নিয়ামতপুরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন মালিকের বিরুদ্ধে ভাড়াটিয়ার অভিযোগ

নিয়ামতপুর প্রতিনিধিঃ
নওগাঁর নিয়ামতপুরে একটি পরিত্যক্ত তিনতলা ভবনের মালিকের বিরুদ্ধে ভাড়াটিয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলা সদরের হাসপাতাল রোডে অবস্থিত মরহুম ইকবাল জাকি চৌধুরীর তিনতলা ভবনে দীর্ঘদিন যাবত নিচতলায় ঔষুধের দোকান, দ্বিতীয় তলায় খন্দকার ডায়াগনষ্টিক সেন্টার এবং তৃতীয় তলায় ভবন মালিলেকর স্ত্রী অবস্থান করেন। ভবন মালিক জাকি চৌধুরীর স্ত্রী সন্তানদের লেখাপড়া ও চাকুরীর জন্য ঢাকা শহরে অবস্থান করেন। তাই ভবনের তৃতীয় তলা প্রায় ফাঁকায় থাকে। হঠাৎ ভবনের বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দেওয়ায় ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। তাই সাথে সাথে নিরাপত্তার জন্য ভবনের বিভিন্ন অংশে বাঁশের খুঁটি দিয়ে রাখা হয়।

 

 

এদিকে নিচ তলায় ঔষুধের দোকন, দ্বিতীয় তলায় ডায়াগনষ্টিক সেন্টার নিজেদের নিরাপত্তার জন্য অন্যত্র সরে যান। কিন্তু তাতে বাধ সাধেন ভবন মালিকের মেয়ে জেবা চৌধুরী (বর্তমান মালিক)। তিনি ভাড়াটিয়াদের চুক্তিনামা অনুযায়ী আগ্রীম ৬ মাসের ভাড়া পরিশোধ করে ভবন ছাড়ার কথা বলে।

 

 

এ বিষয়ে খন্দকার ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক বলেন, আমরা তো ভবন ছাড়তে চাই নি। কিন্তু ভবনে থাকা মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। ভবনের বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। যে কোন মূহুর্তে দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। উপজেলা প্রশাসনও ভবনটিকে পরিত্যক্ত ঘোষনা করেছে। অথচ ভবনে বর্তমান মালিক মরহুম ইকবাল জাকি চৌধুরীর স্ত্রী আমাদের কিছুই ছাড়ছে না। বলছে যেতে হলে অগ্রীম ৬ মাসের ভাড়া পরিশোধ করে যেতে হবে।

 

 

 

ভবন মালিকের কন্যা জেবা চৌধুরী বলেন, আমাদের ভবনকে উপজেলা প্রশাসন পরিত্যক্ত ঘোষনা করেন নাই। তাছাড়া ভবনের তো কোন সমস্যা নেই। সংস্কারের কাজের জন্য বাঁশ লাগানো হয়েছে। সংস্কারের কাজও প্রায় শেষ। তাছাড়া খন্দকার ডায়াগনষ্টিক সেন্টার আমাদেরকে ভুল বুঝে ভবন ছাড়তে চাচ্ছে। যদি ভবন ঝুঁকিপূর্ণই হয় তাহলে তারা শুধুমাত্র দ্বিতীয় তলা ছাড়ছে কেন? নিচ তলা রেখে দিচ্ছে কেন। তাদের সাথে আমাদের কোন সমস্যা তো নেই। তারপরেও যদি আমাদের ভবন ছাড়তে চায় তাহলে চুক্তিনামা মেনেই তো ছাড়তে হবে। যদি ভবন ঝুঁকিপূর্ণই হবে তাহলে আমরা কিভাবে বাস করছে?

 

সানশাইন/সোহরাব


প্রকাশিত: জুলাই ১৩, ২০২৩ | সময়: ৪:০৪ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine