রবিবার, ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
নুরুজ্জামান,বাঘা :
সারাদেশে প্রতিদিন হু-হু করে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। ইতোমধ্যে অসংখ্য মানুষের জীবন প্রদীপ নিভে যাওয়ায় আতঙ্কতি পুরো দেশবাসী। এদিক থেকে সীমান্তর্বতী রাজশাহীর বাঘা উপজলো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত একমাসে ২৭ জন রোগী ডেঙ্গু শনাক্ত হয়ছে । অথচ এটি প্রতিরোধে প্রথম শ্রেনীর বাঘা পৌরসভা থেকে মশক নিধনে নেয়া হয়নি বিশেষ কোন ব্যবস্থা ! এর ফলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পৌরবাসী।
তবে বাঘা উপজেলা প্রশাসন বৃহস্পতিবার(২৭-জুলাই) মাসিক সমান্বায় কমটির এক সভায় উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে মশক নিধনের জন্য ৭ ইউনিয়নে সাতটি বগার ম্যাশিন কিনে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আখতার। একই সাথে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-সহ বাড়ীর আঙ্গিনা এবং স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠান এলাকায় ময়লা-আর্বজনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তবে প্রথম শ্রেনীর বাঘা পৌর সভা থেকে মশক নিধনে এখন র্পযন্ত বিশেষ কোন র্কাযক্রম লক্ষনীয় না হওয়ায় পৌর সভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের লোকজন ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এ বিষয়ে পৌর মেয়র আক্কাছ আলীর সাথে কথা বলার জন্য তাঁর মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি তার ফোন রিসিভ করেননি। তবে পৌরসভার নৈশ্য প্রহরী সোহাগ রানা এ প্রতিবেদককে জানয়িছেন, পৌরসভার পক্ষ থেকে পর-পর তিনদিন বিকেলে বাঘা উপজলো চত্বর, মেয়র মহাদ্বয়ের নিজ গ্রাম,নারায়নপুর বাজার ও হাসপাতাল এলাকায় ফগার ম্যাশিন চালানো হয়েছে।
এদিকে উপজলো প্রশাসন, উপজলো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পৌরসভা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত বছর সারা দেশে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল সর্বসাকুল্যে প্রায় ৬০ হাজার রোগী। কিন্তু এ বছর ইতি মধ্যইে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে শুধু হাসপাতালেই ভর্তি হয়েছে প্রায় ২০ হাজারের উপরে রোগী। এর মধ্যে জীবন প্রদীপ নিভে গেছে প্রায় শতাধিকের কাছাকাছি মানুষের। এতে করে কোন মানুষের শরীরে আকষ্মকি ভাবে একটু জ্বর দেখা দিলেই তারা ডেঙ্গু পরীক্ষা করতে ছুটে আসছেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এর দিকে।
বাঘা উপজলো স্বাস্থ্য ও পরিবার পরকিল্পনা র্কমর্কতা (ডাক্তার) আসাদুজ্জামান জানান, গত একমাসে তাঁর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্যাথলোজি বিভাগ থেকে জানানো হয়েেছ ২৭ জন ডেঙ্গু রুগী আক্রান্তের খবর। এদেরে মধ্যে সাহাবুল ,রুবেল ও উসমান সহ-অনেকে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। আবার অনেকেই প্রাইভেট ক্লিনিক অথবা বাড়িতে বসে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সানশাইন / শাহ্জাদা