সর্বশেষ সংবাদ :

সংবাদ প্রকাশের পর পরীক্ষা দেবার সুযোগ পেলেন সেই ১৫ পরীক্ষার্থী

চারঘাট প্রতিনিধি:
রাজশাহীর চারঘাটে প্রধান শিক্ষকের গাফলতিতে অনিশ্চয়তায় পড়া ১৫ এসএসসি পরীক্ষার্থী গত বৃহস্পতিবার অর্থনীতি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে। গতকাল বুধবার সন্ধায় “প্রধান শিক্ষকের গাফলতি, অনিশ্চয়তায় ১৫ এসএসসি পরীক্ষার্থী” শিরোনামে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে আসে।

সংবাদ প্রকাশের বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সার্বিক তত্ত্বাবধানে ভুক্তভোগী ১৫ পরীক্ষার্থী রাত ১২ টার দিকে সংশোধিত প্রবেশপত্র হাতে পায়। আজ সরদহ সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ওই পরীক্ষার্থীরা অর্থনীতি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। এ ঘটনায় সাদীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবর হোসেনকে শোকজ করা হয়েছে।

 

 

 

 

 

 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অর্থনীতি বিষয়ে পড়ুয়া ১৫ পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র এসেছিল পৌরনীতির। প্রবেশপত্র হাতে পাওয়ার পর থেকেই দুশ্চিন্তায় পড়ে শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রবেশপত্র সংশোধন করে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়ায় মঙ্গলবার (১৬ মে) অনুষ্ঠিত পৌরনীতি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি এসব পরীক্ষার্থী। কিন্তু বৃহস্পতিবার (১৮ মে) অর্থনীতি পরীক্ষার দিন ধার্য থাকলেও বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সংশোধিত প্রবেশপত্র হাতে পেয়েছিল না পরীক্ষার্থীরা।

নবম শ্রেণীতে ভুলক্রমে পৌরনীতি বিষয়ে রেজিষ্ট্রেশন হবার পর ভুল সংশোধনে ১ হাজার টাকা অতিরিক্ত নিয়েও দুই বছরে ভুল সংশোধন করেনি বিদ্যালয় কতৃপক্ষ। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষক বাবর হোসেন ও অফিস সহকারী আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।

 

 

 

 

অবশেষে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়ে পরীক্ষার্থী সাঈদ, হাসিবুল ও নুসরাত বলেন, প্রধান শিক্ষককের কাছে বার বার কান্না করে অনুরোধ করলেও তিনি প্রবেশপত্র সংশোধন করে দেননি। ইউএনও স্যার গতকাল রাতে প্রবেশপত্র সংশোধন করে আমাদের বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছেন। আজ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করতে পারলে শিক্ষাজীবনে এক বছর পিছিয়ে যেতাম।

এ বিষয়ে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মোঃ রাহিদুল ইসলাম বলেন, ইউএনও স্যারসহ উর্ধতন কতৃপক্ষের আন্তরিক প্রচেষ্টায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা আজকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পেরেছেন। প্রধান শিক্ষককে লিখিত ভাবে শোকজ করা হয়েছে। শোকজের উত্তর হাতে পাওয়ার পর বিষয়টি তদন্ত করে প্রধান শিক্ষকের কোনো গাফলতি পেলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

 

 

 

 

 

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সোহরাব হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক শিক্ষা বোর্ড ও মাধ্যমিক অফিসে যোগাযোগ করে প্রবেশপত্র সংশোধন করে শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছানো হয়েছে। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে।

 

 

 

 

সানশাইন/সোহরাব


প্রকাশিত: মে ১৮, ২০২৩ | সময়: ১১:০৩ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine