শস্য ও মৎস্যভান্ডার খ্যাত চলনবিলকে আরও সমৃদ্ধ করতে চাই -পলক

সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি :
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি বলেছেন চলনবিলের সিংড়া সারা বাংলাদেশের কাছে শস্যভান্ডার-মৎস্যভান্ডার হিসেবে সুপরিচিত। আমরা এটাকে আরও সমৃদ্ধ করতে চাই।

 

শনিবার (২০ এপ্রিল) বেলা ১১টায় সিংড়া উপজেলার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে পাট ও আউশ বীজ এবং সার বিতরণ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব বলেন তিনি।

 

 

পলক বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে ৩০০ কিলোমিটার খাল খনন করে দিয়েছেন এবং আমরা আরও ৩০০ কিলোমিটার খাল খননের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি, প্রায় ১১৭ কিলোমিটার নদী খনন করা হয়েছে। এর ফলে একদিকে যেমন কৃষিপণ্য পরিবহন সহজ হয়েছে, অন্যদিকে সেচ মৌসুমে সেচের সুব্যবস্থা হয়েছে। কিছু স্বার্থান্বেষী মহল এসব খাল জবরদখল করে তাদের স্বার্থ চরিতার্থ করার করার অপচেষ্টা করেছিলো। আমি নির্বাচনের আগে সকলকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যে, ‘জাল যার জলা তার’, ‘দলিল যার জমি তার’, ‘দক্ষতা-যোগ্যতা যার চাকুরী বা কর্মসংস্থান তার’। এই ৩টি নীতিতে আমি অটল আছি, এবং প্রশাসন ও সাংবাদিক ভাইদের সাথে নিয়ে ইতোমধ্যে কয়েকশো কিলোমিটার খাল আমি দখলমুক্ত করতে পেরেছি। আমাদের উৎপাদনযোগ্য জমির প্রয়োজন, তাই ফসলী জমিকে রকম পরিবর্তন করে অবৈধভাবে পুকুর খনন করাকে নিরুৎসাহিত করতে হবে।

 

পলক আরও বলেন, আজকে চলনবিলের প্রায় ৫ হাজারেরও বেশী কৃষক ভাইদের হাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উপহার কৃষি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে উন্নতমানের বীজ পৌঁছে দিতে পেরে আমি আনন্দিত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আমি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই, তিনি মাত্র ১৫ বছরে আমাদের সিংড়াকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছেন। আমরা সিংড়াকে একটি নান্দনিক মানবিক স্মার্ট সিংড়া হিসেবে গড়ে তুলতে চাই এবং সিংড়ার কৃষি এবং কৃষককে স্মার্ট কৃষিসেবার আওতায় আনতে চাই। করোনাকালীন সময় যখন কৃষি শ্রমিক পাচ্ছিলাম না তখন আমরা কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেছিলাম। সেই সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন দিয়েছিলেন বলেই আমরা কৃষকের ফসল কেটে গোলায় তুলতে পেরেছিলাম। সাথে সাথে আমাদের আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা মাঠে গিয়ে কৃষক ভাইদের ফসল তুলতে সাহায্য করেছিলো।

 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত নির্বাচনের সময় আমি কৃষি ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের জন্য আমার নির্বাচনী এলাকা সিংড়ায় কাজ করার কথা বলেছিলাম। শস্য উৎপাদন, মৎস্য ও পশুপালন আমাদের সিংড়ার জীবন ও জীবিকার সাথে সম্পৃক্ত। সেক্ষেত্রে কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, মৎস্য গবেষণা কেন্দ্র, সমন্বিত কৃষি ব্যবস্থার যান্ত্রিকীকরণ, মৎস্যজীবীদের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা, সেচ ব্যবস্থায় প্রযুক্তির ব্যবহার, কৃষিজ পণ্যের সংরক্ষণ, ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ করা ছিলো আমার নির্বাচনী ইশতেহারের অন্যতম প্রতিশ্রুতি।

 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হা-মীম তাবাসসুম প্রভা’র সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা হক রোজী, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খন্দকার ফরিদ প্রমুখ।

সানশাইন / শামি

 


প্রকাশিত: এপ্রিল ২০, ২০২৪ | সময়: ৭:২১ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine