হিন্দু সম্প্রদায়ের সম্পত্তি নিয়ে যুবলীগ নেতা জেমকে হত্যার দাবি সংসদ সদস্যের

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি : 

চাঁপাইনবাবগঞ্জের যুবলীগ নেতা ও শিবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর খাইরুল আলম জেম হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন সংসদ সদস্য ও চাঁপইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওদুদ।

 

 

শনিবার দুপুরে শহরের ওয়ালটন মোড়ে সংসদ সদস্যের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে আব্দুল ওদুদ দাবি করেন, জেম হত্যাকান্ড আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কোন কোন্দলে হয়নি। শিবগঞ্জ উপজেলার মর্দনা এলাকার একটি হিন্দু সম্পত্তি নিয়ে পূর্ব বিরোধের জের ধরে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। অথচ জেম হত্যাকান্ড দলীয় কোন্দলে হয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এমন প্রচার চালানো হচ্ছে।

 

সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদ তাঁর বক্তব্যে বলেন, ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে একটি মহল হত্যা মামলাকে ভিন্নখাতে পরিচালনার জন্য এমন প্রচারণা চালা”েছন। তিনি বলেন, ‘রোজা থাকা অবস্থায় একজন যুবককে মর্মান্তিকভাবে হত্যাকান্ড ঘটনা হয়েছে। এই হত্যাকান্ডে যারাই জড়িত থাকুক না কেন, আমরা এর বিচার চাই’।

 

 

এমপি আব্দুল ওদুদ বলেন, চলতি মেয়াদের আগে আরও দুই মেয়াদে ১০ বছর আমি এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। এই ১০ বছরে বিরোধীদের নামে মিথ্যা মামলা, চাঁদাবাজি, হত্যা, হামলার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। সাংবাদিক ভাইয়েরা অনুসন্ধান করে দেখেন, কোন থানার ওসি বলতে পারবে না, আমি কারো জন্য অন্যায় কোন তদবির করেছি। কোন সরকারি অফিসে প্রভাব রাখিনি। কোন চাপ প্রয়োগ করে অবৈধ সুবিধা আদায় করিনি। কোন ব্যক্তি যদি ভূমি দখলের বিষয়ে প্রমাণ দিতে পারে, তাহলে আমি দল থেকে পদত্যাগ করব।

 

 

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওদুদ আরও বলেন, যুবলীগ নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর জেম হত্যার পর তার পরিবার থানায় মামলা দায়ের করেছে। মামলার সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। দলের একজন ত্যাগী নেতা হিসেবে আমি তার বিচার চাই। সে যদি সন্ত্রাসীও হয়, তাহলে তাকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার অধিকার কারো নেই।

 

 

সাংবাদিক সম্মেলনে জেম হত্যাকান্ডের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে জেম জীবিত থাকা অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে করা বিভিন্ন আবেদনের কপি উপস্থাপন করা হয়।
সাংবাদিক সম্মেলনে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

 

উল্লেখ্য, গত ১৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের উদয়ন মোড় এলাকায় ইফতার কেনার সময় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে নিহত হয় খাইরুল আলম জেম। এঘটনায় তার ভাই মনিরুল ইসলাম ২২ এপ্রিল বাদি হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা মোখলেসুর রহমানকে প্রধান আসামী করে ৪৮ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

সানশাইন / শামি

 


প্রকাশিত: মে ১৩, ২০২৩ | সময়: ১০:০০ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine