বাগমারায় হামলার ঘটনায় সেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর বাগমারায় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতির উপর হামলার ঘটনায় সেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েল করেছেন আহত ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি আফজাল হোসেনের পিতা মকবুল হোসেন। চার দিন অতিবাহিত হলেও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আফজাল হোসেনের উপর হামলাকারীদের গ্রেফতার করতে পারেনি থানা পুলিশ। হামলাকারীদের গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আহত ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আফজাল হোসেন ও পরিবারের সদস্যরা। তবে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম জানান আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
থানার মামলা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (৪ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে উপজেলার গনিপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আফজাল হোসেন তার সহযোগী আজিজুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে একডালা বাজার থেকে মটর সাইকেল যোগে নিজ বাড়ি বাগমারাতে রওয়ানা দেন। তাদের মটরসাইকেলটি বাগমারা পাকা রাস্তায় মাজেদুর রহমানের বাড়ির সামনে আসলে ওঁৎপেতে থাকা একদল দুর্বৃত্তরা ধারালো দেশীয় অস্ত্র ও বাঁশের লাঠি সোটা নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি আফজাল হোসেনের উপর হামলা চালায়। তাদের হামলায় আওয়ামী লীগ সভাপতি আফজাল হোসেন রক্তাক্ত জখম হন। ওই সময় আফজাল হোসেনের সাথে থাকা সহপার্টি আজিজুর রহমান বাঁধা দিতে গেলে তাকে পিটিয়ে মারাক্ত জখম করে।
ঘটনাটি স্থানীয় লোকজন জানতে পারলে হামলাকারীরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন আহত আওয়ামী লীগ সভাপতি আফজাল হোসেনকে উদ্ধার করে রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। রাতে আওয়ামী নেতা আফজাল হোসেনের অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আওয়ামীলীগ নেতা আফজাল হোসেনের উপর হামলার ঘটনায় ওই দিন রাতেই তার পিতা মকবুল হোসেন বাদী হয়ে যুবলীগ নেতা দুলাল হোসেনের নাম উল্লেখসহ ১৪ জনের নামে বাগমারা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
আওয়ামীলীগ নেতা আফজান হোসেনের বাবা মামলার বাদী মকবুল হোসেনের অভিযোগ, মামলার আসামী তার ভাই সোলাইমান আলীর সাথে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা দুলাল হোসেন সোলাইমান আলীর পক্ষ নিয়ে আওয়ামীলীগ নেতা আফজাল হোসেনের বিরোধীতা করে আসছেন। যদি দুলাল হোসেন সোলাইমান আলীকে সহযোগীতা না করতেন তাহলে কোন দিনই ওই জমি নিয়ে ঝামেলা হতোনা। সেচ্ছাসেবক লীগ দুলাল হোসেন সব সময় অন্যায়কারীদের পক্ষ নিয়ে এলাকায় ঝামেলা সৃষ্টি করেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা দুলাল হোসেনের মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। অপর দিকে যোগাযোগ করা হলে বাগমারা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, ঘটনার পর রাতেই থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ আসামীদের গ্রেফতারের জন্য তৎপর রয়েছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।


প্রকাশিত: মার্চ ৯, ২০২৩ | সময়: ৬:০০ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ