বাঘায় আর্থ সামাজিক উন্নয়নে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর অবদান প্রসংশনীয়

বাঘা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাঘায় আ’লীগ সরকারের একটানা ১৫ বছরে মানুষের জীবনমান ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে উপজেলা সমাজসেবা, খাদ্য অধিদপ্তর ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকার অনুদান (ভাতা) প্রদান খাতে সরকারের ব্যয় হয়েছে প্রায় ৬ শ’ কোটি টাকা। এর বাইরেও স্থানীয় সংসদ নিজেস্ব অর্থায়নে শিক্ষা ও চিকিৎসা খাতে তাঁর নির্বাচনী এলাকা (চারঘাট-বাঘার) অসংখ্য মানুষকে নানা ভাবে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন। এর ফলে বেড়েছে মানুষের গতি ও জীবন যাত্রার মান। এ অঞ্চলের লোকজন মনে করছেন, বর্তমান সংসদ সদস্য ও মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের একান্ত প্রচেষ্টায় বিগত সরকার গুলোর চেয়ে বর্তমান সরকার আমলে এসব অনুদান বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়েছে।

 

 

 

 

 

অনুদানকৃত ভাতার মধ্যে রয়েছে-প্রতিবন্ধী ভাতা, শিক্ষা উপবৃত্তি, হিজড়া ও বেদে জনগোষ্ঠির জীবনমান উন্নয়ন, শিক্ষা ও বয়স্ক ভাতা, বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা ভাতা , অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা, দুস্থ মহিলাদের ভাতা প্রদান এবং ক্যানসার রুগিদের জন্য এককালিন চিকিৎসা ভাতা, বীর মুক্তিযোদ্ধদের জন্য সম্মানী ভাতা , সমাজকল্যান পরিষদের মাধ্যমে এক কালিন আর্থিক শিক্ষা ভাতা , চিকিৎসা অনুদান, নিবন্ধনকৃত এতিমখানার জন্য ক্যপিটেশন গ্যান্ট, মাতৃত্বকালিন ভাতা, স্বল্প মুল্যে ওয়েমেসের চাল-আটা , ১৫ টাকা কেজি চাল, এছাড়াও রয়েছে ভিজিডি ও ভিজিএফ-সহ কর্মজীবি ল্যাট্রিন মাদার সহায়তা ও খাদ্য বান্ধব প্রকল্পের আওতায় টিসিবি পন্য প্রদান।

 

 

 

 

 

 

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রাশিদুজ্জামান বলেন, বিগত জোট সরকারের আমলেও চাকরি করেছি। তবে বর্তমান সরকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকার ভাতা প্রদানে যে পরিমান অর্থ সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন তা ইতিবাচক। এর ফলে হতদরিদ্র মানুষ গুলো তাদের জীবন-মান অনেকটায় পরিবর্তন ও গতিশীল হিসাবে চালিত রেখেছেন। এ সমস্ত ভাতা এবং অনুদান না পেলে অনেক পরিবারকে না খেয়ে থাকা লাগতো বলেও তিনি মন্তব্য করেন। বিশেষ করে মহামারি করোনা কালিন সময় সরকারের পাশা-পাশি স্থানীয় সংসদ নিজ অর্তায়নে মানুষকে যে ভাবে আর্থিক সহায়তা দিয়ে লোক মারফত ঘরে-ঘরে খাবার পৌছে দিয়েছেন সেটি প্রসংশনীয়। এর বাইরেও তিনি বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে করোনা-পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য কয়েক প্রকার দামি ম্যাশিন এবং ডাক্তার ও নার্সদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য নিরাপদ পোশাক উপহার দিয়ে ব্যপক আলোচিত হয়েছেন।

 

 

 

 

 

 

 

তাঁর দেয়া তথ্য মতে, গত ১৫ বছরে প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি কার্যক্রমের আওতায় প্রাথমিক থেকে উচ্চতর পর্যন্ত ১০১০ জন শিক্ষার্থীর জন্য সরকারের ব্যায় হয়েছে প্রায় ২ কোটি টাকা, বেদে জনগোষ্ঠি জীবনমান উন্নয়ন কর্মসুচি কার্যক্রমের আওতায় (শিক্ষা ও বয়স্ক) খাতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ২ কোটি টাকা এবং নিয়মিত ভাতা ভোগির তালিকায় বয়স্ক, বিধবা,স্বামী পরিত্যাক্তা, অসচ্ছল ও দুস্থ মহিলাদের জন্য সরকারের ব্যয় হয়েছে দেড়শ কোটি টাকা এ ছাড়াও সমাজ কল্যান পরিষদের মাধ্যমে গরিব-দুখিদের জন্য স্বল্প মুল্যে ওয়েমেস এর চাল-আটা বিতরণ , শিক্ষা খাতে সহায়তা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ও এতিম খানায় ক্যপিটেশন বাবদ ব্যায় হয়েছে আরো প্রায় ৫ কোটি টকা।

অপর দিকে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাসরিন সুলতানা জানান , তাঁর অফিস থেকে গত ১৫ বছরে উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নে দরিদ্র মায়ের জন্য মাতৃত্বকালিন ভাতা দিয়েছেন (২ হাজার ৮৮৪ জনকে) যার ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা, অপর দিকে ১০ হাজার মানুষকে ( ভিজিডি) খাদ্যা সহায়তা দিয়েছেন ৮ হাজার মেট্রিকটন গম এবং কর্মজীবি ল্যাট্রিন মাদার সহায়তা দেয়া হয়েছে ৯৫০ জনকে। যার ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২ কোটি টাকা, এ ছাড়াও স্বেচ্ছাসেবী সমিতি উন্নয়ন খাতে ১ কোটি টাকা এবং খুদ্র সমিতিকে ঋণ সহায়তা দিয়েছেন ২ কোটি টাকা। তিনি বলেন শুধু অনুদানই নয় ,এই বাইরেও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর নানামুখি সামাজিক কাজ করে থাকে। এসব কাজের মধ্যে রয়েছে নারী ও শিশু পাচার প্রতিরোধ, বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ, মানব প্রাচার প্রতিরোধ, জন্ম ও বিবাহ নিবন্ধন এবং জয়িতা অন্বেষন সহ পারিবারিক সুরক্ষা আইন সহায়তা।

 

 

 

 

 

 

 

এদিকে উপজেলা খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী বলেন, বর্তমান সরকারের একটানা ১৫ বছরে আমাদের দপ্তর থেকে খাদ্য নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচী প্রকল্পে ১৪টি ডিলারের মাধ্যমে স্বল্প মূল্যে ৭ হাজার ১’শত পরিবারের মাঝে বছরে ৫ মাস একেকটি পরিবার ১৫ টাকা কেজি হিসেবে প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাউল দেয়া হয়েছে। একই সাথে ২টি পৌরসভায় ৮টি ডিলারের মাধ্যমে হাজার হাজার হত দরিদ্রের মাঝে স্বল্প মূল্যে ওএমএস এর চাউল ও আটা উন্মুক্ত বাজারে বিক্রয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে এবং টিসিবির মাধ্যমে উপজেলা ব্যাপী ১৪ হাজার পরিবারের মাঝে চাউল, ডাউল, তেল, চিনি, ছোলা ইত্যাদি খাদ্যদ্রব্য বাজারের চেয়ে অর্ধেক মূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে। এ খাতে সরকার কয়েক’শ কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে।

বাঘার বিশিষ্ঠ সমাজ সেবক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার মনোয়ারুল ইসলাম মামুন,বাঘা বাজার বনিক সমিতির সভাপতি শহিদুল ইসলাম ও আ’লীগ নেতা অধ্যক্ষ নছিম উদ্দিন বলেন, বর্তমান সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও (চারঘাট-বাঘার ) সংসদ সদস্য আলহাজ শাহরিয়ার আলমের একান্ত প্রচেষ্টা না থাকলে এখানে এতোকিছু উন্নয়ন ভাতা বৃদ্ধি করা সম্ভব হতো না। মুলত: তাঁর প্রচেষ্টায় এ অঞ্চলের হত দরিদ্র মানুষ গুলো আর্থিক ভাবে সাবলম্বী হচ্ছেন। এর বাইরেও শাহরিয়ার আলম ব্যক্তিগত ভাবে নানা খাতে মানুষকে যে ভাবে সহায়তা প্রধান করে আছছেন সেটি ইতিবচক। আমাদের বিশ্বাস, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ অঞ্চলের মানুষ আবারও তাঁকেই বিজয়ী করবেন।

 

 

 

 

 

 

 

বাঘার আমোদপুর গ্রামের হতদরিদ্র মালেকা বেগম জানান, বর্তমান সরকার আমালে তিনি নিয়মিত বিধবা ভাতা পাওয়ার টাকা দিয়ে ছাগল কিনে এখন অনেকটায় সাবলম্বী । অনুরুপ কথা বলেন বয়স্ক ভাতা থেকে উপকার ভোগি জাহানারা বেগম ও আপেয়া বেগম।

বাঘা পৌর সভার সাবেক প্যানেল মেয়র শাহিনুর রহমান পিন্টু বলেন, অতিতে বাঘা উপজেলায় হতদরিদ্র মানুষগুলো এতোটা সহয়তা পাইনি। যতটা-না পেয়েছে বর্তমান সরকার আমলে। তিনি বলেন, বাঘা-চারঘাটের গণমানুষের নেতা ও বর্তমান সরকারের মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আলহাজ শাহরিয়ার আলম এই অঞ্চলের গরিব দুখী মানুষের কথা চিন্তা করে তাদের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে তদবির করে এসব উন্নয়ন ভাতা বৃদ্ধি করেছেন। অত্র এলাকার মানুষ তাঁর মাধ্যমে এসব উন্নয়নের কথা যদি একটি বার চিন্তা করে থাকেন তাহলে আবারও আ’লীগ সরকারের প্রতিনিধি শাহরিয়ার আলমকেই মুল্যায়ন করবেন।

 

 

 

 

 

 

এসব বিষয়ে পর-পর তিনবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও দুই বারের সফল পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আলহাজ শাহারিয়ার আলম বলেন, বাঘা-চারঘাট এর তৃণমূল লোকজনের চাহিদা বিবেচনা করে এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নের চেষ্টা করেছি। তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক সহযোগীতায় শুধু বাঘা-চারঘাট নয়, বৃহত্তর রাজশাহীতেও ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছে। আগামী নির্বাচনে যদি আমরা সরকার গঠন করতে পারি তবে এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে । তিনি বলেন, আমি ১৫ বছর চারঘাট-বাঘার মানুষের সাথে মিশে তাদের যে ভালোবাসা পেয়েছি তা কোনদিন ভুলবো না। আমি নির্বাচিত হয়-বা না হয়,যতদিন বেঁচে থাকবো এ অঞ্চলের মানুষের পাশে থাকবো।

 

 

 

 

সানশাইন/সোহরাব


প্রকাশিত: অক্টোবর ৪, ২০২৩ | সময়: ৮:১৪ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine