রবিবার, ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার,বাঘা: আগামী ২৯ ডিসেম্বর বাঘা পৌরসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে নিবন্ধন বাতিল হওয়া ও স্বাধীনতা বিরোধী সংগঠন জামায়াতে ইসলাম মেয়র পদে ভোট করার প্রচারনায় নেমেছেন। বাঘা পৌর জামায়াতের আমির ও মোজাহার হোসেন মহিলা ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক সাইফুল ইসলাম তাঁর কর্মী-সমর্থকদের সাথে করে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সহ-পাড়া-মহল্লায় গিয়ে ভোট চাচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত পৌর নির্বাচনের সময় নিবন্ধন বাতিল হওয়া সংগঠন বাঘা পৌর জামাতের আমির প্রভাষক সাইফুল ইসলাম সতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মেয়র পদে মাইকিং-শোডাউন সহ ব্যাপক প্রচার-প্রচারনা চালিয়ে ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যায়ে এসে উপজেলা নির্বাচন অফিসে মনোনয়ন যাচাই বাছাই-এ তাঁর প্রার্থীতা বাতিল হয়ে যায়।
কিন্তু এবার কোমর বেধে আবারও সতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে প্রচারনায় নেমেছেন সাইফুল ইসলাম। তিনি প্রতিদিন তার কর্মী-সমর্থকদের সাথে করে বাঘা পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ড এবং পাড়া-মহল্লার ভোটারসহ হাট-বাজারে গিয়ে ব্যবসায়ী দের কাছে ভোট প্রার্থনা করছেন। তাঁর কর্মীদের দাবি, সাইফুল ইসলাম সৎ এবং যোগ্য ব্যক্তি। তাঁকে একটি বারের জন্য নির্বাচিত করে পৌর বাসির খেদমত করার সুযোগ দিন।
এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন বিএনপি নেতা জানান, বর্তমানে দলের হাই কমান্ড থেকে নির্বাচনে অংশ না নেয়ার জন্য নির্দেশ রয়েছে। কিন্তু সেই নির্দেশ উপেক্ষা করে বাঘা পৌর বিএনপির সভাপতি কামাল হোসেন ইতোমধ্যে মনোনয়ন পত্র উত্তোলনসহ প্রতিদিন প্রচার-প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিষয়টি দলের অনেকেই মেনে নিতে পারছে না। এ কারণে বিএনপির কিছু ভোট জামাতে বাক্সে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এ কথাটি সঠিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন কামাল হোসেন। তার দাবি, অবাদ-সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট অনুষ্ঠিত হলে তিনিই নির্বাচিত হবেন।
অপর দিকে শতভাগ পাশ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রভাষক সাইফুল ইসলাম বলেন, বাঘা পৌর সভায় বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি থেকে মেয়র নির্বাচিত হয়েছে। এরপর ঐ সমস্ত মেয়র’রা এলাকায় উন্নয়নের চেয়ে জনগনের মাথায় একের পর এক, করের বোঝা চাপিয়েছেন। এ থেকে অনেক সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ। তাঁরা নতুন মুখ দেখতে চাই। আমি সেই লক্ষ্য উদ্দেশ্য নিয়ে সতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে ভোট করতে নেমেছি।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার মজিবুল আলম জানান, এ পৌর সভায় মনোনয়ন জমা দেয়ার শেষ তারিখ ১ ডিসেম্বর, বাছাই ৩ ডিসেম্বর, প্রত্যাহার ১০ ডিসেম্বর এবং নির্বাচন হবে ২৯ ডিসেম্বর। ইতোমধ্যে মেয়র এবং কাউন্সিলর মিলে প্রায় দুই ডজন নেতা-কর্মী (প্রার্থী) মনোনয়ন পত্র উত্তোলন করেছেন।