রাজশাহীতে পরপর চারবার সেরা ওসি হলেন সাজ্জাদ হোসেন

নুরুজ্জামান,বাঘা : সফল মানুষের সাথে অসফল মানুষের প্রধান পার্থক্য শক্তি বা জ্ঞান নয়। পার্থক্যটা হলো, সত্যিকার সফল হওযার ইচ্ছে। সাফল্যের জন্য আপনাকে মূল্য দিতে হবে ভালোবাসা , কঠোর পরিশ্রম , অধ্যাবসায় , আর স্বপ্নকে বাস্তব হতে দেখার জন্য ব্যর্থতার পরও কাজ করে যাওয়া। এমন একজন অফিসার ইনচার্জ এর নাম সাজ্জাদ হোসেন। তিনি ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ রাজশাহী জেলায় পরপর চারবার শ্রেষ্ঠ পুরুস্কারে ভূষিত হয়েছেন। এ খবর শুনে তাঁকে অনেকেই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ভালো কাজের স্বীকৃতি ও সাফল্য পুরুস্কার দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ বিভাগে। সেই ধারাবাহিকতা পূর্বের যে কোন সময়েরে চেয়ে পুলিশ প্রশসনের মধ্যে দেখা দিয়েছে ব্যাপক পরিবর্তন এবং কাজ করার আগ্রহ। একই সাথে পুলিশ বিভাগে এসছে আমলুক পরিবর্তন। এদিক থেকে পর-পর চারবার রাজশাহী জেলার নয়টি থানার মধ্যে মাদক উদ্ধার, গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল, থানা এলাকার সার্বিক আইন শৃঙ্খলার নিরাপত্তা ,মানুষের জন্য সেবা মূলক কার্যক্রম ইত্যার্দি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখার সুবাদে পর-পর চারবার রাজশাহী জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ এর পুরুস্কারে ভুষিত হয়েছেন বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাস হোসেন।

রাজশাহী জেলা পুলিশের একটি মুখপত্র জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে মাদককে জিরো টলারেন্স ঘোষনা সহ-উন্নত দেশের আদলে বাংলাদেশ পুলিশিং ব্যবস্থাকে বদলে দিতে তৎপর হয়েছেন বর্তমান পুলিশের মহা-পরিদর্শক(আইজিপি)ড.বেনজির আহাম্মেদ। এ জন্য তিনি প্রতিটি জেলায়-মামলা নিস্পত্তি, পরোয়ানা তামিল, প্রসিকেশন দাখিল, মাদক উদ্ধার, পুলিশের আচরণ ও সততা, মামলার ক্লু-উদঘাটন ইত্যাদি বিষয়ে পুলিশকে গতিশীল করার লক্ষে নানা ভাবে পুরুস্কার দেয়ার ব্যবস্থা জোরদার করেছেন।

সেই দিকনির্দেশনায় রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন (বি.পি.এম.বার) মহাদ্বয় বর্তমানে প্রতিটি থানা এলাকার সকল ইউনিয়ন এবং পৌরসভায় সপ্তায় একদিন করে বিট পুলিশিং সেবা প্রদান ও থানায় হেল্প ডেক্স চালু এবং অপরাধীদের দ্রুত আটক-করা সহ মানুষকে আইনি সেবা দিতে বদ্ধ পরিকল্পনা গ্রহন করেছেন। সেই পরিকল্পনা মোতাবেক সার্বিক বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখার সুবাদে পরপর চারমাস রাজশাহী জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ এর পুরুস্কারে ভুষিত হয়েছেন বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাস হোসেন।

বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি)সাজ্জাদ হোসেনের একাধিকবার সাফল্য পুরুস্কার পাওয়া প্রসঙ্গে বাঘার সুশীল সমাজ ও সুধীজনদের বক্তব্য পৃথিবীতে কেউ সাফল্যের চামচ নিয়ে জন্মলাভ করে না। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে সবকিছু অর্জন করতে হয়। প্রবাদ আছে, ‘পরিশ্রম সাফল্যের চাবি-কাঠি । পরিশ্রমের ছাড়া ভাগ্যের চাবি-কাঠি পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। যা অলস মানুষের কাছে অলৌকিক বলে মনে হয়। যে কোনো ক্ষেত্রে সফলতার প্রথম শর্ত হল প্রবল ইচ্ছাশক্তি ও কঠোর পরিশ্রম।

এ দিক থেকে বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ সর্তিকার অর্থে একজন পুরুস্কার পাওয়ার মতো মানুষ। তিনি এই থানায় যোগদানের পর থেকে শুধু আইন শৃঙ্খলা নয়, পরিবর্তন হয়েছে অনেক কিছুর। তিনি ইতোমধ্যে থানা চত্বর এলাকায় বেশ কিছু উন্নয়ন মূলক কাজ করে এ অঞ্চলের সর্বস্তরের মানুষের কাছে প্রশংশিত হয়েছেন। তাঁর হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন একজন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী যুবক। তাকে বাসায় রাখা সহ শেখানো হয়েছে কি ভাবে মানুষকে সেলুট দিয়ে সম্মান দেখাতে হয়। সে অর্থে ঐ যুবক পুলিশের অবিকল পোশাক পরে মানুষকে সম্মান প্রদর্শন করছেন।

সর্বশেষ সোমবার অবৈশ ভাবে পাখি শিকার ও ক্রয় করার অপরাধে দুই যুবককে গ্রেফতারের পর তাদের বিরুদ্ধে পাখি সংরক্ষণ আইনে একটি মামলা দায়ের করেন ওসি সাজ্জাদ হোসেন। অত:পর সেই পাখি গুলো তিনি অবমুক্ত করে সর্ব মহলে প্রশংশীত হন।

বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমরা সততা ও নিষ্টার সাথে কাজ করে যাচ্ছি। সেই সাথে সরকরের ধারাবাহিক উন্নয়ন কার্যক্রমকে গতিশীল করার লক্ষে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনের পাশা-পাশি মানুষকে সার্বিক সহায়তা দেয়ার চেষ্ট করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, আমি অশেষ কৃতজ্ঞ রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার স্যারের প্রতি। তিনি আমার উপর আত্ন বিশ্বাস রেখে যেকোনো দায়িত্ব পালনের জন্য বটবৃক্ষের মতো মাথার উপর ছায়া দিয়ে রেখেছেন । তাঁর মেত, এ সাফল্য শুধু আমার একার নয়, এই সাফল্য পুরো বাঘা থানা পুলিশের।


প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২২ | সময়: ১১:৩৬ অপরাহ্ণ | সানশাইন