সর্বশেষ সংবাদ :

রাজশাহী নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে নিয়ে মিথ্যাচারের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার: বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে নিজেকে নিয়ে মিথ্যাচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের জুনিয়র সেকশন অফিসার ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ খান টিটু।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) বোয়ালিয়া মডেল থানার উপশহর ফাঁড়িতে কনস্টেবলের সাথে উচ্চ স্বরে কথা বলার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশের সূত্র ধরে তার বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে মিথ্যাচার করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
আব্দুল ওয়াহেদ খান টিটু বলেন, যে ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে তা সুপার এডিটি করা। ঘটনার আংশিক ভিডিও আগে পিছে করে লাগিয়ে প্রচার করা হয়েছে। যার সূত্র ধরে কিছু সংবাদ মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য সরবরাহ ও মানহানিকর বাক্য ব্যবহার করে সংবাদ প্রচার করা হয়েছে।
টিটু বলেন, গত ৬ মার্চ বিলসিমলা বন্ধ গেট এলাকার স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী হানিফ জানায় উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল সাদিকুল ইসলাম আমাকে নিয়ে অনেক বাজে বাজে মন্তব্য করেছেন। এ বিষয়ে জানতে কর্মী হানিফকে সাথে নিয়েই একইদিন সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে আমরা দুজনে উপশহর পুলিশ ফাঁড়িতে যায়। সেখানে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আরিফ মাহমুদের সাথে সাক্ষাৎ করে তার পুলিশ কনস্টেবল সাদিকুলকে ভদ্রলোক বলে সন্মানের সাথে ডাকতে বলি। কনস্টেবল সাদিকুল পুলিশ ফাঁড়িতে আসলে তাকে ফাঁড়ির ইনচার্জ আরিফ মাহমুদ আমার সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করেছেন কি না জানতে চান? এ সময় তিনি সদত্তর দিতে না পাড়ায় এবং আমাকে নিয়ে বিভিন্ন বাজে মন্তব্য করায় আমি তাকে উচ্চস্বরে কথা বলে ফেলি।
তিনি বলেন, সেদিন মোটরসাইকেল আটকানোর কোন তদবিরের বিষয় সেখানে ছিল না। আর সংবাদ মাধ্যমে প্রচার করা হল স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মীর মোটরসাইকেল আটকানোয় বিপদে পুলিশ কর্মকর্তা। এ ছাড়াও ঘটনাটি পুলিশ ফাঁড়িতে হলেও সংবাদে প্রচার করা হল বোয়ালিয়া থানায় গিয়ে পুলিশ কর্মকর্তাকে চেয়ার ছুড়ে মারতে উদ্ধত হয়। এছাড়াও সংবাদে আমাকে কিশোর গ্যাংয়ের হোতা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যা পুরোটাই বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও মানহানিকর।
আব্দুল ওয়াহেদ খান টিটু আরও বলেন, আমি পুলিশ ফাঁড়িতে প্রবেশ থেকে বেরিয়ে আসা পর্যন্ত কি কথাবার্তা সেখানে হয়েছে তা যারা এই ভিডিওটি করেছেন তা পুরোটা দেখলেই পরিস্কার হয়ে যাবে কনস্টেবল সাদিকুলের সাথে উচ্চস্বরে কথা বলার কারণ। কিন্তু ভিডিওটি এডিট করে সকলের দৃষ্টি আকর্ষনের বস্তুতে পরিনত করা হয়েছে। যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের একটি অপরাধ।
উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল সাদেকুলের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে ফাঁড়ির ভিতরে চেয়ার নিয়ে পুলিশ কর্র্মতাকে মারতে তেরে যাওয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে, ফাঁড়ি ইনচার্জ আরিফ মাহমুদ বলেন, ভিডিওতে যা দেখা যাচ্ছে তার বাইরে কিছু হয়নি। আর এ বিষয়ে পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেন।


প্রকাশিত: মার্চ ১০, ২০২৪ | সময়: ৫:৪০ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ