সর্বশেষ সংবাদ :

পাঁচ ফিফটির ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে নায়ক নাসির

স্পোর্টস ডেস্ক: ইলিয়াস সানীকে লং অফে উড়িয়ে বাউন্ডারি পার করলেন নাসির হোসেন। তাতে ৯৬ থেকে এক লাফে চলে যান তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে। অপর প্রান্তে থাকা ইয়াসির আলী রাব্বি অভিবাদন জানাচ্ছেন। নাসির কাছে এলে জড়িয়ে ধরেন ইয়াসির, এরপর ব্যাট উঁচু করে উদযাপন করেন প্রাইম ব্যাংকের এই অলরাউন্ডার।
ম্যাচজয়ী সেঞ্চুরি হাঁকানো নাসিরের উদযাপন এটুকুই। অথচ অগ্রণীর ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে রান তাড়া করতে নেমে নাসিরের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে জয়ের দেখা পায় প্রাইম ব্যাংক। টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৪ উইকেটে ২৭৩ রান করে অগ্রণী। রান তাড়া করতে নেমে ৪৬.৪ ওভারে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় প্রাইম ব্যাংক।
নাসির ৯৮ বলে ১১২ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ১২টি চার ও ৩টি ছয়ে। সেঞ্চুরি করেছিলেন ৯৩ বলে। চলতি ডিপিএলে এটি তার প্রথম শতক। এর আগে সর্বোচ্চ ছিল ৫৩ রান। ফিফটি এই একটিই। নাসিরের সঙ্গে ১৬ রানে অপরাজিত ছিলেন ইয়াসির।
এ ছাড়া প্রাইম ব্যাংকের হয়ে ফিফটি করেন মুশফিকুর রহিম-মোহাম্মদ মিথুন। ৫৩ বলে বরাবর ৫০ রানে আউট হন মিথুন আর ৬১ বলে ৫৩ রানের ইনিংস খেলেন মুশফিক। তাতেই সহজেই বড় জয়ের দেখা পায় প্রাইম ব্যাংক। অগ্রণীর হয়ে ১টি করে উইকেট নেন শরিফুল্লাহ, আনামুল হক, মোহাম্মদ ইলিয়াস ও আসাদুজ্জামান পায়েল।
এর আগে তিন ফিফটিতে ভর করে অগ্রণীর চ্যালেঞ্জিং স্কোর ছুঁড়ে দেয়। বিপিএলে সেঞ্চুরি হাঁকানো উসমান খানকে দুবাই থেকে উড়িয়ে এনেছিল অগ্রণী, উসমান ফিফটি করলেও দল জিততে পারেনি। ধীরগতিতে খেলে ৯১ বলে মাত্র ৫৩ রান করেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।
এ ছাড়া সাদমান ইসলাম ৬২, জহুরুল ইসলাম ৫৮, মার্শাল আইয়ূব ৩৪ ও আবু হায়দার রনি ৩৬ রান করেন। প্রাইম ব্যাংকের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম। উইকেট না পেলেও দারুণ বোলিং করেন নাসির, ১০ ওভারে মাত্র ২০ রান দেন। অলরাউন্ডিং পারফর্ম করে দলকে জিতিয়ে নাসির ম্যাচসেরার পুরস্কার পান। ইতোমধ্যে প্রাইম ব্যাংকের সুপার লিগ নিশ্চিত হয়ে গেছে। ১১ ম্যাচে ৭টি জয়ে তাদের অবস্থান চতুর্থ স্থানে। অন্যদিকে সমান ম্যাচে অগ্রণীর জয় মাত্র ৩টিতে। অবস্থান ১০ নম্বরে।


প্রকাশিত: এপ্রিল ১৭, ২০২৩ | সময়: ৫:৪৩ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ