সর্বশেষ সংবাদ :

বাঘায় এতিম শিশু ও বৃদ্ধাদের সম্মানে নতুন ভবনের উদ্বোধন

স্টাফ রিপোর্টার, বাঘা:

রাজশাহীর বাঘার সররেহাট গ্রামে কল্যাণী শিশু সদন ও মমতাজ বৃদ্ধা নিকতণের সম্মানে নব-নির্মিত তৃতীয় তলা ভবনের শুভ উদ্বোধন করা হয়ছে।

 

আজ বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকালে খুলনার সাবরিনা মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের কো-অর্ডিনেটর শামছুল আলম রঙিন ফিতা কেটে এই ভবনের উদ্বোধন করেন।

 

সকাল ১১ টায় অনুষ্ঠিত এই ভবন উদ্বোধন ও আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সরেরহাট কল্যাণী শিশু সদন ও মমতাজ(আজিজ)বৃদ্ধা নিকতনের সভাপতি সাইদুর রহমান। এ সময় বক্তব্য রাখেন সরেরহাট কল্যাণী শিশু সদন ও বৃদ্ধা নিকতনের সাধারণ সম্পাদক আল মাহমুদ কমল। তত্বাবধায়ক শাহদৌলা আল মুনসুর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা শামশুদ্দিন সমেশ ডাক্তার এর সহধর্মিণী মেহেরুন্নেছা, গড়গড়ি ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক মাসুদ করিম টিপু, বাঘা প্রেস কাবের আহবায়ক আব্দুল লতিফ মিঞা, সদস্য আমানুল হক আমান, আসলাম আলী, গোলাম তোফাজ্জল কবীর মিলন প্রমুখ।

 

সাবরিনা মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে নির্মিতব্য ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিলেন সরেরহাট কল্যাণী শিশু সদন ও মমতাজ-আজিজ বৃদ্ধা নিকেতন। এ অনুষ্ঠাটি সঞ্চালনা করেন উক্ত ফাউন্ডেশনের কো-অর্ডিনেটর মসলেম আলী ফকির। এ সময় সরেরহাট কল্যাণী শিশু সদন ও বৃদ্ধা নিকতনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা শামশুদ্দিন ওরুফে সমেশ ডাক্তার শারীরিক ভাবে অসুস্থ থাকায় তাঁর সুস্থতা কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

 

সাবরিনা মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা গেছে, এই ভবনটি নির্মানের জন্য ১ কোটি ৪৫ লক্ষ ৬৬ টাকা ব্যয় করা হয়। এই ভবনে ২৫০ জন শিশু এবং প্রায় দুই শতাধিক বৃদ্ধাদের থাকার সু-ব্যবস্থা রয়েছে।

 

উল্লেখ্য, রাজশাহী শহর থেকে ৫০ কিলোমিটার পূর্বে পদ্মা নদীর তীর ঘেঁষে বাঘা উপজেলার গড়গড়ি ইউনিয়নের সরেরহাট গ্রাম। এ গ্রামে গড়ে উঠেছে ১৯৮৪ সালে সরেরহাট কল্যাণী শিশু সদন এবং ২০১৭ সালে মমতাজ আজিজ বৃদ্ধা নিকেতন। এখানে বর্তমানে বৃদ্ধার সংখ্যা প্রায় অর্ধ শতাধিক। এ ছাড়াও এতিম শিশু রয়েছে ১৫০ জন। এই প্রতিষ্ঠানটি সরকারি সহায়তা পায় ১০০ জনের। পৈতৃক ১৭ বিঘা জমি বিক্রয় করে এতিমদের রক্ষা করে চলেছেন মুক্তিযোদ্ধা শামসুদ্দিন ওরুপে সমেশ। এ জন্য তিনি সরকারী ভাবে একটি অনুষ্ঠানে সাদা মনের মানুষ হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছেন।

 

তিনি প্রথমে স্ত্রী মেহেরুন্নেসার মোহরানা বাবদ অর্থে ১২ শতাংশ জমি ক্রয় করে চালু করেন এই প্রতিষ্টান। আয় বলতে মেহেরুন্নেসার সেলায় ফোঁড়া ও শমেস ডাক্তারের চিকিৎসা থেকে আসা কিছু অর্থ। তাদের রক্ষার্থে আশ্রয়হীনদের ব্যবস্থা করতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত তিনি বাড়ির ভিটা বিক্রি করে নিজেই পরিবার নিয়ে হয়ে পড়েন গৃহহীন। তবে বর্তমানে সরকারি- বে-সরকারি এবং সমাজের বিত্তবানদের সহায়তায় ৫২ শতাংশ জমির উপর এই প্রতিষ্টানটি দাড়িয়ে গেছে। এখন তাদের সহায়তা দিচ্ছেন সরকার সহ কয়েকজন প্রবাসী- রাষ্ট্রের কিছু সুনাম ধন্য বিত্তবান মানুষ ও এলঅকার সমাজ হিতোষীরা

 

এই অনুষ্ঠান শেষে অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধা শামশুদ্দিন ওরুফে ডা: সমেশ এর সাথে দেখা করতে গেলে তিনি স্থানীয় গনমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বাবা আমায় আয়ু একেবারেই শেষের দিকে। তোমরা আমার ছেলে । আমি মারা গেলে এই প্রতিষ্ঠনটি ধরে রাখার জন্য সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আমার আকুল আহবান বার্তাটি তোমাদের লিখনীর মাধ্যমে পৌছে দিও।


প্রকাশিত: অক্টোবর ১০, ২০২৪ | সময়: ৬:০১ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine