পানিবন্দি সড়কে নাকাল পথচারি

আদমদীঘি প্রতিনিধি: বগুড়ার আদমদীঘির ছোট আখিড়া-ইন্দইল পাকা সড়কে বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় ২ মাস ধরে জলবদ্ধতা রয়েছে সড়কে। ফলে যাতায়াতে পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। ভোগান্তি দূরীকরণে এ সড়কের জলবদ্ধতার দ্রুত সমাধানের দাবী জনায় এলাকাবাসী।
জানা যায়, উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নের ছোট আখিড়া- ইন্দইল সড়ক নামে পরিচিত সড়কটি। এই সড়ক পথ দিয়ে সাগরপুর, কালাইকুড়ী, আমুইল, কৈকুরী, কোমারপুর, চকসাবাজ, দাড়িকুড়ি, শালগ্রামসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে।
এ কারণে কয়েকটি গ্রামের মানুষের কাছে এটি প্রধান সড়ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। জলাবদ্ধতা আর খানাখন্দে সড়কে এখন বেহাল দশায় পরিণত। পানি বের হবার কোন পথ না থাকায় জলাবদ্ধতা রয়েছে সড়কে। দিনের পর দিন পানি জমে থাকার কারনে সড়কে কার্পেটিং উঠে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতেকরে ওই পথদিয়ে চলা পথচারীদের নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হবে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সরজমিনে দেখা যায়, ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় কয়েকদিন বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে সড়কটি। শুধু সড়কই নয় পাশে চাতালের উঠানে পানি জমে আছে। ড্রেনটি অকেজো হওয়ায় পানি বেড় হবার কোন পথ নেই।
এমতাবস্থায় ভোগান্তি ও দুর্ভোগ মাথায় নিয়ে প্রতিনিয়ত ওই পানি বন্দি পথে দিয়ে যাতায়াত করছে শতশত পথচারী। জনদুর্ভোগ কমাতে দ্রুত টেকসই ড্রেন নির্মাণ ও সড়ক সংস্কার করা প্রয়োজন।
পথচারী শফিউল আলম বলেন, দিনে দুইবার এই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে হয়। জলাবদ্ধতার কারনে যাতায়াতে খুব অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। কয়েকদিন আগে একজন চার্জার ভ্যানে যেতে ঝাঁকুনিতে পড়ে চালের দুটি বস্তা ফেটে পানিতে পড়ে নষ্ট হয়। পানিতে রাস্তা ডুবে থাকায় সড়কে ছোট-বড় গর্ত বোঝা যায়না। এতেকরে আমাদের বিপদের ঝুঁকি রয়েছে বলে জানায় শফিউলসহ অন্যান্য পথচারীরা।
সড়কের পাশে বিসমিল্লাহ চাউল কলের ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফা বলেন, জলাবদ্ধতার জন্য শুধু সড়ক নয় চাতালের উঠানেও পানি জমেছে। দুই মাস ধরে চাতালের কাজ বন্ধ রয়েছে। উঠান না শুকানো পর্যন্ত ধান চালের কাজ করা যাচ্ছে না। এতে লোকসান গুনতে হচ্ছে। দ্রুতপানি নিষ্কাশন হলে আমাদের সকলের সুবিধা হত। তাই কর্তৃপক্ষের নিকট স্থানীভাবে ড্রেন নির্মাণে হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ ব্যাপারে ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হক আবু বলেন, ওখানে কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় পানি জমে আছে। এতে জনসাধারণের খুব ভোগান্তি হচ্ছে। সড়কের ধার দিয়ে যদি ড্রেন নির্মাণ করা যায় তাহলে পানি জমার সম্ভাবনা কম। সওজ বা এলজিইডির সহযোগিতা করলে একটি স্থায়ী ড্রেন নির্মাণ করা সম্ভব। তাহলে বর্ষার সময় জনসাধারণের ভোগান্তি হবেনা বলে আশা করি।


প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০২২ | সময়: ৬:৩৩ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ