গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাচন শেষ মুহুর্তের প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা

স্টাফ রিপোর্টার, গোদাগাড়ী: প্রথম ধাপে গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাচন ৮ই মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচনে প্রার্থীদের বেশির ভাগই আওয়ামী লীগের উপজেলা পর্যায়ের নেতা। তাপদাহের মধ্যেই প্রার্থীরা ছুটছে এক এলাকা থেকে অন্য এলাকা। ভোট চাইছেন নিজের জন্য।
এবারে দলীয় প্রতীক না থাকায় এবং বিএনপিসহ অন্য দলগুলো নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় আওয়ামী লীগ নেতারা নিজেরাই নিজেদের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছ। ২৩ এপ্রিল প্রতীক বরাদ্দের পর তিন পদে প্রতিদ্বন্দ্বী ১১ প্রার্থী পুরোদমে নির্বাচনি প্রচার শুরু করেছেন।
চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা নির্বাচনি মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। হাট-বাজার, চায়ের দোকানে চলছে ভোটের আলোচনা। পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে উপজেলার অলিগলি।
নির্বাচনের আর মাত্র তিন দিন বাকি থাকলেও ভোট নিয়ে ভোটারদের মাঝে তেমন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। তীব্র দাবদাহে জনজীবন অনেকটাই বিপর্যস্ত। এ ছাড়া বোরো ধান কাটা আর সংগ্রহ নিয়ে ব্যস্ত সাধারণ মানুষ। ফলে গণসংযোগ, পথসভা ও মিছিলের মাধ্যমে প্রার্থীরা সরব থাকলেও সাড়া মিলছে না ভোটারদের। এ পরিস্থিতিতে অনেকটা নীরবেই চলছে নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী ০৫ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করলেও বাকি ৪ প্রার্থীকে ঘিরে নির্বাচন পরিণত হয়েছে বিভক্ত আওয়ামী লীগের ভোটের লড়াইয়ে। এ রকম পরিস্থিতিতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গোদাগাড়ী আওয়ামী নেতৃত্ব ও রাজনীতি দ্বন্দ্বে পুরনো পথে হাঁটছে বলে মনে করছেন রাজনীতি সংশ্লিষ্টরা।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বর্তমানে নির্বাচনী লড়াইয়ে থাকা ৫ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম (কাপ পিরিচ), গোদাগাড়ী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রবিউল আলম (আনারস), উপজেলা যুবলীগের অর্থ সম্পাদক বেলাল উদ্দিন সোহেল (দোয়াত-কলম), উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সুন্দন দাস রতন (মোটরসাইকেল)। চার প্রার্থীকে ঘিরে চার ভাগে বিভক্ত উপজেলার তৃণমুল আওয়ামী লীগ। প্রভাব পড়েছে নেতাকর্মীর মাঝে। অপর প্রার্থী হলেন, জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান মার্কনি (ঘোড়া)।
স্থানীয়রা বলছেন, চেয়ারম্যান প্রার্থী নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে বিভক্তি থাকলেও গোদাগাড়ী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রবিউল আলম, জাহাঙ্গীর আলম ও বেলাল উদ্দিন সোহলের মধ্যে লড়াই হবে।
এদিকে নির্বাচনে আমেজ না থাকার বিষয়ে ভোটারদের সঙ্গে কথা হলে উপজেলার কেশবপুর গ্রামের সৈবুর নামের একজন ভোটার বলেন, সাধারণ মানুষ মাঠে-ঘাটে কাজ নিয়ে ব্যস্ত। এছাড়াও বিএনপিসহ কয়েকটি দল অংশ নেয়নি।
হাবাসপুর গ্রামের বাবলু নামে একজন বলেন, এখন বোরো ধান কটার মৌসুম চলছে। মানুষজন ব্যস্ত ধান নিয়ে। তাছাড়া কয়েক দিন ধরে তীব্র গরমের কারণেও সাধারণ মানুষ ভোট নিয়ে তেমন মাতছেন না।
গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৫ চেয়ারম্যান প্রার্থী ছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুইজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীরা হলেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হচ্ছেন, পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নাজমুল হক (চশমা), উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি শফিকুল সরকার, উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি সালমান ফিরোজ ফয়সাল (টিয়া পাখি)ও আদিবাসী নেতা হরেন টুডু।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা মহিলা লীগের সভাপতি ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান সুফিয়া খাতুন মিলি (প্রজাপতি), উপজেলা মহিলা লীগের সাধারন সম্পাদক কৃঞ্চাদেবী (ফুটবল)। এ উপজেলার মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৭৬ হাজার ৮০৫ জন।


প্রকাশিত: মে ৫, ২০২৪ | সময়: ৫:০৯ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ