স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাধারণ মানুষ কাঁচি প্রতীকে সমর্থন দিচ্ছে : অধ্যক্ষ বাদশা

স্টাফ রিপোর্টার: আগামী ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-২ আসনের কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশাকে জয়যুক্ত করার লক্ষ্যে গণসংযোগ করা হয়েছে। গণসংযোগে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষও স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেয়। শনিবার সকাল ১০টায় ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকা ও রুয়েটে এই গণসংযোগ চালানো হয়।
এসময় রাজশাহী-২ আসনের কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে রাজনীতি করি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে যারা ব্যবহার করে ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলে মশগুল, তাদেরকে মানুষ চিনে ফেলেছে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা চিনে ফেলেছে। আর একারণেই রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষও স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাঁচি প্রতীকে সমর্থন দিচ্ছে। কাঁচি প্রতীকের জন্য কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি কাঁচি প্রতীকের ভোট বিপ্লব হবে। জনসমর্থন হারিয়ে একটি পক্ষ অপকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে। এই অপকৌশল কোন কাজে আসবে না। কারণ সাধারণ মানুষ আজ পবির্তনের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ। এসময় নেতা-কর্মীদের দৃঢ় মনোবল ধরে রেখে কাঁচি প্রতীকের বিজয়ের লক্ষ্যে প্রতিটি পাড়া মহল্লায় কাজ করার আহ্বান জানান।
গণসংযোগে উপস্থিত ছিলেন, রুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি ফারুক হোসেন, ডিন সিভিল প্রফেসর ড. কামরুজ্জামান রিপন, রুয়েট কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. দিলিপ কুমার ঘোষ, হল প্রভোস্ট প্রফেসর ড. আবু সুফিয়ান মো. জিয়া হাসান, রুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক মো. হারুন অর রশিদ, সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রাইমুল ইসলাম রোজ, সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার নাঈম রহমান নিবিড়, সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার ইসফাক ইয়াসশির ইপু, সাধারণ সম্পাদক সৌমিত্র সাহা, মহানগর আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য জয়নুল আবেদীন চাঁদ, ২৬ নম্বর ওয়ার্ড (পশ্চিম) সভাপতি আব্দুল কাদের, সাধারণ সম্পাদক আক্তার আহমেদ বাচ্চু, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক রমজান আলীসহ আওয়ামী ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এদিকে বাদশা বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে জনবিচ্ছিন্ন নেতৃত্বের কারণে রাজশাহী-২ আসনে ভোটাররা ভোট বিমুখ ছিলো। মানুষ পরিবর্তন চাই। সাধারণ ভোটাররা বলছেন, কাঁচি প্রতীক না থাকলে ভোট কেন্দ্রেই যেতাম না। একমাত্র কাঁচি প্রতীকের জন্যই মানুষ ভোট কেন্দ্রে আসবে বলে জানিয়েছেন রাজশাহী-২ আসনের কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা।
বিকেল ৩ টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ১৪, ১৭ ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগকালে এসব কথা বলেন তিনি।
আগামী ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-২ আসনের কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশাকে জয়যুক্ত করার লক্ষ্যে নগরীর ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে, পাড়া-মহল্লায় গণসংযোগ করা হচ্ছে। এসব গণসংযোগে আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষও স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিচ্ছে। স্লোগানে স্লোগানে তুলছেন ‘কাঁচি’ প্রতীকের জয়ধ্বনি। উৎসবমূখর পরিবেশে চলছে এই প্রচারণা।
গণসংযোগকালে রাজশাহী-২ আসনের কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা বলেন, এবার সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে নির্বাচন হবে। এবারের নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন। রাজশাহীতে কাঁচি প্রতীক নির্বাচন না করলে সেটা কখনোই অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হতো না। কারণ মানুষ ভোট কেন্দ্রেই আসতো না। কোন কোটারি নেতাকে রাজশাহীর মানুষ ভোট দিবে না। আর এটা বুঝতে পেরেই ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকরা আজ ঐক্যবদ্ধ। কোন ষড়যন্ত্রই সে ঐক্য নষ্ট করতে পারবে না। আর জনবিচ্ছিন্ন ওই নেতা যতই ষড়যন্ত্র করুক, সাধারণ মানুষ তা প্রতিরোধ করে কাঁচির বিজয় ছিনিয়ে আনবে।
গণসংযোগে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী কামাল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ কবির সেন্টু, নির্বাহী সদস্য বাদশা শেখ, ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন, রাজশাহী জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াসিন আলী মোল্লা, শাহমখদুম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ আক্তারুল আলম, মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আক্তার আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক দেবব্রত সিনহা, রাজশাহী রেলওয়ে শ্রমিক লীগের সভাপতি ওয়ালি খান, সহ-সভাপতি জাহুরুল ইসলাম, রেলওয়ে শ্রমিক লীগ আরবিআর শাখার সভাপতি অহিনুল হক, ১৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ(দক্ষিণ) সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল হক মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম, বোয়ালিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান রতন, শাহমখদুম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আখতারুল আলম, ১৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক, ১৪ নম্বর ওয়ার্ড (পশ্চিম) আওয়ামী লীগের সভাপতি জামাল উদ্দিন, মো. মনিরুজ্জামান মনি, ১৭ নম্বর ওয়ার্ড (পূর্ব) সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার হোসেনসহ আওয়ামী ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।


প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩১, ২০২৩ | সময়: ৬:৩০ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ