চলনবিলের ধান গোলা ভরিয়ে দিচ্ছে কৃষকের

তাড়াশ প্রতিনিধি: তপ্ত রোদে সবুজ পাতার আড়ালে চিকচিক করছে সোনা বর্ণে রাঙানো ধান। মাঠের পর মাঠ শুধুই ধান আর ধান। এমন ফসলের মাঠ দেখা গেছে তাড়াশ উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে বোরো আবাদ। ফলন ভালো হওয়ায় আনন্দে আত্মহারা কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, চলতি বোরো মৌসুমে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২২ হাজার ৩৭০ হেক্টর। তবে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আবাদ হয়েছে প্রায় ২২ হাজার ৪৪৮ হেক্টরে। বেশি জমি আবাদ হওয়ায় ধানের উৎপাদন বেশি হবে।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় জানায়, চলতি বোরো মৌসুমে সরকার প্রতি কেজি ধানের দাম নির্ধারণ করেছে ৩০ টাকা। সে হিসাবে প্রতিমণ ধানের মূল্য এক হাজার ২০০ টাকা।
উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের মহেশরৌহালী গ্রামের চাষি আশরাফ মোল্লা জানান, চলতি মৌসুমে ৬৫ শতক জমিতে ব্রি ধান-২৮ ও ৫৮ জাতের ধান চাষ করেছেন।
বীজতলা, জমি চাষ, রোপণ, সার, কীটনাশক, সেচ ও শ্রমিক বাবদ ব্যায় হয়েছে ২৮ হাজার ৩১২ টাকা। জমির ধান কেটে ঘরে তুলেছেন ৪১ মণ। এতে সরকারি দরে ৪৯ হাজার ২০০ টাকার ধান উৎপাদন হয়েছে। ব্যায় বাদে লাভ হয়েছে ২১ হাজার টাকা।
একই গ্রামের কৃষক আলামিন বলেন, ‘এবার সাড়ে তিন বিঘা জমিতে বোরো চাষ করেছি। ধানের ফলন ভালো হয়েছে। তবে বৃষ্টিপাত হলে আরও বেশি ফলন হতো। সরকার বাজার দর এ রকম দিলে আগামীতে আরও বেশি জমিতে বোরো আবাদ করব।’
উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের খোরশেদ মাষ্টার ও এলাকার আবুল হোসেন বলেন, ‘তিন ফসলি জমিতে ১২০৫ উপজাত রোপন করে ছিলাম, শতকে ২৫ কেজি ফলেছে। সেচ ও অন্যন্য সুবিধার কারনে ফলন ভালো হয়েছে। এই আবাদের লাভ দিয়ে সংসারের ব্যায় মিটিয়ে আগামী চাসাবাদ করব, ইনশাআল্লাহ। চলতি বোরো আবাদের ফলন নিয়ে কৃষকদের পাশাপাশি কর্মকর্তারাও আশাবাদি।
উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা বলেন, ‘এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে চাষ বেড়ে যাওয়ায় ফলন বেশি হয়েছে। আশা করি, আবহাওয়া ও বাজারদর অনুকূলে থাকলে আগামী মৌসুমে বোরো চাষ বাড়বে।’
উপজেলা কৃষি অফিসার মামুনুর রশিদ বলেন, ‘আবহাওয়া ভালো ছিল। তাই কৃষকরা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে ধান চাষ করেছে। ফলনও হয়েছে বাম্পার। এখন ভালো দাম পেলে, তারা লাভবান হবেন।’


প্রকাশিত: মে ১৫, ২০২৩ | সময়: ৫:৩২ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ