সিরাজগঞ্জে নতুন ৬০২টি ঘর পাচ্ছে আশ্রয়হীন পরিবার

তাড়াশ প্রতিনিধি: বাংলাদেশে কোন মানুষ যেনো ভূমিহীন ও গৃহহীন না থাকে এই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে বর্তমান সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় মুজিব বর্ষ উপলক্ষে সারা দেশের ন্যায় সিরাজগঞ্জে ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের জন্য আধাপাকা ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছে সরকার। যার ফলশ্রুতিতে কয়েক ধাপে এরই মধ্যে জেলায় ২ হাজার ১১৫টি ঘর দলিল মূলে হস্তান্তর করা হয়েছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আরও ৬০২টি ঘর পেতে যাচ্ছে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। এ নিয়ে জেলায় এ ঘরের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৭১৭টি।
‘আশ্রয়ণের অধিকার শেখ হাসিনার উপহার’ -এ শ্লোগান সাড়া পড়েছে সমগ্র দেশে। এ শ্লে¬াগানকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশের ন্যায় সিরাজগঞ্জেও গৃহহীন মানুষের মাঝে ঘর বিতরণ করে যাচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ প্রকল্পের ২ হাজার ৭১৭টি ঘরের মধ্যে ২ হাজার ১১৫টি ঘর ইতিমধ্যে ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের মাঝে হস্তান্তর করা হয়েছে। এতে গৃহহীন পরিবারগুলোর মুখে হাসি ফুটেছে। জেলায় কয়েক পর্যায়ে ঘর প্রদান করা হয়, এর মধ্যে ১ম পর্যায়ে ৭৯৬টি, ২য় পর্যায়ে ৪৮১টি, ৩য় পর্যায়ে ৮৩৮টি এবং ৪র্থ পর্যায়ে ৬০২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের হস্তান্তর করা হবে।
আরও জানা যায়, জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ প্রকল্পের ২৭১৭টি ঘরে প্রায় ৩৫৩৯ জন পরিবার নিয়ে বসবাস করতে পারবে। ইতিমধ্যেই কিছু পরিবার নিয়ে বাসবাস শুরু করেছে। এতে গৃহহীন পরিবারগুলোর মুখে হাসি ফুটেছে। জেলার বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয়দের দখলে থাকা সরকারী খাস জমি উদ্ধার করে সেখানে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে এসব ঘর তৈরী করা হচ্ছে। নির্মাণাধীন ঘরগুলো সার্বিকভাবে স্ব-স্ব উপজেলা নির্বাহী অফিসার, এসিল্যান্ড, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাগণ কাজের তদারকি ও অগ্রগতি মনিটরিং করছেন।
উল্লেখ্য, এই প্রকল্পের মধ্যে সিরাজগঞ্জের সদরে ৬১৫টি, কাজিপুরে ২৩২টি, উল¬াপাড়ায় ৩০৪টি, রায়গঞ্জে ৪৯৫টি, বেলকুচিতে ১৩০টি, শাহজাদপুরে ২৮১টি, কামারখন্দে ২৮৪টি, তাড়াশে ৩২১টি, চৌহালী উপজেলায় ৫৫টি ঘর ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যাতে থাকছে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত দুই কক্ষবিশিষ্ট ঘর। জেলা রাজস্ব কর্মকর্তা মোবারক হোসেন বলেন, নির্মাণাধীন ঘরগুলো সার্বিকভাবে স্ব-স্ব উপজেলা নির্বাহী অফিসার, এসিল্যান্ড, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাগণ কাজের তদারকি ও অগ্রগতি মনিটরিং করছেন, অতিদ্রুত ঘরগুলো বরাদ্দ দেয়া হবে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মীর মাহবুবুর রহমান জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার প্রকল্পের আরও ৬০২টি ঘর তৈরীর কাজ প্রায় শেষের দিকে। সে অনুযায়ী এসব ঘর অতিদ্রুত ভিত্তিতে ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের মাঝে বরাদ্দ দেয়া হবে। আমরা শীঘ্রই তিনটি উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন উপজেলা ঘোষণা করব।