সর্বশেষ সংবাদ :

শিল্পোন্নত বাগমারা গড়তে চান সান্টু

মাহফুজুর রহমান প্রিন্স, বাগমারা: কারানির্যাতিত ছাত্রনেতা, সফল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, সফল উপজেলা চেয়ারম্যান সফল সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. জাকিরুল ইসলাম সান্টু বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতির পদ দায়িত্বশীলতার সাথে অলঙ্কৃত করে আছেন। দ্বিতীয় ধাপে আসন্ন বাগমারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এবারও জাকিরুল ইসলাম সান্টু চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হচ্ছেন। তাঁর এই প্রার্থীতার বিষয়টি এরি মধ্যে উপজেলা ব্যাপি ব্যাপক চাউর হয়েছে।
নেতাকর্মীরা বলছেন, এবার উপজেলা নির্বাচনে নৌকা প্রতীক না থাকলেও এবং দলীয়ভাবে কাউকে সমর্থন না দেওয়া হলেও সান্টুকেই আমরা দলের মনোনীত একক প্রার্থী হিসাবে ধরে নিয়েছি। সেভাবেই আমরা প্রচার-প্রচারণা এবং ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা শুরু করেছি।
সাধারণ কর্মী সমর্থক ও ভোটাররা বলছেন, এরআগেও সান্টু ভাই এক ট্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ভোট করে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। সে সময় তাঁর প্রতীক ছিল ঘোড়া। সেসময় তিনি দলীয় প্রতীক না পেয়েও ব্যক্তি ইমেজ ও জনপ্রিয়তার কারণে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন। সেসময় থেকে এবার তাঁর জনপ্রিয়তা ও ব্যক্তি ইমেজ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। তাঁরই হাত ধরে তৃণমূল আ’লীগ তথা প্রকৃত আওয়ামী লীগ শক্তিশালি হয়েছে, বিতাড়িত হয়েছে জামায়ত-বিএনপি ও হাইব্রিড আওয়ামী লীগ পরিচয়ধারীরা। শুদ্ধ হয়েছে বাগমারা উপজেলা।
সবশেষ সান্টু ভাইয়ের নেতৃত্বের কারণে তৃণমূল আওয়ামী লীগ শক্তিশালি হয়ে তাহেরপুরের মেয়র অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদকে একচান্সে এমপি নির্বাচিত করতে সক্ষম হয়েছে। এই তৃণমূলের শক্তি নিয়ে এবারও সান্টু উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। আগামীর বাগমারাকে তিনি কি ভাবে গড়তে চান। তাঁর কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে সান্টু নিজেই ঘোষণা দিয়েছেন।
মঙ্গলবার উপজেলার বড়বিহানলী ইউনিয়নের খালিসপুর গ্রামে বিশাল এক ইফতার মাহফিলে সান্টু এই ঘোষণা দেন। ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন বাগমারার নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ। সান্টু উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে বর্তমান সাংসদকে সাথে নিয়ে শিল্পোন্নত বাগমারা গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। পরে সানশাইনকে দেয়া একান্ত সাক্ষাতকারে সান্টু আরো কিছু পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন:
শিল্পোন্নত বাগমারা গড়ে তোলা: বাগমারা একটি কৃষি প্রধান এলাকা। এখানে বেকার সমস্যা খুব প্রকট। আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে আমার শিষ্য নতুন এমপি অধ্যক্ষ আবুল কালামকে সাথে নিয়ে বাগমারাকে কীভাবে শিল্পোন্নত করা যায় এবং বেকার সমস্যার সমাধান করা যায় তা নিয়ে তা নিয়ে প্রথম পদক্ষেপ গ্রহন করব।
দলীয় কোন্দর নিরলস ও ত্যাগিদের মূল্যায়ন: দীর্ঘ ১৫ বছর বাগমারার প্রকৃত আওয়ামী লীগ ও ত্যাগি নেতা কর্মীরা চরমভাবে অবহেলিত ছিল। তাদের প্রতি নির্যাতিন জুলুম করা হয়েছে। তারা কোথাও জায়গা পায়নি। আমার কাছে এসে নীরবে কেদেছে, চোখের জল ফেলেছে। আমি চাইবো তাদের কিছুটা সম্মানিত করতে । তার অর্থ লোভী নয়। তারা আওয়ামলীগকে ভালোবাসে।
নিয়োগ ও পদপদবী বানিজ্য বন্ধ করা: বিগত ১৫ বছর এই উপজেলায় শুধু টাকার হোলি খেলা হয়েছে। টাকার বিনিময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ ও দলীয় পদপদবী কেনা বেচা হয়েছে। এসব কারণে এলাকার শিক্ষর মান একেবারে কমে গেছে এবং রাজাকাররুপি বিএনপি-জামায়াতের প্রেতাত্মাই আওয়ামী লীগ ভরে গেছে। আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে এসব জঞ্জাল ও আগাছা দূর করবো।


প্রকাশিত: এপ্রিল ৩, ২০২৪ | সময়: ৬:০৬ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ