নওগাঁয় ওষুধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁয় ওষুধ প্রশাসন কর্তৃক ওষুধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে শহরের মুক্তির মোড় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সামনে বাংলাদেশ কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্টস সমিতি নওগাঁ জেলা শাখার উদ্যোগে দুই ঘণ্টা ব্যাপী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে সংগঠনের জেলা শাখার সভাপতি আতাউর রহমান খোকার সভাপতিত্বে ও সিনিয়র সহ-সভাপতি স্বপন কুমার পোদ্দারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি কাজী সাদেকুর রহমান, কার্যকারী পরিষদের সদস্য রায়হান শামীম, কাজী রবিউল ইসলামসহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কয়েক দিনআগে ওষুধ ব্যবসায়ীর কোন অপরাধ না থাকলেও ওষুধ প্রশাসন তার বিরুদ্ধে মামলা করে হয়রানি করছে। তাই দীর্ঘ ৩৯ বছর পর ওষুধ ও কসমেটিকক্স আইন ২০২৩ এর সংশোধন করে দ্রুত এসব হয়রানি মূলক নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। তা নাহলে অবিলম্বে আরও বৃহৎ আন্দোলন শুরু করার ঘোষণা দেন বক্তারা।
মানববন্ধনে বাংলাদেশ কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্টস সমিতি নওগাঁ জেলা সভাপতি আতাউর রহমান খোকা বলেন, ওষুধ ব্যবসায়ীরা চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ঔষধ বিপণন করে থাকেন। বর্তমানে দেশে ওষুধ কোম্পানীর সংখ্যা অনেক হওয়ায় প্রতিনিয়ত সেই কোম্পানীগুলো নতুন নতুন আইটেমের ওষুধ তৈরী করে বাজারজাত করেছে। ওষুধ ব্যবসায়ীরা অনেক সময় কোম্পানীর উক্ত প্রোডাক্টস বিষয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বের মধ্যে থাকেন। যার ফলশ্রুতিতে ঔষধ সামগ্রীর গুণগত মান অনুমোদন-অনুমোদনহীন অনেক ক্ষেত্রে বুঝে উঠতে পারেন না।
তিনি আরোও বলেন, চিকিৎসকরা ব্যবস্থাপত্রে অ্যালোপ্যাথিক ওষুধের পাশাপাশি কসমেটিক্স প্রোডাস্টস্ যেমন, স্যানিটারি ন্যাপকিন, প্যাদাচার, স্যাম্পু, সাবান, ফুডসাপ্লিমেন্টস, ভেষজ, ইউনানী, আয়ুর্বেদিক, হার্বাল ও ইমপোর্ট আইটেম প্রভৃতি নিয়মিত ভাবে লিখে আসছেন। যেগুলি ডিজিডিএ কর্তৃক অনুমোদন নাই। যার বহু ব্যবস্থাপত্রের কপি ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক বরাবরে উপস্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু ওষুধ প্রশাসন কর্তৃক কোন কোম্পানী বা চিকিৎসকগণের ব্যাপারে কোন প্রকার পদক্ষেপ বাহন করেন নাই।
বিভিন্ন কোম্পানীর প্রতিনিধি যৌন উত্তেজক ও অবৈধ ওষুধ বাজারজাত করছেন যা আমাদের যুব সমাজকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় আমরা ওষুধ ব্যবসায়ীরা নানা প্রতিকূল সমস্যার সম্মুখীন হয়ে আসছি। এদিকে এর প্রতিবাদে ৪ ঘণ্টা বন্ধ রাখা হয় সকল ওষুধের দোকান।
এ প্রসঙ্গে নওগাঁ সিভিল সার্জন ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ওষুধ প্রশাসন কোন আইনে করেছেন কোন অপরাধের জন্য করেছেন এ ব্যাপারে আমাদের সঙ্গে অফিসিয়াল ভাবে শেয়ার করেন নাই। আমরা জানতে পেরেছি যে অনুমদনবিহীন মেডিসিন রাখায় ওষুধ প্রশাসন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন এর বেশি কিছু জানি না।’