মাদরাসা শিক্ষককে মাইক্রোবাসে তুলে পিটিয়ে ফেলে গেলো দুর্বৃত্তরা

স্টাফ রিপোর্টার, নাটোর: নাটোরের ছাতনী ইউনিয়নের মাঝদিঘা নুরানী হাফেজিয়া মাদরাসার এক শিক্ষককে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে পিটিয় রক্তাক্ত করে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। আহত মাদরাসা শিক্ষক সাইদুল ইসলাম (৩৮) মাঝদিঘা গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার মাগরিবের নামাজ শেষ হওয়ার কিছু সময় পর পাঁচ ছয় জন অপরিচিত মানুষ সাইদুল ইসলামকে মাদরাসার বাইরে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে চলে যায়।
তারপর তাকে পিটিয় রক্তাক্ত করে বারঘরিয়া গ্রামের পূর্বদিকে চিকুর মোড় এলাকায় ফেলে রেখে যায়। স্থানীয়রা সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
ভুক্তভোগী সাইদুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ ৫-৬ জন মানুষ অফিস রুমের সামনে এসে জিজ্ঞেস করে আপনি কি সাইদুল ইসলাম? আমি হ্যাঁ বলতেই বলে, একটু আসেন। বাহিরে যেতেই মুহূর্তের ভেতর রাস্তায় নিয়ে মাইক্রো বাসে তুলে ফেলে। তারপর চোখ মুখ বেধে ফেলে। পরে নির্জন জায়গায় নিয়ে হাতুড়ি ও পাইপ দিয়ে পিটিয়ে ফেলে রেখে যায়। তবে তিনি মাদরাসা পরিচালনার বিষয়ে স্থানীয় এক ইউপি সদস্যের সাথে বিরোধের কথা জানান।
মাঝদীঘা নুরানী মাদরাসার সভাপতি ও ছাতনী ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন সরকার বলেন, তিনি (সাইদুল ইসলাম) কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত না। তবে মাহফিল নিয়ে ইউপি সদস্যের সাথে দীর্ঘদিন ধরে তার বিরোধ চলে আসছিল।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদ বলেন, ঘটনাটি শোনার পরে বিট অফিসারকে সেখানে পাঠিয়েছি। তিনি (বিট অফিসার) জানিয়েছেন ঘটনা সত্য। ভিকটিমকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে থানায় এখনও কেউ অভিযোগ করেননি।


প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২৩ | সময়: ৬:১১ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ