নতুন সাজে সাফিনা পার্ক

আসাদুজ্জামান মিঠু: নাটোর জেলায় অবস্থিত গ্রীনভ্যালী পার্ক মাত্র কয়েক বছরেই বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠে উত্তরবঙ্গের বিনোদন পিয়াসীদের কাছে। এতে চরম দর্শনার্থী সংকটে পড়ে রাজশাহী বরেন্দ্র অঞ্চলের ব্যাক্তি মালিকানাধীন বিনোদন কেন্দ্রগুলো। এবার সে সংকট কাটাতে রাজশাহীর গোদাগাড়ী অবস্থিত সাফিনা পার্ককে নতুন করে সাজানো হয়েছে। চীনে একটি বিনোদন কেন্দ্রে আঙ্গিকে সাজানো হচ্ছে পার্কটি।
বরেন্দ্রে উচুঁ-নিচু ভুমিতে ২০১২ সালে ৪০ বিঘার জমি উপর গড়ে তোলা হয়েছিল এ বিনোদন কেন্দ্র। এবার তা সম্প্রাসরণ করে ৯৫ বিঘায় করা হয়েছে। পুরোনো নকশা ও ডিজাইন পরিবর্তন করে নতুন করে চীনের ডিজাইন ও নকশাই কাজ শুরু হয়েছে সাফিনা পার্ক কর্তৃপক্ষ।
আগামী ডিসেম্বর মাসে পার্কে পুরো কাজ শেষ করতে দিন রাত কাজ করছেন ২০০ নির্মান শ্রমিক। এতে চলতি বছরেই পার্কের নতুন চমক ও আর্কষনীয় বিনোদন কেন্দ্র উপভোগ করতে পারবেন উত্তরবঙ্গের বিনোদন পিয়াসীরা। এতে নাটোরের গ্রিনভ্যালীকে পিছনে ফেলতে পারবে বলে মনে করছেন বিনোদন পিয়াসীরা।
সাফিনা কর্তৃপক্ষ জানান, বিনোদন পিয়াসীদের আর্কষণ করতে ৭ গুম্বজ এবং ৮০ ফুট উচুঁ অত্যাধুনিক গেট নির্মান করা হচ্ছে। গেটের ভেতরে প্রবেশ করেই মিলবে রেল স্টেশন। বয়স্ক ও শিশুরা ট্রেন বসে ঘুরতে পারবে পুরো পার্কের দর্শনীয় স্থান। পার্কের পশ্চিম পার্শে পাহাড় স দৃশ্য পাশে দিয়ে করা হয়েছে লেগ। বিনোদন পিয়াসীদের দুপুরে গোসল উপভোগ করতে নির্মান করা হয়েছে বড় সুইমিং পুল। নির্মান করা হচ্ছে চাইনা আবাসন স্থলে অন্যতম কাঠে তৈরি একাধিক টংঘর। যা দর্শনার্থীরা বিশ্রামের সুযোগ পাবেন। সভা সেমিনারের জন্য আধুনিক কনফারেন্স রুম করা হয়েছে।
এগুলো শুধু বড়দের নয়, ছোট শিশু-কিশোরদের জন্য নতুন নতুন রাডার বসানো হচ্ছে। যা বর্তমানের যুগে অত্যাধনিক। চায়নার ডিজাইনে সাফিনা পার্কে কাজ করছেন ঠিকারদার আনোয়া হোসেন। তিনি বলেন,শুধু চায়নার নকশায় না এখানের যত রাডার ও যন্ত্রপাতী বসানো হচ্ছে সবগুলোই চায়না থেকে আনা হচ্ছে।

আনোয়ার হোসেন আরো জানান, সাফিনা পার্কের এমডি মিজানুর রহমান মিজান একজন ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ী কাজে দীর্ঘদিন যাবন চীন দেশে অবস্থান করেন। চীতে অনেক দর্শনীয় স্থান দেখে তার আদলে এখানে করা ইচ্ছা রয়েছে।
শুরুতেই এমডি’র সখের বসে তিনি তার খামার বাড়ি থেকে ছোট পরিসরে বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তুলেছিলেন। দর্শনার্থীদের পদচারণাই মুখর দেখে তিনি বড় পরিসরে এখন করা পরিকল্পনা করেছেন। এজন্য তিনি প্রায় একশ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন। পর্যায়ক্রমে এ বিনোদন কেন্দ্র আরো সম্প্রাসরণ করা হবে।
সাফিনা পার্কের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মফিজ উদ্দিন জানান, আগামী ডিসেম্বর মাসে নতুন চমক পাবে এ অঞ্চলে বিনোদন পিয়াসীরা। ডিজিটাল যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আমরা চাইনার আদলে গড়ে তোলা হচ্ছে পার্ক। পুরো কাজ শেষ হলে উত্তরবঙ্গের মধ্যে সব চেয়ে আধুনিক বিনোদন কেন্দ্র হবে বলে আমাদের আসা।


প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৩ | সময়: ৬:৩৫ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ