বাজারে অগ্নিমূল্যে দিশেহারা স্বল্প আয়ের মানুষ

মাহফুজুর রহমান প্রিন্স, বাগমারা: বাগমারা সহ আশেপাশের এলাকায় শাক-সবজি সহ নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। এ নিয়ে চরম বেকায়দায় পড়েছেন নিম্ন ও সীমিত আয়ের লোকজন। তাদের এখন নুন আনতে পানতা ফুরানোর অবস্থা। স্থানীয় বাজার ঘুরে ও ক্রেতা বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে বাজারের এই বেহাল অবস্থা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, গত একসপ্তাহের ব্যবধানে এখানে প্রায় সব ধরণের সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। স্থানীয় বাজারে পেঁপে ও পটল বাদে ৫০ টাকার নিচে কোন সবজি নেই বললেই চলে। ডিম ও পেঁয়াজের দাম উর্ধ্বমূখী। মাছ মাংসের দামও বেশি। এই অবস্থায় সবজির দাম আরো বাড়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে স্বল্প আয়ের মানুষ।
সবজি ছাড়াও এখানে ব্রয়লার মুরগীর ডিম প্রতি হালিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে।
স্থানীয় হোটেলগুলোতে প্রতিটি খাবারের দাম বেড়েছে প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ। আগে ১০ টাকার রুটি এখন ১৫ টাকা, ৭ টাকার পরোটা এখন ১২ টাকা। সেই সাথে কমেছে খাবারের মানও।
ভোক্তারা বলছেন হোটেল মালিকরা প্রতিটি খাবারের দাম বৃদ্ধি করলেও খাবারের মান অনেক কমে গেছে। এসব হোটেলে খাবারের মান ঠিক রাখার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারী বাড়ানোর দাবী জানিয়েছেন।
এদিকে মুরগীর ডিমের পাশাপাশি বেড়েছে মুরগীর দামও। ব্রয়লার মুরগী ১৫০ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়। দেশী মুরগী ৪০০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা এবং সোনালী ৩০০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সম্প্রতি ভবানীগঞ্জ তাহেরপুর হাট ঘুরে এমন চিত্রই লক্ষ করা গেছে। এসব হাটে রসুন ১১০ টাকা থেকে বেড়ে ১৫০ টাকা এবং ৪০ টাকা কেজি দরের পেঁয়াজ কয়েক দফায় বেড়ে এখন হয়েছে ৮০ টাকা । এছাড়া মাঝারী আকারের ইলিশ ১ হাজার থেকে ১২শ টাকা ও বড় আকারের ইলিশ ১ হাজার ৫শ থেকে ১ হাজার ৮ শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি রুই কাতলা ৩৫০ টাকা, শিং ৫৫০, চিংড়ি ৭৫০, কই ৩৫০, সিলভার কার্প বড় সাইজ ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া খাসি ও গরুর মাংস এখন আকাশ ছোয়া। গরীবের জন্য এখন এ দুটো জিনিস কেনা খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার।
ভবানীগঞ্জের সিএনজি চালক রেজাউল করিম জানান, বাজারে হটাৎ করেই সবধরনের জিনিসের দাম বেড়েছে। গতসপ্তাহ থেকে ্েথকে এখন সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। গোড়াউন মোড়ের ভ্যান চালক আমীন হোসেন বলেন, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভ্যান চালিয়ে ৫ থেকে ৬শ টাকা আয় হয়। এই টাকা দিয়ে সাত সদস্যের পরিবার চালানোই কঠিন হয়ে পড়েছে। এর আগে কখনও এত দুর্ভোগে পড়িনি।
একই এলাকার অটো চালাক আব্দুস সামাদ জানান, মালিকের অটো ভাড়া নিয়ে দিন শেষে যে আয় হয় তা দিয়ে সংসার চলে না। প্রতিদিন মুদির দোকানে বাঁকির পরিমান বেড়েইে চলেছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু সুফিয়ান জানান, বাজার মনিটনিং ভোক্তা অধিকার কর্তৃপক্ষ করে থাকেন। তারা চাইলে প্রশাসন সহযোগিতা করে।


প্রকাশিত: আগস্ট ২১, ২০২৩ | সময়: ৫:২৩ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ