিক ছোট সোনামসজিদ প্রাঙ্গণে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীরের সমাধিস্থলে ও সোনামসজিদ গণকবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, সংসদ সদস্য ফেরদৌসী ইসলাম জেসী, জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খাঁন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক দেবেন্দ্র নাথ উরাঁও, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতোয়ার রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হায়াত, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম, শিবগঞ্জ পৌর মেয়র সৈয়দ মনিরুল ইসলাম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বজলুর রহমান সনু, শিবগঞ্জ থানার ওসি চৌধুরী জোবায়ের আহাম্মদসহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং বীরমুক্তিযোদ্ধারা।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বিজয়ের উষালগ্নে মহানন্দা নদীর পাদদেশ রেহাইচরে বাঙলা মায়ের দামাল সন্তান বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের এই দিনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের পার্শ্বে মহানন্দা নদীর তীরবর্তী গ্রাম রেহায়চর এলাকায় সংগঠিত হয় এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। পাকহানাদার বাহিনীর সাথে সুম্মুখযুদ্ধে ধ্বংস করে দেয় শত্রু বাহিনীর ১৮টি ট্রেঞ্চ ও ২০ থেকে ২২ টি বাংকার। শত্রুমুক্ত হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ। পরে তাঁর মৃতদেহ ঐতিহাসিক ছোট সোনামসজিদ প্রাঙ্গণে সমাহিত করা হয়।
পোরশা: নওগাঁর পোরশায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিশেষ আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বুধবার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউএনও (ভারপ্রাপ্ত) মো. জাকির হোসেন। এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শাহ্ মঞ্জুর মোরশেদ চৌধুরী। অন্যান্যের মধ্যে কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার সরকার, অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) শাহ্ আলম সরদার, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ইউনুছ আলী, সাবেক প্রশি আব্দুল খালেক, প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন, শিক্ষা কর্মকর্তা মাযহারুল ইসলাম, ইউআরসি ইন্সিট্রাক্টর কামরুজ্জামান সরদার, জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা মিলন কুমার সহ কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
তানোর উপজেলা: বুধবার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বর শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে স্বরন করা হয় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবিদের। দিবসটি উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে হলরুমে সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পংকজ চন্দ্র দেবনাথের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান মিঞা,কৃষি সম্প্রসারন কর্মতর্তা সাইফুল্লাহ , তানোর উপজেলা প্রকৌশলী সাইদুর রহমান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা আঃরাজ্জাক,নুরুল ইসলাম,কার্তিক প্রমুখ। এ সময় উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাগাতিপাড়া: বুধবার সকালে উপজেলার বড়াল সভাকক্ষে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ইউএনও (ভারপ্রাপ্ত) সুরাইয়া মমতাজের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অহিদুল ইসলাম গকুল। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল হাদী ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খোদেজা বেগম শাপলা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল কুমার রায়, উপজেলা প্রেসক্লাব’র সদস্য নিসাতুর রহমান প্রমুখ।
নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি: নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে যথাযথ মর্যাদা ও নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে রাজশাহী নগরীর চৌদ্দপাইস্থ ইউনিভার্সিটির নিজস্ব ক্যাম্পাসে বুধবার আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান, নারীনেত্রীও সংগঠক অধ্যাপক রাশেদা খালেক। উপাচার্য বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. আবদুল খালেকের সভাপতিত্বে সভায় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। এসময় ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, ছাত্র কল্যাণ উপদেষ্টা, আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালকসহ উর্ধতন কর্মকর্তা, শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃুন্দ উপস্থিত ছিলেন।


প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৫, ২০২২ | সময়: ৬:৪৩ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ