দেশে প্রতিবছর সাড়ে পাঁচ হাজার মাতৃমৃত্যুর ঘটনা ঘটে

বড়াইগ্রাম প্রতিনিধি: দেশে গর্ভকালীন সময়ে প্রশিক্ষিত সেবাপ্রদানকারী দিয়ে চেক আপ ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিরাপদ প্রসব না হওয়ায় প্রতি বছর গড়ে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার মাতৃমৃত্যুর ঘটনা ঘটে। গত দুই দশকে মা ও শিশুর মৃত্যুহার কমেছে। তবে এখনো প্রতি লাখে কমপক্ষে ১৯৬ জন মা ও প্রতি হাজারে ২৮ জন নবজাতক শিশু মারা যায়।
রোববার নাটোরের বড়াইগ্রামে দিনব্যাপী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক স্বাভাবিক প্রসব সেবা জোরদার করণ বিষয়ক কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়।
উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত কর্মশালায় পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ নাটোরের উপ-পরিচালক মাহফুজা খানমের সভাপতিত্বে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (এমএইচ সার্ভিসেস) ডা. জাহাঙ্গীর আলম প্রধান। কর্মশালায় উপজেলা চেয়ারম্যান ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী, ইউএনও মারিয়াম খাতুন, বনপাড়া পৌরসভার মেয়র জাকির হোসেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. খুরশীদ আলম, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোজাহারুল ইসলাম, মেডিকেল অফিসার ডা. হুসনেয়ারা ও স্বাস্থ্য পরিদর্শক আব্দুর রহমান বক্তব্য রাখেন।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, ৫০ শতাংশ মায়েরা এষনও সরকারী সেবার বাইরে সন্তান প্রসব করেন। এ কারণে মাতৃমৃত্যুর হার বেশি। এসব মায়েদের সরকারী হাসপাতালের আওতায় এনে নিরাপদ ও স্বাভাবিক সন্তান প্রসব করতে হবে।
এ লক্ষ্যে দেশের ৩ হাজার ৩৬৪টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে বিনামূল্যে স্বাভাবিক প্রসবের উদ্যোগে নেয়া হয়েছে।


প্রকাশিত: মার্চ ৬, ২০২৩ | সময়: ৬:১৭ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ