রবিবার, ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
সানশাইন ডেস্ক: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে যুবসমাজের কর্মসংস্থানের বিষয়টি বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ। দলটি তাদের নির্বাচনী ইশতেহারের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতির তালিকায় রাখছে যুবসমাজের কর্মসংস্থান। এ তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচনী ইশতেহার কমিটির আহ্বায়ক ও দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশের মাধ্যমে আমরা কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবো।’
শনিবার রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির সভা শুরুর আগে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি। ‘গ্রাম হবে শহর’ আগের এই প্রতিশ্রুতির উদাহরণ টেনে আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের এই নেতা বলেন, ‘বর্তমানে দেশের প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। রাস্তা পাকা হয়েছে। সব গ্রাম উপজেলা শহরের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। স্কুল-কলেজের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। কমিউনিটি হেলথ কেয়ারের মাধ্যমে গ্রামে গ্রামে চিকিৎসা সেবা পৌঁছে গেছে।’
যুব সমাজের কর্মসংস্থান হবে এবারের নির্বাচনী স্লোগানের মূল প্রতিপাদ্য এমন তথ্য জানিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর এই সদস্য বলেন, ‘আমরা আগে অবকাঠামো করেছি, রাস্তাঘাট করেছি। সবাই বলতো- অবকাঠামো নেই, রাস্তাঘাট নেই এ দেশে শিল্প হবে না। বিদেশিরা আসবে না, বিনিয়োগ করবে না। এখন শিল্পায়নের পথে সব বাধা দূর করা হয়েছে। বিনিয়োগের জন্য আমরা পরিবেশ সৃষ্টি করেছি। এখন আমাদের লক্ষ্য হবে শিল্পকারখানা স্থাপন করে দেশি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নিয়ে দেশে শিল্পায়নকে ত্বরান্বিত করা। কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে মানুষের আয় বৃদ্ধি করা।’
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমাদের চ্যালেঞ্জ ছিল উন্নত জীবনযাপন। উন্নত জীবনযাপনের জন্য উৎপাদন খাতকে বাড়ানো, শিল্প কারখানা গড়ে তোলা। তার জন্য যা করার সবই হয়েছে। শিল্পায়নের মাধ্যমে আমাদের শিক্ষিত ছেলেমেয়েদের কর্মসংস্থান হবে। দেশের অর্থনীতিতে চাঙা হবে।’
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের আলু-পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ায় জনগণে ক্ষোভ রয়েছে। এই দামটা থাকবে না। আমারা চেষ্টা করছি। বিশেষ করে, গরীব মানুষের বিষয়টি বিবেচনা করে আমরা কাজ করছি। বর্তমানে চালের দাম নিম্নগামী। চাল-গম অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে আমাদের গুদামে এখন বেশি রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে ইশতেহারে এসডিজি গোলকে সামনে রেখে দেশকে উচ্চমধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তর করতে চাই। সেই লক্ষ্যে নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন করবো। দারিদ্র কতটুকু নেমে আসবে? মুদ্রাস্ফীতি কততে নিয়ে আসবো-এগুলো বিবেচনা নিয়ে সার্বিক চাঙা অর্থনীতির বিষয়ে আমাদের আগামী ইশতেহার প্রণয়ন করা হবে।’ এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কমিটির সদস্য সচিব ও দলের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, কমিটির সদস্য অধ্যাপক সাদেকা হালিম, সাজ্জাদুল হাসান এমপি, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।