সর্বশেষ সংবাদ :

নিয়ামতপুরে অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা জলাবদ্ধতার মূল কারণ কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতা

নিয়ামতপুর প্রতিনিধিঃ
বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টি হলেই চরম দুর্ভোগে পড়েন নিয়ামতপুর উপজেলা সদরের বাসিন্দারা। সামান্য বৃষ্টিতেই কাদাপানিতে সয়লাব হয়ে যায় এলাকা। দুইদিন ধরে টানা ভারি বর্ষণে উপজেলা সদর এলাকায় তৈরি হয়েছে দীর্ঘ জলাবদ্ধতা। নিচু এলাকার ঘরবাড়িতেও ঢুকে পড়ছে পানি।
স্থানীয়রা বলছেন, অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও পানি নিষ্কাশনের পর্যাপ্ত সুযোগ না থাকায় ময়লা পানি সড়কে উঠে যাচ্ছে এবং জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থায় স্বাভাবিক পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলেও অভিযোগ তাদের।

 

 

 

 

জানা গেছে, জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছেন উপজেলা পরিষদ। তবে অপরিকল্পিত কাজের জন্য উপজেলা সদরের বাংলালিংক টাওয়ার এলাকা, তিন মাথার মোড়, মাষ্টারপাড়া, চার মাথার মোড়, খাদ্য গুদামের পূর্বদিকে, উপজেলা পরিষদের প্রাচীরের পূর্বদিক থেকে এখনো দূর করা সম্ভব হয়নি জলাবদ্ধতার সমস্যা।

 

 

 

বাংলালিংক টাওয়ার এলাকার বাসিন্দা সোলাইমান এ প্রতিবেদককে বলছেন, উপজেলা সদরে তেমন কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই। যে টুকু করেছে তাও অপরিকল্পিত। তিন মাথার মোড় হতে পূর্ব দিকে যে ড্রেন করা হয়েছে তা কোন কাজে আসছে না। কারণ বাংলালিংক টাওয়ার এলাকায় কোন ড্রেন না থাকায় এবং তিন মাথার মোড়ে মেইন রোডে বড় কোন কালভার্ট না থাকায়।
তিয়ানসি প্রি-ক্যাডেট একাডেমীর পরিচালক তোফাজ্জল হোসেন বলেন, শুধু মাত্র ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকার কারণে সামান্য বৃষ্টিতেই ব্যাপক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। আমার স্কুল ডুবে গেছে। কোথাও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই। নিয়ামতপুর মোড় হতে যে ড্রেনটি এসেছে তাও মাঝ পথে এসে থেমে গেছে। বাংলালিংক টাওয়ার এলাকায় কোন ড্রেন না থাকায় পানি নিস্কাশন হতে পাচ্ছে না। যা ঘরবাড়ী নির্মান করছে তারাও কোন ড্রেনের ব্যবস্থা করছে না।

 

 

 

 

উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ কিংবা ইউনিয়ন পরিষদের কোন প্রতিনিধি তাদের ড্রেনের ব্যাপারে কোন কথা বলেন না। এছাতাড়া তিন মাথার মোড় হতে যে ড্রেন নির্মান করা হয়েছে সেখানেও পানি নিস্কাশনের কোন ব্যবস্থা নেই। জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামের পাশ দিয়ে, থানার সামনে, চার মাথার মোড় হতে দক্ষিনে যে ড্রেনগুলো নির্মান করা হয়েছে সেগুলোও শেষ করা হয়নি। সেগুলো ড্রেনের শেষে পানি নিস্কাশনের কোন ব্যবস্থা নেই। সামান্য বৃষ্টিতেই হাঁটুপানি জমে যায়। এতে জনগণ ব্যাপক ভোগান্তির মধ্যে পড়েন। প্রায় একযুগ ধরে এই সমস্যার সমাধান হয়নি।

 

 

 

 

 

উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দা বাসিন্দারা বলেন, এই এলাকার ড্রেনেজ ব্যবও অপরিকল্পিত। বৃষ্টি হলেই এলাকার রাস্তাগুলো পানির নিচে চলে যায়। জলাবদ্ধতার মাত্রা ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। এই এলাকায় কিছু ড্রেন আছে কিন্তু সেগুলো তেমন একটা কাজে আসছে না। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই। ফলে ভোগান্তির মাত্রা বেড়েছে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ জানান, টানা বর্ষার কারণে উপজেলা সদরের কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে আমি নিজেও মাঠে কাজ করছি। উপজেলা সদরের বিভিন্ন এলাকায় ড্রেন নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে এবং আগামীতে আরো কাজ নতুন করে শুরু করা হবে। আশা করি দ্রুতই জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ কেটে যাবে।

সানশাইন/ সোহরাব


প্রকাশিত: জুলাই ৫, ২০২৩ | সময়: ৫:০৬ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine