মোহনপুরে অবৈধ পুকুর খননে বাঁধা দু-পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪, আটক ৩

মোহনপুর প্রতিনিধি: রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার আমরাইল-বাদেজুল বিলে অবৈধ পুকুন খননে বাঁধা দেয়ায় দু-পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৪ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন এক পক্ষের ৩ জন ও অপর পক্ষের ১ জন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পুকুর খননকারী ধুরইল গ্রামের ছদের আলীর ছেলে লিটন মোল্লাহ অরফে লিখনকে আটক করে। এসময় আরো দুজনকে আটক করা হয়।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেল ৫ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, বাকশিমইল গ্রামের মৃত সদের গাইনের ছেলে সেলিম , চাঁন্দপাড়া গ্রামের নাজমুল ও পোল্লাকুড়ি গ্রামের আনারের ছেলে সোহেল। অপর পক্ষের শীবপুর গ্রামের কাউসার আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়েছেন। পরে ঐদিন রাতে আহত নাজমুল হোসেন বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ২৬/২৮/১/২৪। ধারা- ১৪৩, ৩৪১, ৩২৩, ৩২৫,৩২৬, ৩০৭, ৫০৬ এর ২/১১৪। এ মামলায় আসামীদের আটক করে আদালতে প্রেরণ করেন থানা পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আমরাইল-বাদেজুল বিলে জমি লীজ নিয়ে অবৈধ পুকুর খনন করছিলেন লিখন। সেখানে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন গ্রামের ৬/৭ জন ব্যক্তি গিয়ে পুকুর খননে বাঁধা দেন। এসময় পুকুর খননকারীদের সাথে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাদের উপর হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়।
তবে আটক লিখনের পরিবারের দাবি, পুকুরে গিয়ে আহত ব্যক্তিরা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেয়ায় তারা কাজ বন্ধ করে দেয়। ঘটনার এর দুদিন আগে তারা লিখনের কাছে চাঁদার টাকা নিয়ে যায়। আবারো চাঁদা নিতে আসলে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের দাবি, লিখনের নের্তৃত্বে হামলা চালান মহব্বতপুর গ্রামের আলী হোসেন ও তার তিন ছেলে সিজার, কামাল, জিয়াউরসহ অজ্ঞাত কয়েকজন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবেশ শান্ত করেন। তবে পুকুরে যাদের জমি নেই তারা কেন বাঁধা দিলেন তার কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি।
মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে মারপিটের মামলায় ৩ জনকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়।


প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৯, ২০২৪ | সময়: ৬:৪২ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ